পদ্ম পুরস্কারেও রাজনীতির রঙ ফুটে উঠল৷ বিজেপির সময় এখন খুব একটা ভাল যাচ্ছে না৷ মোদি ম্যাজিক সেভাবে জনমনে দাগ কাটতে পারছে না৷ তাই গেরুয়া খোলস থেকে বেরিয়ে কিছুটা উদার হতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী৷ এবারে পদ্মশ্রী,পদ্মভূষণ পুরস্কারে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত নাম ঘোষণা করা হয়৷ পশ্চিম বাঙলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নাম পদ্মভূষণ পুরস্কারের জন্য ঘোষণা করা হয়৷ খবর জানা মাত্রই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তা প্রত্যাখ্যান করেন৷ বুদ্ধবাবু জানান নাম ঘোষনার আগে তিনি কিছু জানতেন না৷ তবে সরকারের দাবী তারা মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারকে আগেই জানিয়েছিলেন৷তাই এ নিয়ে বিতর্ক থেকেই গেল৷
বাঙলার প্রবাদ প্রতীম গায়কী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের নাম পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করা হয়৷ প্রস্তাব পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে তা প্রত্যাখ্যান করেন শিল্পী৷ দীর্ঘ সাতদশকের শিল্পী জীবনে বহু পুরস্কারে সম্মানীত সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের এই পুরস্কার৷ বাঙলার শিল্পী মহলের বক্তব্য আজ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় যে জায়গায় পৌঁছেছেন তাঁর জন্য পদ্মশ্রী পুরস্কার যথেষ্ট নয়৷ অনেকেই এটাকে বাঙলার অপমান বলে মনে করেছেন৷ বাঙলা আধুনিক ও চলচ্চিত্র সঙ্গীতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের নাম৷ রাগ সঙ্গীতেও তিনি সুপ্রতিষ্ঠিত৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের এই বালখিল্য আচরণে অসন্তুষ্ট৷
প্রবীণ তবলা বাদক শিল্পী অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মতো একই কারণ দেখিয়ে পদ্মশ্রী প্রত্যাখ্যান করেন৷ বাঙলার আর এক শিল্পী রাশিদ খানকেও পদ্মভূষণ পুরস্কার দেওয়া হয়৷ তবে সেখানেও গেরুয়া রাজনীতির ছোপ পড়েছে৷ তাকে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা বলে দেখানো হয়৷ রাশিদ খানের জন্ম উত্তরপ্রদেশে হলেও তিনি ছোটবেলা থেকে বাঙলায় আছেন৷ রাশিদ খান নিজেও জানান আমি ১৯৭৮ সাল থেকে কলকাতায়৷ সঙ্গীত জীবনে যা কিছু করেছি সবটাই বাঙলায়৷ আমি বাঙলারই লোক৷