গত ১৪ই সেপ্ঢেম্বর,২২ আনন্দমার্গ হাইস্কুল, আনন্দনগরে ‘প্রভাত সঙ্গীত দিবস’ প্রভাত সঙ্গীত, প্রভাত সঙ্গীতের তাৎপর্য ও গুরুত্ব নিয়ে চর্চার মাধ্যমে পালন করা হয়৷
১৯৮২ সনের ১৪ সেপ্ঢেম্বর তদানীন্তন বিহার অধুনা ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দেওঘর শহরে ‘‘বন্ধু হে নিয়ে চল’’ দিয়ে শুরু হয়ে ১৯৯০ সনের ২০শে অক্টোবর শেষ গান ‘‘আমরা গড়ে নেব গুরুকুল৷ বাংলা, সংস্কৃত , ইংরেজি, হিন্দি , উর্দু , অঙ্গিকা, মৈথিলি, মগহী এই আটটি ভাষায় বাউল, কীর্তন, ভাটিয়ালি, ঝুমুর, টপ্পা, ঠুংরি, কাওয়ালি, গজল, ইত্যাদি বহু বৈচিত্র্যময় আঙ্গিকে সমৃদ্ধ করেছেন পাঁচ সহস্রাধিক প্রভাত সঙ্গীতের ভাণ্ডারটি, যেখানে যুক্ত হয়েছে বহু অধুনা লুপ্ত ও বিদেশি সুরের সমারোহও৷
প্রভাতরঞ্জন অকল্পনীয় দক্ষতায় সময়ের প্রতিটি মুহূর্তের পূর্ণ উপযোগ করতেন৷ প্রতিদিন পঞ্চানন শিবের মত নানা দুরূহ বিষয়ের উপর জ্ঞানগর্ভ প্রবচন দিয়েছেন, সেগুলিই গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছ৷ সর্বপরি ছিল তাঁর বিশ্বজোড়া সংঘটন ও তার শত শত সর্বত্যাগী কর্মী ও অজস্র কর্মযজ্ঞের প্রতিটি মুহূর্তের পুঙ্খানুপুঙ্খ সংবাদ রাখা৷ এই সীমাহীন ব্যস্ততার মধ্যেই অনুকুল প্রাকৃতিক পরিবেশের তোয়াক্কা না রেখেই কখনও চলার পথে, কখনও গভীর রাতে, কখনও কাক ডাকা ভোরে, কখনও গোধুলিতে, অথবা ভর দুপুরে ডাক পড়েছে ছায়া সঙ্গী সন্ন্যাসীর নির্দিষ্ট দলের, গান লিখে নিতে ও সুর তুলে নিতে৷ হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন ‘লিখে নিতে’ কারণ তিনি নিজে লিখতেন না, বৈদিক ঋষিদের শ্লোক সৃষ্টির মতো তিনি গুণ গুণিয়ে সুর ঠিক করে তার উপর সঠিক শব্দ বসিয়ে অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে সৃষ্টি করে গেছেন একেকটি সঙ্গীত৷ এভাবেই অন্যুন আট বছরে তিনি গড়ে তুলেছেন প্রভাত সঙ্গীতের পাঁচ সহস্রাধিক গানের বিশাল ভুবন৷