নবান্নের সূত্রের প্রাপ্ত সংবাদ, নেপালীদের দার্জিলিংয়ে অনুপ্রবেশ যে ব্যাপকভাবেই চলছে- রাজ্য সরকারের কাছে তার সমস্ত প্রমাণ রয়েছে৷ দার্জিলিং পুরসভার ৪ জন কাউন্সিলার এখনও নেপালের নাগরিক৷ তাঁরা দার্জিলিংয়ে এসে রেশন কার্ড, সচিত্র ভোটার পরিচয় পত্র করে ভোটেও দাঁড়াচ্ছেন৷ ওদিকে কিন্তু নেপালের নাগরিকত্ব আছে৷
সম্প্রতি পাহাড়ে যে আন্দোলন চলছে তাতে দার্জিলিংয়ের এক কাউন্সিলার নেপালের ইলন জেলার ছড়িয়াল থেকে ১৫০ জনকে দার্জিলিংয়ে নিয়ে এসে তাদের নিয়ে এখানকার শাস্তি বিঘ্ন করেছে, এরাই জোড়াবাংলাতে তান্ডব চালিয়েছিল৷
জানা গেছে, পুলিশের তাড়া খেয়ে দার্জিলিংয়ের মহিলা কাউন্সিলার নেপালে তার বাপের বাড়ী পালিয়ে গেছে৷ আর অন্য এক কাউন্সিলারও নেপালে তাদের নিজেদের বাড়ীতে লুকিয়ে আছেন৷
নেপালীরা এখনও দলে দলে দার্জিলিংয়ে প্রবেশ করছে ও সুখিয়া পোখরি এলাকায় এদের নকল সুকল সার্টিফিকেট দেওয়াও হচ্ছে৷ সদ্য নেপাল থেকে আসা মানুষদের প্রথমে দার্জিলিংয়ের কোন স্থায়ী বাসিন্দার ছেলে বা মেয়েহিসেবে দেখিয়ে ভোটার তালিকা নাম তোলা হচ্ছে৷ পরে আবার বাবা-মায়ের নাম ভুল লেখা হয়েছে বলে সংশোধন করিয়ে নেওয়া হচ্ছে৷ এ ধরণের বহু ঘটনার নথিও রাজ্য সরকারের হাতে এসেছে ৷ দার্জিলিংয়ের অনেকে আবার নেপালে বিয়ে করে আসছে৷ এভাবেও দার্জিলিংয়ে নেপালীদের সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটানো হচ্ছে৷
প্রকৃতপক্ষে গত তিন দশকে যে দার্জিলিংয়ে অতিদ্রুত হারে নেপালীদের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটেছে, তার আসল কারণ নেপাল থেকে দার্জিলিংয়ে ব্যাপক অনুপ্রবেশ৷ পশ্চিমব৷ রাজ্যসরকার এখন এই সমস্ত তথ্য একত্রিত করে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাখিল করতে চায় ও ১৯৫০ সালের ভারত নেপাল চুক্তির পুনর্মূল্যায়ন চায়৷