সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চলই হবে শোষণ থেকে রক্ষাকবচ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঘোষণা করেছিল খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কমানো এখনই সম্ভব নয়৷ একটি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে অক্টোবর মাসে দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ৷ ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় কমিটির সংঘটন সচিব শ্রী তপময় বিশ্বাস বলেন--- পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত শাসন ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষ কখনই আর্থিক সচ্ছ্বলতার মুখ দেখতে পায় না৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যেভাবে খাদ্যপণ্যের  মূল্যবৃদ্ধি কমানো যাবে না বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন তাতে মুনাফাখোররা আরও সুযোগ পেয়ে যায়৷ পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত, পুঁজিবাদের অর্থে পালিত দেশের সরকার কখনই সাধারণ মানুষের  কথা চিন্তা করে না৷ আমরা বাঙালী সংঘটন দীর্ঘদিন ধরেই সামাজিক অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যে আন্দোলন করে আসছে৷ কিন্তু পুঁজিবাদের অর্থে পালিত রাজনৈতিক দলগুলি মানুষকে ভুল বুঝিয়ে আমরা বাঙালীর আন্দোলন থেকে দূরে রাখছে৷ এইসব দলগুলি আমরা বাঙালীকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে, আবার অসমে অসম গণপরিষদ, তেলেঙ্গানায়--- তেলেগুদেশম্‌ প্রভৃতি বিভিন্ন প্রাদেশিক দলগুলির সঙ্গে আঁতাত করছে যারা আক্ষরিক অর্থে প্রকৃত বিচ্ছিন্নতাবাদী৷ শ্রী বিশ্বাস বলেন---আমরা বাঙালী কোন তথাকন্ঠিত বিচ্ছিন্নতাবাদী দল নয়৷ আমরা বাঙালী একটি সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলন---যার লক্ষ্য বিশ্বের প্রতিটি শোষিত নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর আর্থিক ও সর্বপ্রকার শোষনের হাত থেকে মুক্তি৷ তাই আমরা চাই প্রাউট নির্দেশিত পথে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক সমস্যা, সম্ভাবনা ভৌগোলিক অবস্থান ভাষা-কৃষ্টি-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুযায়ী সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে সর্বপ্রকার শোষণকে দূর করা৷ ভারতবর্ষে এই ধরণের ৪২টি সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘটিত হবে৷ মনে রাখতে হবে পঞ্জাবের সমস্যা ও পশ্চিমবঙ্গের সমস্যা এক নয়৷ আবার কশ্মীরের সমস্যা ও কর্ণটকের সমস্যা এক নয়৷ তাই প্রতিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থানীয় সমস্যা গুলিকে দূর করে সেখানকার সম্পদের সার্বিক উপযোগ গ্রহণ করে এক একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে হবে৷ প্রতিটি সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চলের আর্থিক ক্ষমতা থাকবে স্থানীয় মানুষের হাতে৷ ১০০ শতাংশ কর্মসংস্থান করে প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয়ক্ষমতা তুলে দেওয়া হবে৷ এই সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলিই হবে সর্বপ্রকার শোষণের রক্ষা কবচ৷