রবীন্দ্রসঙ্গীত বিকৃতির প্রতিবাদে আমরা বাঙালী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সম্প্রতি কপিল শর্মা নামক এক হিন্দী অভিনেতা তথা কমেডিয়ানের তথাকথিত কমেডি শো’তে দেখা গেল আমাদের প্রাণের কবি, বিশ্বকবি তথা দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ এই গানটিকে চরমভাবে বিকৃত করা হয়েছে৷ এই ঘটনার চরম নিন্দা জানিয়েছে ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটন৷ কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন বলিউডিদের স্বাভাবিক প্রবণতা রয়েছে একটা বাঙালীদের হেয়-প্রতিপন্ন করা৷ কপিল শর্মার শো’তে বাঙালীর প্রাণের সঙ্গে জড়িত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গীতকে নিয়ে রসিকতা, কদর্যতা অত্যন্ত নিন্দনীয়৷ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্বুদ্ধ করতে কবিগুরু ডাক দিয়েছিলেন ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে’ সেই গানের অমর্যাদা বাঙালী জাতি তো বটেই বিশ্বমানবতার ভাবধারার পথিকৃতদের ভাবাবেগে আঘাত করা৷ আসলে এরা বুঝে গেছে বাঙালীকে অপমান, হেয় করাই যায়৷ কারণ বাঙালী স্বজাতির অপমানে নিজেরাই হাসি-তামাশা করতে ভালোবাসে, প্রসঙ্গত বলা ভালো ওই অনুষ্ঠান চলাকালীন এক জন্মসূত্রে বাঙালী অভিনেত্রী বসে ছিলেন, স্বজাতির অপমান- বিশ্বকবির গানের বিকৃতিতে সে অপমানিত না হয়ে সেই অপমান নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে সেটাকে ‘এনজয়’ করেছেন! পারতো অন্য কোনো জাতির মণীষীদের নিয়ে এইরকম তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে হেয় করতে ? অবাক লাগলো বাঙলার মেইনস্ট্রীম মিডিয়া গুলো নীরব থেকেছে, কোন সম্প্রচার নেই! কেন বলুন তো? সবকটা মিডিয়ার মালিক অবাঙালী বেনিয়া৷ বাঙালী ঐক্যবদ্ধ হও, অপমান মুখ বুজে সহ্য করো না৷ আজ বাঙলার রাজধানী কলকাতার অলিতে-গলিতে বাঙালীদের অপমান করা হচ্ছে৷ এসব মুখ বুজে সহ্য করতে করতে নিজভূমে পরবাসী হয়ে উঠেছি আমরা! আর কত? কতদিন মুখ বুজে থাকবো? আজ রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে হাসি তামাশা করছে, কালকে তোমার মা-বোন-দিদি-বউ কে নিয়ে প্রকাশ্য হাসি ঠাট্টা চলবে, রাস্তায় নামিয়ে নিয়ে আসবে৷ বাঙালী ঘরে বসে এসব সহ্য করবে৷

আমরা বাঙালী সংঘটনের পক্ষ থেকে আমাদের দাবী ইচ্ছাকৃত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অপমান তথা বাঙালী জাতিকে চরম ভাবে অপমান করার জন্যে অবিলম্বে ওই কমেডি শো’দের সমস্ত অধিকর্তা সহ অভিনেতাকে ক্ষমা চাইতে হবে৷