আর.জি.কর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় গত ২০শে আগষ্ট শুণানিতে প্রধান বিচারপতি বি.ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন--- কলকাতার একটি হাসপাতালের ঘটনা শুধু একটি ভয়ঙ্কর খুনের মামলা নয়, একটা ঘটনা সারাদেশে ডাক্তারদের সুরক্ষায় লাগাতার ব্যর্থতাকে সামনে এনে দিয়েছে৷ আর একটি মর্মান্তিক ঘটনার জন্যে আমরা অপেক্ষা করতে পারি না৷ তাই কোলকাতা উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মামলা শুণলেও সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ বিচারপতিরা বিহার, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্রের উদাহরণ তুলে ধরেন৷ তারপরেই জাতীয় টাস্ক ফোর্স ঘটনের সিদ্ধান্ত জানান সুপ্রিম কোর্ট৷ এই টাস্ক ফোর্সের মাথায় থাকবেন নৌ-সেনার মেডিকেল সার্ভিসের ডিজি৷ এছাড়া আটজন বিশিষ্ট চিকিৎসক ছাড়াও থাকবেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্বাস্থ্য সচিব৷
এদিন সুপ্রিমকোর্ট আরও প্রশ্ণ তোলেন--- মৃত দেহ উদ্ধারের পর এফ.আই.আর দেরি কেন? আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হল কেন? অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ইস্তফা দেওয়ার পর তাকে অন্য হাসপাতালে পোষ্টিং দেওয়া হল কেন?
গত ১৪ই আগষ্ট রাতে ভাঙচুরের সময় পুলিশের ভূমিকা কি ছিল? ওই দিনের ঘটনার প্রতিবেদন দিতে হবে রাজ্যকে৷ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বল প্রয়োগ করা যাবে না৷ কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও নির্যাতিতার নাম, ছবি ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় সুপ্রিম কোর্ট উদ্বিগ্ণ৷