নির্বাচনে বার বার ব্যর্থ হয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য উন্মাদের মত বাঙলা ভাগের জন চিৎকার করছে৷ ভারতযুক্ত রাষ্ট্রের মূলতঃ কোন কেন্দ্রীয় সরকারই ভাবেনি যে খণ্ডিত ভারতের উন্নয়ন ঘটানোটা অতি প্রয়োজন৷ যতগুলি একদলীয় শাসক হয়েছে সবকটি শাসক চেয়েছে লুটেপুটে খেতে ও সারাটা জীবন নিজ নিজ দলের শাসনকে জিয়িয়ে রেখে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে৷ তবে কিছু কিছু মিলিজুলি সরকার হয়েছে কেন্দ্রে তখন কিন্তু কিছুটা কেন্দ্র সরকার সংযত ছিল৷ আর ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এই দেশকে টুকরো করে শাসনব্যবস্থাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চেয়েছিল৷ তারা দেশছাড়ার আগে কিছু দেশীয় নেতা ও ধনকুবেরদের সাহায্য নিয়ে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে বাঙলা ও পঞ্জাবকে ভাগ করে দেয়৷ অত্যন্ত লজ্জার কথা দেশের রাজনৈতিক নেতা যথা হিন্দু ও মুসলমান নেতারা সেই টোপ গিলে ফেলে লোভের বশবর্ত্তী হয়ে৷ দেশমাতাকে টুকরো করতে তাদের মনে কষ্ট হয়নি এমনই দেশীয় সব নেতা এই হতভাগ্য ভারতবর্ষের! সবচেয়ে ক্ষতি হয় এই বাঙলারই!
শ্রী খাঁ বলেন---একমাত্র নেতাজী সুভাষচন্দ্রই ছিলেন অখণ্ড ভারতবর্ষের পূজারী! তাঁকে এদেশের দলতন্ত্রের নেতারা সহ্যই করতো না দলীয় স্বার্থে৷ তাই তিনি ছিলেন ধান্দাবাজদের কাছে ঘৃণার ও আতঙ্কের পাত্র৷ তবে তাঁরই আমলে কাজি নজরুল ইসলাম যিনি বিপ্লবী কবি তিনিই নেতাজীর একসভায় একটি বৈপ্লবিকগণ লিখে সুর দিয়ে সভা উদ্বোধন করেন সেটি হলো---‘‘হিন্দু না ওরা মুসলমান ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন? কাণ্ডারী বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মার!’’ কিন্তু নেতারা কি করলেন? লোভের বসে দেশকে সাম্প্রদায়িকতারভিত্ত্ ভাগ করে শাসন ক্ষমতা হাতে নিলেন? এই তো দেশ প্রীতি ও আন্তরিকতা! পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আগতদের সমাধান করেন৷ আর পূর্ব পাকিস্তান থেকে আগত বাঙালী হিন্দুদের জন্য ভারতের দণ্ড কারণ্যে কিন্তু সেটাতে বাঙালী উদ্বাস্তুদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করেন, সমাধান না হয়ে বেশ সংকটের মধ্যেই প্রাণের রক্ষায় বাঙালী মহিলাদের আর বাঙালী কর্ষকরা ঐ জমিতে চাষাবাদের তেমন কোন সুযোগ ছিল না তাছাড়া দণ্ডকারণ্যের আবহাওয়াটাও এঁদের পক্ষে সহ্য করাটাও ছিল অত্যন্ত কঠিন৷ নিরাপত্তার অভাব ছিল বড়ো৷
সুবিধা না থাকায় পঃবাঙলায় ফিরে আসেন ও এখানে বামফন্ট্রের আমলে মরিচঝাঁপিতে তাদের অত্যাচারিত হতে হয়৷ আজও সেই উদ্বাস্তু সমস্যা বাঙলায় একটি সমস্যাই কিছুটা হয়ে আছে৷ তবে বাঙলায় উদ্বাস্তুর সংখ্যাটি ছিল অত্যধিক৷ তবে বাঙালী জনগোষ্ঠী ভারতের স্বাধীনতার ছিল অগ্রদূত৷ সেই বাঙালী স্বাধীন ভারতে শুধু উদ্বাস্তু নয়, সমস্ত দিক থেকেই বঞ্চিত প্রতিটি কেন্দ্রীয় সরকারের আমল থেকে৷
বর্তমানের মোদি সরকার কেন্দ্র শাসনে আসার পর থেকেই পশ্চিম বাঙলাকে সব দিক থেকে বঞ্চিত করেই চলেছেন৷ ভাতে মেরে বাঙলা দখলের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এখন উন্মাদের মতো বাঙলা ভাগের আবাজ তুলছে৷ শ্রীখাঁ বলেন--- আজ বাঙলার ছাত্র যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বুঝিয়ে দেওয়া দরকার বাঙলা আর বাঙালী বিদ্বেষী সাম্রাজ্যবাদী শাসকের তাঁবেদারী করবে না৷