স্থানীয় জনগোষ্ঠীর দাবীর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ গত ৯ই জানুয়ারী শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় বলেন--- অবিলম্বে প্রাউটিষ্টদের সামাজিক,অর্থনৈতিক আন্দোলনকে জোরদার করতে হবে৷ তিনি বলেন অশুভ শক্তি দেশকে গ্রাস করে নিয়েছে৷ মুষ্টিমেয় কিছু ধনকুবের দেশের সম্পদের সিংহভাগ কুক্ষিগত করে রেখেছে৷ দেশে খুব শীঘ্রই সামাজিক অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘনিয়ে আসছে৷ এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে প্রাউটিষ্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে৷ প্রাউটের সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায় নিয়ে গিয়ে ধনকুবেরদের ও দেশের অর্থনীতিবিদদের বাধ্য করতে হবে পুঁজিবাদ নির্ভর অর্থনৈতিক কাঠামোর খোলনলচে পাল্টাতে৷ আর্থিক পরিকল্পনার সুবিধা যাতে সমাজের সবশ্রেণীর মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে প্রাউটিষ্টদের সেটা দেখতে হবে৷ পুঁজিবাদের স্বার্থ পূর্ত্তির কেন্দ্রীয় অর্থনীতির ভিত্তি ভেঙ্গে বিকেন্দ্রিত অর্থনীতির পরিকল্পনা গড়ে তুলতে হবে৷ শ্রীপ্রভাত খাঁর কথায় ভারত বহু ভাষা ভাষী জনগোষ্ঠীর একটি যুক্তরাষ্ট্র যেখানে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর চালচলন আচার আচরণ খাদ্যাভ্যাস পোশাক-আশাকে বিভিন্নতা রয়েছে৷ এই বিভিন্নতার বৈশিষ্ট্যকে বাঁচিয়ে চলতে প্রত্যেকটি জনগোষ্ঠীর স্থানীয় আঞ্চলিক দাবী রয়েছে৷ এই আঞ্চলিক দাবীর ওপর গুরুত্ব দিয়ে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে৷ দিল্লীর ঠাণ্ডা ঘরে বসে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করলে হবে না৷ পঞ্জাবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা একই রকম হতে পারে না৷  আবার পশ্চিমবঙ্গেই পুরুলিয়ার অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও পূর্ববর্ধমানের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা একই রকম হতে পারে না৷ অর্থনৈতিক পরিকল্পনার শুরু করতে হবে ব্লকগুলিকে ভিত্তি করে৷ অর্থাৎ প্রত্যেক ব্লকের কৃষিভিত্তিক সম্পদের ওপর নির্ভর করে কৃষিশিল্প ও কৃষি সহায়ক শিল্প গড়ে তুলে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান করতে হবে ও জীবনধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্ত্তির ক্রয় ক্ষমতার ব্যবস্থা করতে হবে৷