নেদারল্যান্ডসের বোটিক ফান জান্ডশুপের বিরুদ্ধে৷ স্ট্রেট সেটে হেরে যান নাদাল৷ ম্যাচের পর কথা বলতে গিয়ে ভারী হয়ে এল গলা৷ থামলেন বেশ কয়েক বার৷ শেষ পর্যন্ত জানালেন, টেনিস খেলার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও শরীর দিচ্ছে না বলে বাধ্য হয়ে সরে যাচ্ছেন৷
নাদালের হার এবং স্পেনের বিদায় নেওয়ার বিষয়টা মাথাতেই ছিল না মালাগার পালাসিয়ো দে ডিপোর্টেস এরিনার হাজার বিশেক সমর্থকের৷ ‘ভামোস রাফা’ শব্দে মুখরিত স্টেডিয়াম৷ নাদাল কথাই বলতে পারছিলেন না৷ সতীর্থেরাও তখন আবেগপ্রবণ৷ তাঁদেরও চোখের কোনায় জল৷ কষ্ট করে নিজেকে সামলাচ্ছিলেন নাদালও৷
তার পরে বললেন, ‘‘আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ৷ এত ভালবাসা পেয়েছি যে বুঝতে পারছি না কোথা থেকে শুরু করব৷’’ একটু থেমে বললেন, ‘‘২০ বছরের কেরিয়ারের বরাবর আপনারা সাহস জুগিয়েছেন, পরের পয়েন্ট জিততে সাহায্য করেছেন৷ কঠিন মুহূর্তে আমার পাশে থেকেছেন৷ আমি লড়াইয়ের সাহস পেয়েছি৷ স্পেন এবং গোটা বিশ্বে সমর্থকদের ভালবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত৷’’
নাদাল জানালেন, জোর করে নিজেকে না টেনে পরের প্রজন্মের উদ্দেশে দরজা খুলে দেওয়ার দরকার ছিল৷ বলেছেন, ‘‘সত্যি কথাটা হল, কোনও ক্রীড়াবিদই চায় না এই মুহূর্ত কোনও দিন আসুক৷ আমি টেনিস খেলতে গিয়ে কখনও ক্লান্ত হই না৷ কিন্তু শরীর আর চাইছে না টেনিস খেলতে৷ পরিস্থিতি মেনে নিতেই হবে৷ আমি কৃতজ্ঞ৷ নিজের পছন্দের একটা বিষয়কে পেশা বানাতে পেরেছি৷ যত দিন ভেবেছিলাম তার থেকে বেশি দিন খেলেছি৷’’
কোর্টের মাঝে নাদাল দাঁড়িয়ে কথা বলার পর বড় পর্দায় ভেসে উঠল একের পর এক ভিডিয়োবার্তা৷ কে ছিলেন না সেখানে৷ রজার ফেডেরার, নোভাক জোকোভিচ, অ্যান্ডি মারে, সেরিনা উইলিয়ামস, আন্দ্রে ইনিয়েস্তা, ইকের কাসিয়াস, ডেভিড বেকহ্যাম, রদ্রি, কনচিতা মার্তিনেস, সের্জিয়ো গার্সিয়া-সহ বহু নাম৷