এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যে ২০ থেকে ২২ লক্ষ অবৈধ টোটো রয়েছে৷ কিন্তু এর সঠিক ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সরকারের হাতে নেই৷ তাই প্রথমে ‘টোটো-সুমারি’র সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ জেলা, ব্লক, পুরসভা কিংবা নির্দিষ্ট কোনও পঞ্চায়েত এলাকার কোথায় কত টোটো চলছে, তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করবে প্রশাসন৷ টোটো মোটর ভেহিকল আইনের আওতায় না পড়লেও বিকল্প উপায়ে তা নথিভুক্তির কাজ শুরু হবে৷ তারপর সমস্ত টোটোতে বসবে ‘কিউআর কোড’৷ সেই কোড স্ক্যান করলেই টোটোর মালিকের যাবতীয় তথ্য, চলাচলের পরিধি সহ সমস্ত বিবরণ সামনে চলে আসবে৷ সেই সঙ্গে অন্যান্য গাড়ির মতো বিশেষ নম্বর সম্বলিত স্টিকারও দেওয়া হবে টোটোগুলিকে৷ শুধু তাই নয়, বাস বা অটোর যেমন নির্দিষ্ট রুট পারমিট থাকে, টোটোর ক্ষেত্রেও আগামী দিনে সেভাবেই যাতায়াতের পরিসর বেঁধে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘টোটোর জন্য রাস্তায় যানবাহনের গতি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে বলে ভূরি ভূরি অভিযোগ আসছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর সাফ নির্দেশ, রাজপথের মসৃণ গতি সুনিশ্চিত করতে হবে৷ তাই আইন মেনে টোটোকে নিয়মের মধ্যে আনার উদ্যোগ শুরু হয়েছে৷’ সেই সঙ্গে মন্ত্রীর আশ্বাস, এর ফলে টোটো চালকদের জীবন-জীবিকা কোনওভাবেই ব্যাহত হবে না৷ বরং আরও উন্নত পরিষেবার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার তাদের সবরকম সহায়তা করবে৷ প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ৬ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে পরিবহণমন্ত্রী, সচিব ও বিভাগীয় কর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন৷ সেখানে পুলিসের তরফে অভিযোগ করা হয়, যাবতীয় নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্য কিংবা জাতীয় সড়কে যাত্রী নিয়ে ছুটছে টোটো৷ প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে৷ শুধু তাই নয়, টোটোর দৌরাত্ম্যে যাত্রী হারাচ্ছে বাস, অটো সহ বিভিন্ন গণপরিবহণ৷ সরকারকে রোড ট্যাক্স জমা দিয়ে যাত্রী পরিষেবা দেয় অটো, বাস ইত্যাদি৷ কিন্তু রাস্তায় চলা লক্ষ লক্ষ টোটো থেকে রাজ্য সরকারের কোনও আয় নেই৷ এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যজুড়ে টোটো নিয়ন্ত্রণের তোড়জোড় শুরু হয়৷
সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়