প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী দেশের কালো টাকা, জাল নোট,সেই সঙ্গে দেশের অভন্ত্যরে সন্ত্রাসবাদীদের যেসব তহবিল বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও পোষ্ট অফিসে রয়েছে সেগুলো বন্ধ করতে তৎপর হয়ে গত ৮ই নভেম্বর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটকে বাতিল ঘোষণা করলেন৷ তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে সঙ্গে সঙ্গে এও বললেন যে যাদের কাছে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট গচ্ছিত আছে তারা যেন অবিলম্বে ব্যাঙ্কে জমা করে৷ এই মর্মে ব্যাঙ্কের সামনে সারাদিন মানুষ লাইনে কষ্ট করে দাঁড়িয়ে দ্রুত টাকা জমা দিতে থাকেন৷ এইভাবেই সেদিন আইনি-বেআইনী কোটি কোটি টাকা দেশের ব্যাঙ্কে জমা পড়ল৷
এবার সেই জমা টাকা কার এ্যাকাউন্টে কত জমা হল, টাকার উৎস কোথায়? এইসব পর্র্যলোচনা করতে যখন আয়কর বিভাগ খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন তখন তারা দেখেন, যে নোট বাতিল পর্বে বড় বড় রাঘব বোয়ালদেরই নাম উঠে আসছে৷ এর মধ্যে তামিলনাড়ুর এক রাজনৈতিক নেতা একটি এ্যাকাউন্টে ২৪৬ কোটি টাকা জমা করেছেন স্বভাবতই প্রশ্ণ জাগে এই টাকা তিনি কোথা থেকে পেলেন৷ ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট স্ক্যানিংয়ের পর চাঞ্চল্যকর এই সংবাদই তামিলনাড়ু ও পুদুচেরী অঞ্চলের আধিকারিকরা এই ব্যাঙ্ক একাউন্টে নোট বাতিলকে কেন্দ্র করে এই ২৪৬ কোটি টাকার কথা জানতে পারেন৷ ওই বিরাট অঙ্কের টাকা যার একাউন্টেই জমা পড়ুক ওই টাকা যে তামিলনাড়ুর সেই প্রথম শ্রেণীর রাজনৈতিক নেতারই তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ পাশাপাশি রাজ্যগুলিতে মোট ৪৪১টি এমন এ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা৷ এই সমস্ত এ্যাকাউন্টগুলিতে গ্রাহকদের সম্পর্কে কোনোরকম তথ্য নেই বলে প্রকাশ৷ ইতোমধ্যে যথেষ্ট সন্দেহ থাকায় আয়কর বিভাগের সর্র্বধিক মূল্যের টাকা লেনদেনের জন্যে ২৭ হাজার ৭৩৯টি এ্যাকাউন্টের মালিককে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কারণ দর্র্শতে বলেছেন৷ এর মধ্যে মাত্র ১০ হাজার ২২০জন মাত্র কারণ দর্র্শনোর জবাব দিয়েছেন৷ আয়কর দপ্তর জানাচেছন এদের মধ্যে বেশীরভাগ গ্রাহকের জবাবে যথেষ্ট অসংগতি থাকায় তাঁরা খুবই বিরক্ত ও অসন্তুষ্ট৷
খবরে প্রকাশ পূর্বোল্লিখিত যে ব্যষ্টির এ্যাকাউন্টে ২৪৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে,তিনি নাকি প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণযোজনায় যুক্ত হয়ে কর ও জরিমানা দেবেন বলে স্বীকার করেছেন৷ তবে ধরা না পড়লে তাঁর এই বোধোদয় হ’ত কি না সন্দেহ!