গত ২১শে সেপ্ঢেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্যসংস্থার তরফে একটি হিসেব পেশ করা হয়েছে৷ তাতে জানানো হয়েছে--- পৃথিবীতে এই মুহূর্তে ৭০ কোটি মানুষ জানেন না, তাঁরা আবার কখন খেতে পাবেন বা আদৌ পাবেন কি না৷ প্রতি দশ জনের মধ্যে একজনকে রাতে অভুক্ত অবস্থাতেই ঘুমোতে যেতে হয়৷ সংস্থা আরও জানিয়েছে, ক্ষুধার সঙ্কট ক্রমবর্ধমান৷ কিন্ত সংস্থার কোষাগার ক্রমশ শুকিয়ে আসছে৷ বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের কার্যনির্বাহী সিন্ডি ম্যাকেন নিরাপত্তা পরিষদকে জানান--- অনুদানের অভাবে খাদ্য রেশনে কাঁটছাঁট করতে হয়েছে৷ আমরা এমন সব ঘটমান ও দীর্ঘমেয়াদি সঙ্কটের মধ্য দিয়ে চলেছি, যাতে মানবিক অভাব-অনটন বেড়ে যাচ্ছে৷ এটাই এখন ‘নিউ নরমাল’৷ এরধাক্কা আরও অনেক বছর ভুগতে হবে৷’’ এই সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে সামরিক সংঘর্ষ, অর্থনৈতিক ধাক্কা, পরিবেশ সঙ্কট ও সারের দামবৃদ্ধি৷ এই সবের মিলিত অভিঘাতে, বিশ্ব খাদপ্রকল্পের নিজস্ব হিসাব বলছে, ৫০টি দেশে ৪ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের ঠিক আগের অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন৷ পাঁচের কম বয়সি সাড়ে চার কোটি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে৷ সাড়ে ৩৪ কোটিরও বেশি মানুষের কাছে খাদ্যের কোন নিরাপত্তা নেই৷ এই সংখ্যাটা ২০২১-এর গোড়াতেও এর চেয়ে ২০ কোটি কম ছিল৷
অতিমারি ও ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি অনেক বেশি ঘোরালো করে তুলেছে বলে সরাসরিই মানছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্তারা৷ সারের দাম বাড়ায় ধান, গম, ভুট্টা, সয়াবিনের ফলন কমেছে৷ এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জ৷