পুঁজিপতি শোষকের চতুর পরিকল্পনায় দুর্নীতির ঘূর্ণিপাকে ভারতের রাজনীতি

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

চারবছর পর আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ জয় নিশ্চিত হতেই তিনি ঘোষণা করেন---যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি ফিরিয়ে আনব৷ প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন---২০১৪ সালে আমরাও শুণেছিলাম ‘আচ্ছা দিন এসে গেছে’৷ গত দশ বছরে সেই আচ্ছা দিন আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি৷ ট্রাম্প বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে৷ শান্তির আশায় এখুনি উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই৷

কিন্তু ভারতবর্ষের মানুষের কাছে সেই আচ্ছা দিন আজও অধরা৷ শ্রীখাঁ বলেন দেশবাসীর মাথার উপর ঋণের বোঝা৷ খাদ্যপণ্যের আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিতে গৃহিনীরা হেঁসেল সামলাতে গিয়ে হাঁসফাঁস করছে৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মূল্যবৃদ্ধি কমাতে অক্ষম বলে স্বীকার করে নিয়েছে৷

শ্রী খাঁ আরও বলেন--- ভারতের রাজনৈতিক দলগুলি স্বাধীনতার আগে থেকেই দেশীয় পুঁজিপতিদের নিয়ন্ত্রণে৷ এই পুঁজিপতিরাই রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থ দিয়ে পুতুলের মত নাচায়৷ নির্বাচনী বণ্ড সামনে আসায় পুঁজিপতি রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক বেআবরু হয়ে গেছে৷ আজ রাজনৈতিক নেতারা যে ভ্রষ্টাচার ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে এর পিছনেও আছে ওই বেনিয়াদের চতুর চাল৷ কারণ রাজনৈতিক দলের নেতারা যদি দুর্নীতিতে ডুবে থাকে কর্মী ক্যাডারও যদি ভ্রষ্টাচারে লিপ্ত থাকে তবে শোষণের বিরুদ্ধে রুঁখে দাঁড়াবার ক্ষমতা থাকে না, প্রতিবাদের নৈতিক সাহস থাকে না৷ দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতারাই কম-বেশী দুর্নীতির জালে জড়িয়ে পড়েছে পুঁজিপতিদের কুট কৌশলেই৷ শ্রী খাঁ বলেন--- এইসব রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষে আর উঠে দাঁড়ানো সম্ভব নয়৷ তাই দেশবাসীকে নূতন আদর্শ নূতন মানুষের সন্ধান করতেই হবে৷