শিলচরে শহীদ বাবুল দেবের স্মরণসভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৫ই জুন শহিদ বাবুল দেব স্মরণে শিলচর ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তির পাদদেশে বিকাল ৫টায় এক শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আমরা বাঙালী৷ সংগঠনের রাজ্যেসচিব বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিন পাঁচই জুন ,উনিশ সাতাশি সালে ,আসাম চুক্তি বাস্তবায়ণ ও আইএমডিটি, আইন বাতিলের দাবীতে ১২ ঘন্টার অসম বনধের ডাক দিয়েছিল সারা অসম ছাত্র সংস্থা (আসু)৷ আসাম আন্দলনের সময়, ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৫ এই ৫ বছর বরাক উপত্যকায় আসু নামে কোন সংঘটন ছিলনা৷ ৮৫ সালের ১৫আগস্টে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী তাদের সঙ্গে আলোচনা ক্রমে চুক্তি করে তাদেরকে রাজ্য রাজনীতিতে নিয়ে আসেন৷ আন্দোলনকারীরা অসম গণপরিষদ নামে রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজ্যের ক্ষমতায় ফেরার পর এক শ্রেণীর বাঙালী বিদ্বেষীরা আসুর নাম করে বরাক উপত্যকায় রাস্তায় নামে৷

সেদিন উধারবন্দ থানার সামনে আসুর গুণ্ডাদের আক্রমণে শুরুতর আহত হন বাবুল দেব৷ আহত অবস্থায় তাকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ তিনদিন মৃত্যুর সংগে লড়াই করে ৭ জুন ইহলোক ত্যাগ করে৷ এরপর থেকে প্রতি বছর ৭ জুন দিনটিকে আমরা বাঙালী দল শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে৷

 সাধনবাবু আরও জানান, বাবুল দেবের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে উধারবন্দ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল৷ মামলা নম্বর ৭৬/১৯৮৭ চারজসিট দেওয়া হয়েছে৷ কেস রেজিস্টার করা হলেও বাঙালী বিদ্বেশী অগপ সরকার তা প্রত্যাহার করে নেয়৷ যার পরিণাম স্বরূপ বাবুল দেবের হত্যাকারীদের আর শাস্তি প্রদান করা হয়নি৷ বর্তমানে অগপ বিজেপি সরকার কৌশলে সেই কালা চুক্তিকে বাস্তবায়ন করে চলছে৷ যার পরিণাম ভয়াবহ আকার ধারণ করছে৷ নিজভূমিতে বাঙালীরা আজ চারিদিক থেকে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন সাধনবাবু৷ বর্তমান সরকার অসম চুক্তির ছয় নম্বর ধারা প্রয়োগ করে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক এবং চাকরি ক্ষেত্রেও বঞ্চিত রেখে সেই কালা চুক্তিকে কৌশলগতভাবে বাস্তবায়ন করে নেওয়া হচ্ছে৷ সম্প্রতি বিধানসভা ওলোকসভার সীমানা নিয়ে ও বরাকের দুইটি বিধানসভা বাতিল করে সরকার চুক্তি বাস্তবায়ণের প্রক্রিয়া চালিয়েছেন৷ তাই সময়ের তাগিদে পুনরায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া কোন বিকল্প নেই৷ অবিলম্বে আসাম চুক্তিকে বাতিল করে অসমে বসবাসকারী সকল বাঙালিকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে৷ একইসঙ্গে বাবুল দেবের হত্যাকারীদের শাস্তি প্রদানের জন্য পুনরায় কেস ওপেন করার দাবি ও উত্থাপন করা হয়৷অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিলচর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শংকর দে, সমর পাল, স্বপ্ণা রায় ,পান্না রায়, রুবি রায়, শিল্পী চক্রবর্তী, যীশু চক্রবর্তী ,রাজা রায় চৌধুরী, পুলক সোম, আজমল হোসেন চৌধুরী,ববি রায় প্রমূখ