রাজ্যে বি.এস.এফের এলাকা ১৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ সীমান্তবর্তী রাজ্য অসম পশ্চিমবঙ্গ ও পঞ্জাব রাজ্যের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ পঞ্জাবে শাসকদল কংগ্রেস কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করিয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আগেই চিঠি দিয়েছেন৷ এরপর বিধানসভাতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করেছে৷
রাজ্যের মুখ্য বিরোধীদল বিজেপি স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে৷ রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতাবলেন-‘‘পশ্চিমবঙ্গে বি.এস.এফের এলাকা ৮০ কিমি করা উচিত৷ রাজ্যের শাসকদলের প্রধান অভিযোগ- পিছনের দরজা দিয়ে রাজ্যে এলাকা দখলের চেষ্টা করছে কেন্দ্র৷ যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেবার আগে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত৷
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার সৌজন্যটুকু দেখায়নি৷ ১৬ই নভেম্বর রাজ্য বিধানসভায় আলোচনায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পক্ষে মত দেয় রাজ্যে বিরোধী দল৷ শাসক দলের বিধায়করা আলোচনায় বি এস.এফের বিরুদ্ধে সীমান্তে নানা বে-আইনি কাজের অভিযোগ আনে৷ বিরোধী দলের বিধায়করা প্রতিবাদে সরব হয়৷ দীর্ঘ বাদানুবাদের পর রাজ্য সরকারের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১২ টি ও বিপক্ষে ৬৩টি৷
বি.এস.এফের কাজ সীমান্তে পাহারা দেওয়া ও বে-আইনি কাজকর্ম ও নানা অপরাধ বন্ধ করা৷ পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থচট্টোপাধ্যায় বলেন রাজ্যের ৩৭ শতাংশ জমি ও উত্তরবঙ্গের সিংহ ভাগ বি.এস.এফের দখলে যাবে৷ যারা ১৫ কিমির দায়িত্বে থেকে সীমান্তে অপরাধ বন্ধ করতে পারেনি, তারা ৫০ কিমি নিয়েও কি পারবে৷