পুঁজিপতি হাঙ্গরের গ্রাসে ভারত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ
সময়

সুইজারল্যাণ্ডের দাভোসে গত ২১শে জানুয়ারী থেকে শুরু  হয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের ৫দিনের বৈঠক৷ এই বৈঠকের প্রাক্মুহূর্তে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর আন্তর্জাতিক অধিকার রক্ষা সংঘটনের এক চাঞ্চল্যকর সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে৷ ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের ১ শতাংশ বিত্তবানের হাতে রয়েছে ভারতের জাতীয় সম্পদের  ৫১.৫৩ শতাংশ৷ মাত্র ১০ শতাংশ ধণিকশ্রেণীর  হাতে রয়েছে দেশের ৭৭ শতাংশেরও বেশি সম্পদ৷ আর দেশের ৬০ শতাংশ দরিদ্র মানুষের হাতে  রয়েছে দেশের মোট জাতীয় সম্পদের ৪.৮ শতাংশ  সম্পদ৷ আর দেশের  অর্ধেক জণসাধারাণের মোট সম্পদের সম পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে মাত্র ৯জন  ধনী মানুষের  হাতে৷ দেশের  ১ শতাংশ বিত্তবানের দৈনিক আয় ২২০০ কোটি টাকা৷ গত বছর ভারতের ১ শতাংশ বিত্তবানের সম্পদ বেড়েছে ৩৯ শতাংশ৷  এই রিপোর্টে আরও প্রকাশিত হয়েছে, ২০০৪ সাল থেকে দেশের  দরিদ্রতম ১০ শতাংশের ভাগ্যের  কোনো পরিবর্তন হয়নি৷ তারা এখনও ঋণের ভারে জর্জরিত৷

এই রিপোর্ট থেকে  আরও  জানা যাচ্ছে, ভারতের  সবচেয়ে গরীব মানুষের  সংখ্যা ১৩.৬ কোটি,  যা দেশের  জনসংখ্যার  ১০ শতাংশ৷ এই রিপোর্টে আরও  বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে  ভারতের  সবচেয়ে গরীব ৫০ শতাংশ মানুষের রোজগার কমেছে ১১ শতাংশ৷ এই রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, এ দেশের  সবচেয়ে ধনী আম্বানীর ২০১৮ সালে যা রোজগার করেছে, তা ভারতের  সব রাজ্যের ও কেন্দ্রের জলসরবরাহ, স্বাস্থ্যে ও  পরিচ্ছন্নতা খাতে মোট বরাদ্দের চেয়ে বেশি৷ মুকেশ আম্বানী মোট সম্পদের পরিমাণ ২,৮০,৭০০ কোটি টাকা৷ ২০১৮ সালে বিভিন্ন খাতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২,০৮,১৬৬ টাকা৷

ওই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের ১ শতাংশ বিত্তবান,যদি অতিরিক্ত ০.৫ শতাংশ কর দেয়, তাহলে দেশের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যখাতে  মোট বরাদ্দ প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব৷