প্রতিপক্ষ বক্সের মধ্যে সেই দলের ফুটবলারের হাতে বল লাগলেই পেনাল্টি পাওয়ার দিন শেষ৷ ফুটবল মাঠে রেফারিকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে ভার প্রযুক্তি৷ এ বার সেই প্রযুক্তিতে আরও কিছু বদল করা হয়েছে৷ এ বার পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিতে হলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে রেফারিদের৷ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মরসুমেই এই প্রযুক্তি আসতে পারে৷ বক্সের মধ্যে ফুটবলারের হাতে বল লাগলে রেফারিকে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে৷ বল হাতে লাগার সময় ফুটবলার কি নিজের শরীরের নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করছিলেন? তিনি হাত সরিয়ে নেওয়ার জন্য কতটা সময় পেয়েছিলেন? তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবে হাতে বল লাগিয়েছেন, না কি হাত সরিয়ে নেওয়ার সময় হাতে বল লেগেছে? যে ফুটবলারের পা থেকে বল বেরিয়েছে তিনি কি ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রতিপক্ষের হাতে বল লাগানোর চেষ্টা করেছেন? এই সব বিষয় মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রেফারিকে৷ ফলে এই নিয়ম কার্যকর হলে ফুটবলে পেনাল্টির সংখ্যা কমে যেতে পারে৷ রেফারিকে এই কাজে সাহায্য করবে ভার৷ আগে এই প্রযুক্তিতে চার জন থাকতেন৷ তাঁরাই সব দিকে লক্ষ্য রাখতেন৷ কাজে সুবিধা করার জন্য এ বার থেকে ভার-এর দায়িত্বে থাকবেন ১২ জন৷ তাঁরা সব দিকে নজর রাখবেন৷ প্রয়োজনে রেফারিকে পরামর্শ দেবেন৷ তবে এ বার থেকে রেফারিকে সব বিষয়ে পরামর্শ দিতে হবে না ভার-এর দায়িত্বে থাকা দলকে৷ অফসাইডের ক্ষেত্রে সরাসরি সিদ্ধান্ত দেখতে পাবেন দর্শক৷ জায়ান্ট স্ক্রিনে তা দেখা যাবে৷ যদি কোনও সময় ভার-এর দায়িত্বে থাকা দলের মনে হয়, কোনও ফাউল বা হ্যান্ডবল রেফারির নজর এড়িয়ে গিয়েছে, তখনই রেফারিকে তাঁরা সেটা জানাবেন৷ তার পরে রেফারি স্ক্রিনে তা দেখবেন৷ প্রয়োজন পড়লে স্লো-মোশনেও তা দেখতে পারেন৷ তার পরেই রেফারি সিদ্ধান্ত নেবেন৷ তবে এ বার থেকে রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে মানা হবে৷ এমন নয় যে ভার যে পরামর্শ দেবে, রেফারিকে তা মানতে হবে৷ রেফারির যদি মনে হয়, তাঁর সিদ্ধান্তই সঠিক, তা হলে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে পারবেন তিনি৷ রেফারির সঙ্গে ভার-এর দায়িত্বে থাকা দলের কথোপকথন শুনতে পাবেন দর্শক৷ সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রেফারি যদি কোনও যুক্তি দেন, সেটিও দর্শক শুনতে পাবেন৷ তবে এখনও এই প্রযুক্তি চালু হয়নি৷ খুব তাড়াতাড়ি তা হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে৷
সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়