ওজোন স্তরে ছিদ্র আবিষ্কারক নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীকে গুগলের ডুডল শ্রদ্ধা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত রবিবার ছিল বিশ্ববিখ্যাত মেক্সিকান রসায়নবিদ মারিও মোলিনার ৮০তম জন্মদিন৷ এই উপলক্ষ্যে পরিবেশ রক্ষার অন্যতম পথিকৃৎ বিজ্ঞানীর ডুডল তৈরী করে তাকে স্মরণ করল গুগল৷ গুগলের ডুডলে তুলে ধরা ওজোন স্তর নিয়ে তার গবেষনা৷ ওজোন স্তরে ধারবাহিক ক্ষয় ও ছিদ্র হওয়ার বিষয়টি যে বিজ্ঞানীরা সামনে আনেন মোলিনা তাদের অন্যতম,১৯৯৫ সালে রসায়নে নোবেলজয়ীদের মধ্যে তিনি একজন৷ তার বিষয় ছিল ক্লোরোফ্লুরোকার্বনের কুপ্রভাবে কেমন করে ওজোন স্তরে ছিদ্র হয়েছে৷ যার ফলে ছড়িয়ে পড়ছে মারাত্মক অতিবেগুনি রশ্মি৷

১৯৪৩-এর ১৯শে মার্চ মেক্সিকো সিটিতে জন্ম মোলিনার৷ ছোট থেকেই ছিলেন বিজ্ঞান পাগল৷ সেটা এতটাই ছিল সে তার বাথরুমটিকে ছোট খাট একটা গবেষণাগার বানিয়ে ফেলেছিলেন৷ ‘স্কুলে যাওয়ার আগেই বিজ্ঞানের প্রতি তার আগ্রহ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে ছিল৷ মোলিনা খেলনা মাইক্রোস্কোপে চাক্ষুষ করেছিলেন এ্যামিবা৷ মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনোমাস ইয়ূনিবার্সিটি থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন মৌলিনা৷ জার্র্মনির ফ্রেইবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ্যাডভান্স ডিগ্রি৷ তারপর গবেষণা করতে আমেরিকা যান৷ ১৯৭০-এ তার গবেষণার বিষয় ছিল বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রভাব৷ ওজোন স্তরে ছিদ্র হবার নেপথ্যে ক্লোরোফ্লুরোকার্বনের প্রভাব রয়েছে, তার অন্যতম আবিস্কারক তিনিই৷ পাশপাশি কেন অতিবেগুনী রশ্মি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করছে, তা-ও তিনি প্রথম সামনে আনেন৷ তিনি ও তার সহকারী গবেষকদের  গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় নেচার পত্রিকায়৷ এর ফলশ্রুতি তার নোবেল জয়৷ ২০২০-এর ৭ই অক্টোবর ৭৭ বছর বয়সে প্রয়াত হন মোলিনা৷