বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন---বাংলাদেশে যা ঘটছে তা ভাবজড়তা কেন্দ্রিক ন্যায়নীতি বর্জিত, অবৈজ্ঞানিক অমনস্তাত্ত্বিক দর্শনের অনুগামীদের বীভৎস দানবীয় দাপট৷ এই সর্বনাশা উন্মত্ততা কোনপক্ষেরই কোন কল্যাণ করবে না৷ শ্রী খাঁ বলেন ভাবজড়তা কেন্দ্রিক উপধর্মের পাণ্ডারা সুকৌশলে চালিত করে ধনিক শ্রেণীর স্বার্থরক্ষা করতে৷ অজ্ঞ অচেতন মানুষগুলো বোঝেই না এই অন্ধ উন্মত্ততা শুধু ভায়ে ভায়ে বিভেদ সৃষ্টি করে নিজেদেরই সর্বনাশ করছে৷ বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রের শাসকবর্গই ভাবজড়তা কেন্দ্রিক উপধর্মের আশ্রয় নিয়ে নিজের দেশের নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে, তাদের ভুলপথে চালিত করছে৷ ওইসব আত্মস্বার্থ মানুষের মধ্যে জাতি-উপজাতি, মুসলমান অমুসলমান বিভেদ সৃষ্টি করে শোষণের ষ্টীমরোলার চালিয়ে যেতে৷
পরিশেষে শ্রী খাঁ বলেন---আজ পৃথিবীতে এক আদর্শগত শূন্যতা দেখা দিয়েছে৷ এই শূন্যতার ফাঁক দিয়েই ভাবজড়তা কেন্দ্রিক উপধর্মাশ্রিত দানবীয় শক্তির প্রাদুর্ভাব ঘটেছে৷ এই বীভৎস পরিস্থিতি থেকে ত্রাণ পাওয়ার একমাত্র পথ নব্যমানবতা ভিত্তিক প্রাউট দর্শনের বাস্তবায়ন৷ প্রাউটই সমস্ত প্রকার সামাজিক, অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানের একমাত্র পথ৷ প্রাউটিষ্টদের যেমন ভাবজড়তা কেন্দ্রিক দর্শনের বিরোধিতা করতে হবে ও মানুষের মধ্যে শিক্ষার ও যুক্তি সম্মত চিন্তার প্রসার ঘটাতে হবে৷ মানুষের মধ্যে সামাজিক,অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক চেতনা জাগিয়ে তুলতে হবে৷ পাশাপাশি অবহেলিত নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই জনজীবনের যথাযথ উন্নতি করতে হবে৷ নতুবা উপধর্মাশ্রিত দানবীয় শক্তির দাপটে মানব সমাজ ধবংসের কিনারে পৌঁছে যাবে৷
তিনি আরও বলেন মানুষকে প্রকৃত ধর্মের তথা মানব ধর্মের শিক্ষা দিতে হবে, আধ্যাত্মিকতার পথে পরিচালিত করতে হবে৷ এই আধ্যাত্মিকতার পথেই উপধর্মকেন্দ্রিক ভাবজড়তার হাত থেকে ও দানবীয় শক্তির দাপট থেকে মানুষ মুক্তি পাবে৷