১০ই মার্চ,২০২৩ বর্তমান পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বাংলায় পোস্তর ব্যবহার সবথেকে বেশী৷ এখানকার চাষীদের পোস্ত চাষ করতে দেওয়া হোক--- আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর’’---শীর্ষক সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এই লেখা৷ বাংলার মানুষ, বিশেষতঃ রাঢ় বাংলার মানুষের পোস্ত ছাড়া চলে না৷ রোজকার খাদ্যতালিকা থেকে অনুষ্ঠান বাড়ি৷ সবেতেই পোস্তর অবাধ যাতায়াত৷ কিন্তু অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে রাঢ়ের মানুষ ভুলতে বসেছে তার স্বাদ৷ রাঢ় বাংলার মাটি পোস্ত চাষের অনুকূল৷ যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নেই, তাই এরাজ্যে পোস্ত চাষ করা যায় না৷ আবগারি আইনে বাঁধা,এ থেকে মাদক দ্রব্য পাওয়া যায় বলে৷ ভালো কথা, সরকারি নিয়ন্ত্রণে চাষ তো চলতেই পারে৷ যে আইনে দেশের চারটি রাজ্যে পোস্ত চাষ হচ্ছে, সেই একই আইনে কেন বাংলায় পোস্ত চাষ হবে না? রাঢ় বাংলার জমি পোস্ত চাষের অনুকূল এবং বাংলার মানুষ সবচেয়ে বেশি পোস্ত খায়, অথচ এই রাজ্যকেই সরকারি নিয়ন্ত্রণে পোস্ত চাষের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না৷ অনেক বেশি দাম দিয়ে পোস্ত কিনে খেতে হচ্ছে বাঙালীকে৷ এই রাজ্যে চাষ হলে পোস্ত অপেক্ষাকৃত কম দামে পাওয়া যেত এবং চাষীদের ও লাভ হতো৷ বাংলার মানুষের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের দীর্ঘদিনের এই অবিচারের বিরুদ্ধে দেরিতে হলেও বর্তমান রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সরব হয়েছেন ও কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন৷ পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একমাত্র আমরা বাঙালী নামক সংঘটনকেই রাঢ় বাংলায় পোস্ত চাষের অনুমতি দেওয়ার জন্য দাবী জানিয়ে আসতে দেখেছি৷ এখন মুখ্যমন্ত্রীও এই দাবীর যথার্থতা বুঝতে পেরে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছেন পোস্ত চাষের বৈধ অনুমতি চেয়ে৷ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বাঙালী নেতৃবৃন্দ কী এ ব্যাপারে সরব হবেন না? বিভিন্ন দলের মধ্যে মতাদর্শগত ভেদ থাকতেই পারে, কিন্তু বাঙালীর পাতে সস্তায় পোস্ত তুলে দিতে পারলে বাংলার সব মানুষই খুশি হবেন৷ তাছাড়া চাষীরাও পোস্ত চাষের বৈধ অনুমতি পেলে অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভবান হবেন৷ বাংলা ও বাঙালীর স্বার্থের কথা চিন্তা করে সম্মিলিতভাবে রাজনৈতিক দলগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বৈধভাবে পোস্ত চাষের অনুমতির দাবী জানিয়ে দেখুন না কাজের কাজ কিছু হয় কিনা৷
সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়