রাজনৈতিক গণতন্ত্রের বিষময় ফল অর্থনৈতিক বৈষম্য প্রাউটের দাবী অর্থনৈতিক গণতন্ত্র

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত এক আলোচনায় বলেন-দেশে স্বাধীনতার পর থেকে গণতন্ত্রের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে৷ জনগণকে রাজনৈতিক গণতন্ত্রের সারবত্তা বুঝিয়ে কাগজে কলমে বোটাধিকার দিয়ে অর্থনৈতিক অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ জনগণ বোটাধিকারও কতটা পেয়েছে তাও সম্প্রতি ত্রিপুরা পুরনির্বাচনে প্রকাশ পেয়েছে৷ তিনি বলেন ভারতে গণতন্ত্রের নামে যে শাসন ব্যবস্থা চলছে---প্রাউটের ভাষায় তা হলো---‘‘চোখ-ধাঁধানো শোষণমূলক ব্যবস্থা৷’’

আজও দেশের কোটি কোটি মানুষ দরিদ্র, অশিক্ষিত কুসংস্কারগ্রস্ত৷ তারই সুযোগ নিয়ে একদিকে যেমন চলছে চরম অর্থনৈতিক শোষণ, অপর দিকে রাজনৈতিক তঞ্চকতা৷ ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে, ক্ষমতা ধরে রাখতে নির্বাচনে আতঙ্ক সৃষ্টি, ক্ষমতার অপব্যবহার,ভোট-জালিয়াতি গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করে৷

আচার্য প্রসুনানন্দ এই গণতন্ত্রকে পুতুল নাচের সঙ্গে তুলনা করে বলেন পুঁজিপতি শোষকরা পিছন থেকে কলকাঠি নেড়ে ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ন্ত্রণ করে৷ এমনকি কি গণমাধ্যম, বিচার বিভাগ, প্রশাসনের একটা অংশ পুঁজিপতি শোষকের অদৃশ্য অঙ্গুলী হেলনে চলে৷ তারাই রাষ্ট্রযন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করে৷ সৎ ও যোগ্য নেতারা উঠে আসতে পারে না৷ তাই সমাজের সৎ ও যোগ্য ব্যষ্টিরা আজ রাজনীতি বিমুখ৷ শোষক শ্রেণীর চতুর চালে দুর্নীতি পরায়ণ ব্যষ্টিরাই রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নিয়েছে৷ তারই বিষময় ফল গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, সাম্প্রদায়িক সংঘাতি, অর্থনৈতিক বৈষম্য চরম দারিদ্র সমাজকে গ্রাস করে নিয়েছে৷

আচার্য প্রসুনানন্দ অবধূতের কথায় গণতন্ত্র সার্থক হবার প্রাথমিক সর্তই হচ্ছে সমাজের পঞ্চাশ শতাংশের বেশী মানুষকে নৈতিকতায় প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, শিক্ষার প্রসার করতে হবে, জনগণকে সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক সচেতন হতে হবে৷ জনগণের শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবের সুযোগ নিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ও কায়েমী স্বার্থবাদীরাই ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে৷ ভারতীয় গণতন্ত্রকে এই অভিশাপ থেকে মুক্ত করতেই প্রাউটিষ্টরা এগিয়ে এসেছে৷ রাজনৈতিক গণতন্ত্রের অবসানের আর বেশী দেরী নেই৷ ‘‘রাজনৈতিক গণতন্ত্রের ধাপ্পাবাজি নয় আমরা অর্থনৈতিক গণতন্ত্র চাই’’--- এই দাবী নিয়ে প্রাউটিষ্টরা দেশজুড়ে প্রচারে নামছে৷