সাদা হাতির দেশ থাইল্যাণ্ডে বিপদের মুখে পোষ্য হাতিরা! খবরে প্রকাশ থাইল্যাণ্ডে ২৫ বছর ধরে একসঙ্গে ছজন পর্যটক পিঠে বহনের কারণে বেঁকে গিয়ে নীচে নেবে গিয়েছে পোষ্য হাতির মেরুদণ্ড৷ বেশির ভাগ পর্যটকই থাইল্যাণ্ডে গিয়ে হাতীর খোঁজ করেন৷ তাদের আবদার মেটাতে গিয়ে একসময় যে পাইলিন (হাতির নাম) দাপিয়ে বেড়িয়েছে থাইলাণ্ডের রাজপথে ২৫ বছর ধরে৷ আজ সেই হাতী ধুঁকছে অভয়ারণ্যে৷ একাত্তর বছর বয়সের ভারে হস্তিনীর পিঠ ঝঁুকে গেছে নীচে৷ ঠিক যেন মেরুদণ্ডটি মাঝখান থেকে ভেঙ্গে গিয়ে কোনরকমে প্রাণে বেঁচে রয়েছে সে৷ পাইলিনের মতো ২৪টি অবসরপ্রাপ্ত হাতিদের ঠাঁই হয়েছে এই ওয়াইল্ড লাইফ ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন অব থাইল্যাণ্ড (ডব্লিউ এফ এফ টি) নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তৈরী এই অভয়ারণ্যে৷ সম্প্রতি তাঁদেরই পোষ্ট করা ছবিতে ধরা পড়েছে ‘পাইনিলের’ ভগ্ণস্বাস্থ্য
একটি সমীক্ষায় প্রকাশ, বছরে গড়ে ২০০টি করে হাতি মরছে থাইল্যাণ্ডে কিন্তু জন্ম নিচ্ছে মাত্র ১৫টি৷ থাইল্যাণ্ডে এই হাতি মৃত্যুর একটা বড় কারণ অতিরিক্ত ভারবহন ও অপুষ্টি, অথচ এই নিষ্ঠুরতা রুখতে সেদেশে কোন পাকাপাকি আইন নেই৷ এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের কাছে ডব্লিউ.এফ.এফ.টির আর্জি---ক্ষণিক আমোদের জন্য হাতির পিঠে ভ্রমণ করা বন্ধ করুন৷