মোদি ম্যাজিক উধাও হয়েছে আগেই৷ এখন দিন দিন জনগণ থেকেও আস্থা হারাচ্ছে মোদি সরকার৷ গত লোকসভা নির্বাচনে ৪০০ পারের হুংকার দিয়ে একক গরিষ্ঠতাও পায়নি৷ ২৪০ আসনে থামতে হয়েছে৷ নীতিশ নাইডুর কাঁধে ভর দিয়ে সরকার গড়তে হয়েছে৷ মোদি সরকার এখন এন.ডি.এ সরকার৷ এই অবস্থায় হিন্দুত্ববাদকে আঁকড়ে ধরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি৷
বিজেপির হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় শরীকি বাধা তো আছেই৷ কিন্তু প্রধান অন্তরায় দেশের সংবিধান ও সংবিধানের রক্ষক শীর্ষ আদালত৷ সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সহ অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ রাজ্যের একাধিক বিল আটকে রেখেছে রাজ্যপাল৷ শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় রাজ্যপাল এভাবে বিল আটকে রাখতে পারেন না৷ মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসনের আবেদন নিয়ে শীর্ষ আদালতে গিয়ে ধমক খেয়েছে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ দিতে না পেরে৷ এসব কারণেই শীর্ষ আদালতের ওপর চটেছে বিজেপি৷ দলের একাধিক সাংসদ শীর্ষ আদালতকে আক্রমণ করছে৷ স্বয়ং উপরাষ্ট্রপতিও বিজেপির দলীয় ক্যাডারদের সঙ্গে কন্ঠ মেলাচ্ছেন৷
দেশের সংবিধান অনুযায়ী-ভারতবর্ষ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র৷ উগ্র হিন্দুত্ববাদী আর এস এস বিজেপি এটা মানতে চায় না৷
উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর শীর্ষ আদালতকে কটাক্ষ করে বলেন--- যারা নির্বাচিত নয়, তারা সব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে, আইনসভাকে নির্দেশ দেবে, এটা হতে পারে না৷ সুপ্রিম কোর্টের কোন দায়বদ্ধতা নেই, সেটা আছে সরকার অথবা জনপ্রতিনিধিদের৷
প্রবীন প্রাউটিষ্ট শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন---ধনকর ভুলে গেছেন তিনি একসময় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন৷ সেই সময় তিনি কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের ওপর অনেক অনৈতিক খবরদারী করেছেন৷ মাননীয় উপরাষ্ট্রপতি তাঁর এই কথাগুলি কি পশ্চিমবঙ্গসহ অবিজেপি শাসিত রাজ্যের রাজ্যপালদেরও বলবেন?
শ্রী খাঁ বলেন---যদি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ওপর সুপ্রীমকোর্ট খবরদারী করতে না পারে তবে কেন্দ্রের বশংবদ রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যপাল বিধানসভায় জনপ্রতিনিধিদের ওপর খবরদারী করতে পারে কি? একজন উপরাষ্ট্রপতির বোঝা উচিত শীর্ষ আদালত যাই রায় দিক সংবিধান বহির্ভূত কিছু করতে পারেন না৷