পুঁজিবাদী শোষণ ফ্যাসিষ্টরূপ ধারণ করেছে প্রাউটের পথেই আর্থিক মুক্তি সম্ভব

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রবীণ প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন কয়েক দিন আগেই আর্থিক বৈষম্যের নিদারুণ চিত্রটি তুলে ধরেছে দুটি আর্থিক সংস্থা৷ কোভিড পরিস্থিতিতে দেশে ৮৪ শতাংশ মানুষের আয় যখন কমেছে পঞ্চাশ শতাংশের বেশী, তখন উপর তলার ১৬ শতাংশ মানুষের আয় বেড়েছে পঞ্চাশ শতাংশের কাছাকাছি৷ এই বৈসম্যই আর্থিক দুর্দশার করুণ চিত্রটি তুলে ধরেছে৷ মোদি জমানায় দেশের আর্থিক হাল কোথায় পৌঁচেছে সেই তথ্যটিও মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সংসদে প্রকাশ করেছে৷ যেখানে দেখা যাচ্ছে ২০১৮ থেকে ২০২০ এই তিন বছরে আর্থিক বিপর্যয়ে পড়ে ২৫ হাজারেরও বেশী মানুষ আত্মহত্যা করেছে৷ এর মধ্যে ৯ হাজারের বেশী মানুষ বেকারত্বের জ্বালায় আত্মহত্যা করেছে৷ উত্তরপ্রদেশের এক ব্যবসায়ী প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বিষপান করেছিলেন, দৈবক্রমে তিনি বেঁচে গেছেন, কিন্তু তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন৷

এই আর্থিক বিপর্যয়ের জন্যে শ্রী খাঁ মোদি সরকারের পুঁজিপতি তোষণ আর্থিক নীতিকে দায়ী করেছেন৷ শ্রী খাঁ বলেন এই সরকার লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাকেও পুঁজিপতিদের হাতে বেচে দিচ্ছেন৷ অন্যদিকে বেকারত্বের জ্বালায় মানুষ আত্মঘাতী হচ্ছে৷ পুঁজিপতিদের লক্ষ্যই অধিক মুনাফা, কম শ্রমিকে বেশী শ্রম আদায় করে নেওয়া৷ তাই রাষ্ট্রীয় সংস্থা যত বেসরকারী হাতে যাবে ততই চাকরীর সুযোগ সংকচিত হবে৷ শ্রী খাঁর কথায় পুঁজিপতিদের শোষণ  শুধু আর্থিক ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নেই৷ শোষণের কালো হাত  শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছে গেছে৷ যুবসমাজকে পঙ্গু করে রাখা হচ্ছে৷ পুঁজিবাদী শোষণ ফ্যাসিস্ট রূপ ধারণ করেছে৷ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে৷ প্রাউটের সমাজ আন্দোলনই মানুষ কে পথ দেখাবে৷

শ্রী খাঁ দাবী করেন প্রাউটের বিকেন্দ্রিত পথে অঞ্চল ভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়ে তুলতে হবে৷ পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু পশ্চিমবঙ্গের সমস্যা একধরণের  নয়৷ শ্রীখাঁ বলেন প্রদেশ অনুযায়ী নয়, জল-হাওয়া ভৌগোলিক অবস্থান অর্থনৈতিক সমস্যা ও সম্ভাবনা দেখে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে প্রতিটি মানুষের কর্মসংস্থান করতে হবে৷ শ্রী খাঁ দাবী করেন প্রাউটের বাস্তবমুখী অর্থনৈতিক পরিকল্পনাই সমাজের সর্বস্তরের মানুষের হাতে ক্রয়ক্ষমতা পৌঁছে দেবে৷ মানুষকে আর অভাবের তাড়ণায় আত্মহত্যার পথে যেতে হবে না৷