আনন্দমার্গকে পৃথিবী থেকে চিরতরে নিশ্চিহ্ণ করার চক্রান্তের পরিকল্পনা স্বরূপ তৎকালীন কমিউনিষ্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন সরকারের প্ররোচনায় ও সেই সময়কার ভারত সরকার আনন্দমার্গের প্রবক্তা ও প্রাণপুরুষ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মিথ্যা মামলায় পটনা বাঁকিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটকে রাখে ও প্রাণে মারার জন্যে জেলের মধ্যে বিষপ্রয়োগ ও ক্রমাগত শারীরিক নির্যাতন করার প্রতিবাদে ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে ১৯৭৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি জার্মানির বার্লিন শহরে ব্রহ্মচারিণী উমা আচার্যা’ ও আচার্য লোকেশ ব্রহ্মচারী আত্মাহুতি করেন৷ প্রসঙ্গত উল্লেখনীয় যে ধর্মগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর মুক্তির জন্যে ভারত ও বহির্ভারতে মোট আটজন সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনী এভাবে গুরুর মুক্তির দাবীতে আত্মোৎসর্গ করেন৷ অবশেষে দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর পটনা উচ্চতর আদালতের রায়ে আনন্দমূর্ত্তিজী ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী সহ আরও চারজন শিষ্য বেকসুর খালাস পেয়ে জেল থেকে ১৯৭৮ সালের ২রা আগষ্ট মুক্তি লাভ করেন৷
গুরুদেব ১৯৭৮সালে উমা ব্রহ্মচারিণীর স্মরণে আনন্দনগরে মহিলা বিভাগের বহুমুখী জনকল্যাণমূলক কাজ-কর্ম পরিচালনা করার জন্যে একটি নির্দিষ্ট এলাকা নির্ধারিত করে ‘‘উমা নিবাস’’ নামকরণ করেন৷
উমা ব্রহ্মচারিণীর গুরুর প্রতি ঐকান্তিক ভক্তি ও আত্মোৎসর্গ দিনটি অর্থাৎ ৮ই ফেব্রুয়ারি প্রতি বৎসর ‘‘আত্মোৎসর্গ দিবস’’ হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে৷ এই উপলক্ষ্যে ৮ই ফেব্রুয়ারী’২৫ ‘‘উমা নিবাস মহিলা শিশুসদনে’ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম নাম সংকীর্তন, বস্ত্র ও কম্বল বিতরণ ও নারায়ণসেবার আয়োজন করা হয়৷ অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনগণ ও বিভিন্ন জায়গায় থেকে আনন্দমমার্গীগণ অংশগ্রহণ করেন৷