শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক আর্থিক সঙ্কট এখনও চলছে, তারা পুরোপুরি এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি৷ তার মাঝে ক্রিকেট মাঠে সাফল্য পেল শ্রীলঙ্কা৷ সে কারণেই দেশবাসীকে ট্রফি উৎসর্গ করেছেন ক্রিকেটারকে৷
রাজনৈতিক ও আর্থিক সঙ্কট থেকে এখন বেরোতে পারেনি শ্রীলঙ্কা৷ দেশবাসীর দুঃখ-দুর্দশার মাঝে এশিয়া কাপ জয় সবার মুখে হাসি ফোটাবে৷ এমনটাই মনে করছেন ফাইনালের নায়ক ভানুকা রাজাপক্ষ৷ রবিবার রাতের জয় তিনি উৎসর্গ করেছেন গোটা দেশকে৷
যে এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কার মাটিতে হওয়ার কথা ছিল, তা হয়েছে দুবাইয়ে৷ তাই দাসুন শনাকা রবিবার রাতে যখন এশিয়া কাপ ট্রফি হাতে নিলেন, তখন সামনে নীল-হলুদ জার্সি ঠাসা কলম্বোর গ্যালারি ছিল না৷ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তখন হাজার তিনেক-চারেক শ্রীলঙ্কার দর্শক৷ তাদের সামনেই উল্লাসে মাতলেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা৷
ম্যাচের পর রাজাপক্ষ বলেছেন, ‘‘দুদশক আগেও ক্রিকেট বিশ্বে আমরা শাসন করতাম৷ আমাদের আগ্রাসন যে আবার ফিরে এসেছে, সেটা বুঝিয়ে দেওয়া দরকার ছিল৷ বিশ্বকাপের আগে এই ছন্দই ধরে রাখতে চাই আমরা৷ দেশে যে সঙ্কট চলছে, তাতে সবার কাছেই এটা একটা কঠিন সময়৷ তার মধ্যেও যে কিছু মানুষের মুখে আমরা হাসি ফোটাতে পেরেছি, সেটা ভেবে গর্বিত৷ গোটা দেশকে এই ট্রফি উৎসর্গ করেছি৷ অনেক দিন ধরে ওঁরা অপেক্ষা করছিলেন৷’’
দেশবাসীর উদ্দেশে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনাকার আবেদন, তাঁদের উপর আস্থা রাখা হোক৷ বলেছেন, ‘‘আমাদের ক্রিকেটারদের উপর আস্থা রাখুন৷ অনেক খারাপ জিনিস আশেপাশে ঘটে চলেছে৷ ক্রিকেটার হিসাবে আমরা জীবন উপভোগ করতে চাই৷ খারাপ জিনিস ছড়াতে চাই না৷ ক্রিকেটারদেরও ব্যক্তিগত জীবন রয়েছে৷ আমাদের উপর ভরসা রাখাটাই আসল৷ অধিনায়ক হিসেবে, আমি ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখার চেষ্টা করব৷’’
শনাকার বিশ্বাস , এশিয়া কাপ জয় আগামী দিনে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় তুলে দেবে৷ বলেছেন, ‘দু’-তিন বছর আগেও আমরা ভাল ক্রিকেট খেলছিলাম৷ কিন্তু জিততে পারছিলাম না৷ মনে হয়, এবার আমাদের দেশের ক্রিকেট ঘুরে দাঁড়াবে৷ আগামী পাঁচ-ছ’বছর চিন্তা করার কোনও কারণ নেই৷