সরকার ও করনায় আক্রান্ত জনগণ আজ ভাবুন ---তাঁদের প্রকৃত কর্তব্যটা কী !

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ভারতে তথা বিশ্বে করোনা বর্তমানে মানুষের সমাজে  এক আলোড়ণ সৃষ্টি করেছে অদ্যাবধি ভৌতিক  বিজ্ঞান তার সঠিক  হদিশ খঁুজে পেয়েছে বলে মনে হয় না তাই লক্ষ লক্ষ হতভাগ্য মানুষ  প্রাণ  হারাচ্ছেন পৃথিবীর বুকে সব দেশের  শাসক বর্গ শুধু কথার জাল বিস্তার করে চলেছেন তাঁদের  কথা বেশী কিন্তু কাজ খুবই কম দেখা যাচ্ছে এদিকে যাঁরা হৃদয়বান মানুষ তাঁরা খুবই সচেতন হয়েছেন,ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে যাঁরা অবহেলিত ও নির্যাতিত তাঁদের প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা প্রায় সব দেশেই তাঁদের পাশে এসে আর্তসেবা সেবা দিয়ে চলেছেন পৃথিবীতে আজ  একদল সেবাব্রতী বুঝেছেন মানুষের পাশে থাকতেই হবে মানুষকে বাঁচাতে

এটাই বাইরাস করোনার একটা বড়ো কাজ বলে মনে হয় অত্যন্ত দুঃখের কথা দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে দেখা গেল বিপুল লোকসংখ্যার ভারতে জনগণকে বার বার  লকডাউন করে  ঘরে আটকে রেখে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার হতভাগ্যদের তেমন রক্ষা করতে পারেন নি বরং লকডাউনে মানুষ আক্রান্ত হয়েছে বেশী সেটা সংবাদেই পাওয়া যাচ্ছে  সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় পশ্চিমবাঙলায়ও আক্রান্ত হচ্ছে দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রোগকে প্রতিহত করতে হবে প্রত্যেক মানুষকে নরনারী ও শিশু নির্বিশেষে নিজনিজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জোরে তাঁদের উপযুক্ত সুসমখাদ্য-এর প্রয়োজন, মানসিক শক্তির দরকার, নূ্যনতম মাথা গোঁজার আশ্রয়, বিশুদ্ধ বাতাস, পান করার জন্য বিশুদ্ধ জল আরও দরকার  কিছু ওষুধ সেটা হতভাগ্য দেশের কতজন পাচ্ছেন তার হিসাব কি শাসকগণ রাখেন ঘর বন্দীরা দূরত্ব বজায় রেখে ছোট ছোট  ঘরে থাকতেই পারেন না  তাই তারা  ঘরেই আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু কোন উপায় নেই সরকারের নির্দ্দেশ দেশে  কতো বাড়ি ঘর অর্দ্ধভগ্ণ হয়ে তালাবন্দী  হয়ে পড়ে আছে সেখানে অনেকেই আশ্রয় নিতে পারে সাময়িকভাবে তার তো কোনো ব্যবস্থা হয়েনি রাস্তাতে যারা জন্ম নেন, রাস্তায় তাঁরা বড়ো হয় আর রাস্তাতেই যে তাঁরা দেহ রাখেন তাঁদের কথা কে মনে রাখে, হতভাগ্য দেশে! যোগাযোগটাই বন্ধ ! কাজ অধিকাংশের নেই সংসার  চলাই তাঁদের দায়! এ যেন  এক চরম অভিশাপ তার উপর হাটে বাজারে  নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া তাকে নিয়ন্ত্রণের সরকারী কোন ব্যবস্থাই নেই লঙ্কা আজ কেজি প্রতি ২০০টাকা, আলুর দাম ২৮৩০ টাকা, সরকার ২০২২ টাকায় কেজি দরে বিক্রির কথা ঘোষণা করেছেন কেউই  বিক্রেতারা তাতে কান দেননি এই তো দেশের অবস্থা ! আজ দেশে সত্যই কি জনগণের জন্য ভাববার  কোন শাসক আছেন শুধু তাঁরা বোটের কথাই ভাবেন  আর দলাদলি করেই শক্তি ক্ষয় করে থাকেন বর্তমানে ধীরে ধীরে  যোগাযোগ করার জনগণকে সুযোগ করে দিতেই হবে দেশের কল্যাণ স্থানীয়  ডাক্তারখানা খোলার ব্যবস্থা করতে হবে লোকাল ট্রেন গ্যালপিং করে চালাতে হবে অফিস ও কার্য্যালয়ে  শিপ্ট চালু করতে হবে যাতে ট্রেনে লোক সমাগম নিয়ন্ত্রিত হয় লোকাল ট্রেন সাধারণত ছয়টা কি আটটা স্টেশনে থামবে বাজারে শাকসব্জি আনার গ্রাম থেকে সুবিধা করতে হবে তবে তো জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রিত হবে প্রশাসনকে বাজারে  দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য  সরকারী অফিসার দিয়ে নজর দাবি করতে করতে হবে শুধু দর বেঁধে দেওয়ার  সংবাদ টিভিতে ঘোষণা করলে হবে না প্রয়োজন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস রেশন মারফৎ দিতে হবে ন্যায্যমূল্যে

দেখা গেছে চরম সংকট মুনাফা খোর কারবারিরা মানুষের উপর দাম বাড়িয়ে শোষণ করে এগুলি স্থানীয় পঞ্চায়েৎ, পৌরসভা গুলির নজর দেওয়া দরকার পুলিশ  প্রশাসনের  এদিকে তাকানোটা দরকার এসব না করে শাসকদল ও বিরোধী দলগুলো শুধু গদির লড়াইতে ব্যস্ত এতে জনগণ অত্যন্ত বীতশ্রদ্ধ ও তাঁদের প্রতি  আস্থাহীন যে হয়ে পড়েছে সেটা কি তাঁরা বোঝেন না তবে এটা অপ্রিয় সত্য, দলগুলো বোটের স্বার্থে তাঁরা সব জেনে বুঝেও কিছু বলতেই মনে হয়  নারাজ তাঁরা তাঁদের গদী ছাড়া কিছুই বুঝতেই চান না তাই দলভাঙ্গাভাঙ্গী, দলে দলে ঝগড়া, কথা কাটাকাটি করে  কালাতিপাত করেন জনগণের সেবার দিকে একটু সময় দিলে দোষটা কি