গত ২৭,২৮,২৯শে জানুয়ারী ত্রিপুরা রাজ্যের আনন্দমার্গ স্কুলে তিন দিনের এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই সভায় ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে আনন্দমার্গের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন৷
প্রশিক্ষক হিসেবে গিয়েছিলেন কলকাতা থেকে আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত ও আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ সভায় আলোচ্য বিষয় ছিল ব্রহ্মভাব ও মানব জীবন, প্রগতি ও পঞ্চবেদনা, আনন্দমার্গ যোগ সাধনার বৈশিষ্ট্য ও সংগচ্ছধবং৷ আচার্য সুধাক্ষরানন্দ আলোচনা করেন ব্রহ্মভাব ও মানবজীবন ও যোগসাধনার বৈশিষ্ট্য বিষয়৷ মন্ত্রসিদ্ধানন্দ আলোচনা করেন সংগচ্ছধবং, প্রগতি ও পঞ্চবেদনা বিষয়ে৷
২৮শে জানুয়ারী অপরাহ্ণে তেলিয়ামুড়া শহরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বিভিন্ন পথে পরিক্রমা করে ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ পথ সভায় বক্তব্য রাখেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ এই সেমিনারের সংঘটক ছিলেন আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত আচার্য কৃতাত্মানন্দ অবধূত
অসম প্রদেশের বরাক ভ্যালির শিলচর আনন্দমার্গ স্কুলে গত ৩,৪,৫ই ফেব্রুয়ারি অনুরূপ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এখানেও প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত ও আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ ৪ঠা জানুয়ারি অপরাহ্ণে আনন্দমার্গ স্কুল সংলগ্ণ লিংক রোডে একটি প্রকাশ্য সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সভায় বক্তব্য রাখেন সমর পাল, অনিতা চন্দ ও আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ বলেন সমাজের সর্বস্তরে আজ ঘুন ধরে গেছে৷ ধর্মের নামে ব্যভিচার, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সাংস্কৃতির অঙ্গনে বেলেল্লাপনা, শিক্ষাক্ষেত্রে উশৃংঙ্খলতা মানুষের সমাজ ও সভ্যতাকে বিপন্ন করে তুলেছে৷ আদর্শ নেতৃত্ব ঘটনের একমাত্র পথ আধ্যাত্মিক অনুশীলন৷ এই আধ্যাত্মিক অনুশীলনই মানুষকে প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তুলবে, তার জন্য মানুষকে সমস্ত প্রকার ধর্মমতের ঊধের্ব উঠে, সমস্ত প্রকার সামাজিক বিভেদবিদ্বেষকে দুরে সরিয়ে মানুষকে এই আধ্যাত্মিক অনুশীলনকেই, এই সাধনাকেই মানব ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করতে হবে৷ তবেই সম্ভব হবে এক আদর্শ সমাজ ঘটন৷ সভার শেষে প্রায় শতাধিক মানুষের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয়৷ অনুষ্ঠানটির পরিচালনায় ছিলেন আচার্য চিরাগতানন্দ অবধূত, শিলচর ডায়োসিস সচিব, ভুক্তি প্রধান শ্রী পান্না রায়, ও স্থানীয় ইয়ূনিটের মার্গী ভাই-বোনেরা৷