কে বেশী শক্তিশালী---কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা না মানুষের অদম্য ইচ্ছাশক্তি---কিভাবে সম্ভব হল এমন ঘটনার যুক্তি দিয়ে উত্তর দিতে পারছেন না প্রযুক্তির স্রষ্টা বিজ্ঞানীবার্র্ত৷
নেদারল্যাণ্ডের ২৮ বছরের তরতাজা যুবকের নিম্নাঙ্গ অসাড় হয়ে গিয়েছিল ১৯১১ সালে চীনে হওয়া এক সাইকেল দুর্ঘটনায়৷ ১২ বছর অচল থাকার পর ফের তিনি নিজে দাঁড়িয়ে হাঁটা শুরু করেছেন৷ এমন অসম্ভব কিভাবে সম্ভব হল৷
জানা গেছে জাটের দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্ত্তি অবস্থায় জানতে পারলেন---তার নিম্নাঙ্গ অসাড় হয়ে গেছে৷ এই অবস্থায় কোন মতে তিনি নেদারল্যাণ্ডে বাড়ি ফিরে আসেন৷ ফিজিও থেরাপি, হুইল চেয়ার রাগটি কোন কিছুতে কোন কাজ হয়নি৷ এইভাবে ৮০ বছর কেটে যাওয়ার পর সুইজারল্যাণ্ডের একজন বিখ্যাত নিউরোলজিষ্ট গ্রেগ্রো কুতি?? নিউ পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের হাঁটানোর জন্য তিনি হিউম্যান ট্রায়ালের দরখাস্ত নিচ্ছেন৷ ডাক্তার লুসানে বলেছিল মনের জোর থাকলে জাট আবার হাঁটতে পারবে৷ জাটের নিউরো সার্জেনের কথা অনুযায়ী দুটো কানিয়াটোমি করা হয়েছে তার খুলিতে৷ আনা হয়েছে দুটো ইলেকট্রোড, আর পাত্রর চলাচলের জন্য স্পাইনাল কর্ডের নির্ধারিত অংশে বসানো হয়েছে দুটি ইমপ্ল্যান্ট, যা বাইরে থেকে চার্জ দেওয়া যায় এই দুটো পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত ডিজিটাল ইলেকট্রনিক ইম্পালসমবাহী তার৷
এবার শুরু হয় আসল পরীক্ষা, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স মেশিন লার্নিং ও অসংখ্য ব্রেন সিম্যুলেশন-এর শোথ চেষ্টায় জাটের হাঁটুর ইচ্ছাকে বদলে ফোলা বৈদ্যুতিক ইম্পালসে৷ তারপরে শুরু হয় এ্যালগারিয়াম লেখা, যা সেই ইম্পালসকে উত্তেজিত করবে মেরুদণ্ডের ওপরে থাকে ইমপ্ল্যান্টকে যা পড়ে নিয়ে পায়ের পেশীকে সচল বহার নির্দেশ দেবে সে৷ হাজারো লাখো বার চেষ্টার থাকা ১২ জনের মধ্যে একমাত্র জাট নিজের পায়ে ফের হাটতে শিখেছেন, তিনবছরের কঠিন তপস্যার পর৷
ব্রেন স্পাইন ইন্টারফেসের প্রাণশক্তি আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের বলে বলীয়ান এক ডিকোডার৷ যা বসানো রয়েছে জাটের পিঠের ব্যাকপ্যাকে৷ এভাবে ভাবনা দিয়ে হাঁটার যুদ্ধে বিশ্বে প্রথম সফল জাট৷