পুরুলিয়ার হুড়া ব্লকে দেখা মিলল বিরল শ্বেত পলাশ৷ বিরল শ্বেত পলাশ গাছের লিজ নিতে বাজার দর উঠল ৮০ লাখ টাকা! শ্বেত পলাশ যে একেবারেই আজকাল দেখতে পাওয়া যায় না৷ পুরুলিয়া হুড়ার গ্রামে এই শ্বেত পলাশ গাছের সৌন্দর্য্য দেখতে হুড়ার ওই গ্রামে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে৷ সামাজিক মাধ্যমেও এই গাছের ফুলের ছবি রীতিমতো ভাইরাল৷ পুরুলিয়ার উপ উদ্যানপালন অধিকর্র্ত ডঃ সমরেন্দ্রনাথ খাঁড়া বলেন, ‘‘শ্বেত পলাশ বিরল৷ হুড়ার গ্রামে একটি গাছ রয়েছে৷ ওই গাছ বাঁচিয়ে রাখতে হবে৷ বিষয়টি উদ্যানপালন বিভাগে জানানো হয়েছে৷ বনদফতর ও উদ্যান পালন বিভাগ চেষ্টা করছে এই গাছের বীজ বা অন্য পদক্ষেপ নিয়ে গাছের সংখ্যা যাতে আরও বাড়ানো যায়৷’’
* গাছের সন্ধান - আপাতত বাঙলার তিনজায়গায় এই গাছের দেখা মিলেছে৷ পুরুলিয়ার হুড়া, বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ও নদীয়ার তেহট্ট৷
* মাসে একদিন ওজন করতে হবে৷ সেই ওজনের রিপোর্ট পাঠাতে হবে৷ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে৷
* ঔষধি গুণ -বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ, যৌন শক্তি বর্ধক ওষুধ তৈরি হয়৷ ফিরিয়ে আনে রূপ লাবণ্য৷
* গ্রামে ঘুরে যাওয়ার পরেই আমরা সতর্কতামূলক বোর্ড লাগিয়েছি৷’’
সাধারণভাবে বসন্ত গাছে যে পলাশ ফুল ফোটে তা চার রঙের হয়৷ লাল পলাশ পুরুলিয়াসহ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ফাগুনের মরশুমে ছয়লাপ হয়ে যায়৷ তবে সবচেয়ে বেশি হয় পুরুলিয়ায়৷ আর এই পলাশকে ঘিরে পুরুলিয়ার পর্যটনও এখন জমজমাট৷ তবে লাল পলাশ ছাড়াও হলুদ বা বাসন্তী, সাদা বা শ্বেত পলাশ ও নীল রঙের পলাশ হয়ে থাকে৷ নীল রঙের পলাশ একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে৷ এই গাছের ঔষধি গুণ অনেক বেশি বলে উদ্যানপালন বিভাগ জানিয়েছে৷ এই শ্বেত পলাশ থেকে বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ, যৌনশক্তি বর্ধক ওষুধ তৈরি হয়৷ সেই কারণেই এতটা দামী এই পলাশ গাছ৷ এই গাছের রসে অ্যাসিড থাকে৷ গাছের ওই রস থেকে দুরারোগ্য ব্যাধি নিরাময় হয়৷ এমনকি ক্যান্সার রোগ নির্মূল করতে শ্বেত পলাশ গাছ নিয়ে গবেষণা চলছে৷ শরীরের রূপ-লাবণ্যে উপকারী৷ এই গাছের কচি পাতার রস মাত্র ৬-৭ চামচ জলে মিশিয়ে খেলেই দেহে আলাদা লাবণ্য ফিরে আসে৷