আশঙ্কা সত্যিকরে বর্বরতার নখদন্ত বার করে ইউক্রেনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে রুশ সেনা৷ এই মুহূর্তে ইউক্রেনের শহরে শহরে বর্বরতার বিভৎস রূপ প্রত্যক্ষ করছে বিশ্ববাসী৷ প্রত্যক্ষভাবে ঝাঁপিয়ে না পড়লেও ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাল্টা জবারের হুংকার ছাড়ছে আমেরিকা সহ ইয়ূরোপের শক্তিশালী দেশগুলি৷ যুদ্ধবাজদের করাল গ্রাস থেকে ইউক্রেনে স্কুল, হাসপাতাল কিছুই বাদ যাচ্ছে না৷ যথারীতি যুদ্ধের আবহ বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে৷ ইউক্রেনবাসী মরছে রুশ হামলায়৷ জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে তৃতীয় বিশ্বের সাধারণ মানুষের৷ রুশ সামরিক শক্তি যত সহজে ইউক্রেন দখল করবে ভেবেছিল তা হচ্ছে না৷ প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে রুশ সেনাদের৷ যুদ্ধ দীর্ঘতর হচ্ছে৷
ওদিকে কয়েক হাজার ভারতীয় ছাত্র অসহায় হয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে৷ সরকারের অদূরদর্শিতা উদাসীনতা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বভাব-সুলভ ভঙ্গিতে পূর্বতন সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজের অযোগ্যতাকে ঢাকতে চেয়েছেন৷ বিরোধীরাও পাল্টা তোপ দাগছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে৷ গণতন্ত্রের এই যুদ্ধে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় ছাত্ররা মুক্তি পাচ্ছে না৷
প্রশ্ণ উঠছে যুদ্ধ অকস্মাত বেধে যায়নে৷ যুদ্ধের আশংকা দেখা দিয়েছিল কয়েকমাস আগে থেকেই৷ সরকারের দুরদর্শিতা থাকলে অনেক আগেই ভারতীয় ছাত্রদের ফিরিয়ে আনা যেত৷ অবশ্য তাতে ছাত্র উদ্ধারের মহাযজ্ঞের বাহাদুরি দেখানো যেত না৷ ইতিমধ্যেই দু’জন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে৷ লেখা শেষ হওয়ার সময় পাওয়া খবর---আরও একজন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে৷ এই মৃত্যুযজ্ঞের শেষ কোথায়?