প্রাউটিষ্ট ইউনিবার্র্সলের দিল্লি সেক্টরের সচিব আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত বলেন, দেশে সম্পদের অভাব নেই, সুষ্পষ্ট নীতি পরিকল্পনা ও রাষ্ট্র নেতাদের সততা সদিচ্ছার অভাবে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলি পুঁজিপতিদের অর্থে পুষ্ট হওয়ায় তাদের স্বার্থরক্ষা করতেই ব্যস্ত থাকে৷ সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই, ইচ্ছাও নেই৷
আচার্য সুপ্রভানন্দ বলেন---প্রাউটের বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ফলপ্রসূ পরিকল্পনার ভিত্তি হবে উৎপাদন সম্ভাব্যতা, উৎপাদন ব্যয়, ক্রয় ক্ষমতা ও স্থানীয় মানুষের সামূহিক প্রয়োজনীয়তার উপর৷ এছাড়াও কোন অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়তে অর্থনীতির নিয়ামকদের জানতে হবে--- সেই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ,ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, জলবায়ু, নদীর গতি-প্রকৃতি, পরিবহন ব্যবস্থা শিল্প সম্ভাবনা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সামাজিক অবস্থা৷
উপরিউক্ত তত্ত্ব ও আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে প্রাউট স্বয়ং সম্পূর্ণ সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে স্থানীয় মানুষের সার্বিক বিকাশ করতে চায়৷ তবে প্রথমেই জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন যেমন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা চিকিৎসার জন্য প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা দিতে হবে৷
আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত আরও বলেন, প্রাউট পূর্ব উত্তর পূর্বাঞ্চলের পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, উড়িষ্যা, অসম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের বাংলাভাষী অঞ্চল নিয়ে সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল বাঙালীস্তান গড়তে চায়৷ যারা মানব সমাজের প্রকৃত কল্যাণ চায় তাদের উচিত পুঁজিবাদ নির্ভর কেন্দ্রিত অর্থনীতির খোলনলচে পাল্টে প্রাউটের এই প্রগতিশীল আর্থিক পরিকল্পনার বাস্তবায়নের জন্যে সচেষ্ট হওয়া৷
এক প্রশ্ণের উত্তরে আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত বলেন চলতি লোকসভা নির্বাচনে প্রাউটিষ্টরা প্রাউটের এই সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত প্রার্থীদের সমর্থন করবে৷