প্রধানমন্ত্রীর প্রচারে দুর্নীতিমুক্ত ভারত ক্যাগের প্রতিবেদনে দুর্নীতির পাহাড়ে সরকার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রধানমন্ত্রী বড় গলায় বলেছিলেন না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা, কথায় কথায় দুর্নীতিমুক্ত ভারত গড়ার কথাও বলে থাকেন৷ বিরোধীদের পেছনে বিশেষ করে ২০২১-এ শোচনীয় পরাজয়ের পর পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতি ধরতে ইডি, সিবিআইয়ের একটা বড় অংশকেই পাঠিয়ে দিয়েছে৷

সততার প্রতিমূর্ত্তি প্রধানমন্ত্রীর সামনে এবার  ক্যাগের প্রতিবেদন, যেখানে দুর্নীতির তীর মোদী সরকারের দিকে৷ সম্প্রতি কম্পট্রোলার এ্যাণ্ড অডিটর জেনারেল সংক্ষেপে ক্যাগ তার প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পে বিশাল অঙ্কের আর্থিক অনিয়মের চিত্র দেখিয়েছেন৷ যার পরিমাণ হতে পারে সাড়ে সাতলক্ষ কোটি টাকা৷ অযোধ্যা উন্নয়ন পর্ষদ,স্বাস্থ্য, সড়ক প্রকল্প, গরিবের পেনশন প্রায় সব ক্ষেত্রে আর্থিক অনিয়মের প্রতিবেদন ক্যাগ সংসদে জমা দিয়েছে৷ জাতীয় সড়ক উন্নয়নে ভারতমালা প্রকল্পে রাস্তা তৈরীর বরাদ দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আদানী গ্রুপকে৷ কেরল, পশ্চিমবঙ্গসহ নয়টি রাজ্যের সড়ক তৈরীর বরাত দেওয়া হয়েছে আদানী গ্রুপকে৷  এখানে দুর্নীতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকা৷ এমনটাই অভিযোগ আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ সঞ্জয় সিং-এর৷ মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম ক্যাগ আর্থিক অনিয়মের আঙ্গুল তুলেছে কেন্দ্রের দিকে৷ বিরোধীরা মনে করছে ক্যাগের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা মুখ খোলায় ২০২৪-এর নির্বাচনে মোদির বিদায় স্পষ্ট হচ্ছে৷  বিজেপির  আইটি সেলও  আমতা আমতা করে ব্যাপারটা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও হালে পানি পাচ্ছে না৷ কারণ অভিযোগ কোনো বিরোধী দলের তৈরী নয়৷ ক্যাগ কেন্দ্রীয় সরকারেরই একটি সংস্থা৷ সেই সংস্থাই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে৷ দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে তৈরীতে হিসেবের চেয়ে অধিক ১৪গুন টাকা খরচ হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ণের আয়ূষ্মান ভারতে সাতলক্ষেরও বেশি সুবিধাভোগীর একটাই ফোন নম্বর৷ ক্যাগের রিপোর্টে দুর্নীতির চূড়ায় কেন্দ্র৷