February 2022

‘‘অমর দাদা সত্যপরানন্দ’’

আচার্য প্রবুদ্ধানন্দ অবধূত

যে দীপশিখা জ্বেলেছিলে তুমি,

নিজ অন্তর হৃদয়ে,

তাহা দিলে তুমি শত

সহস্র ভক্ত প্রাণে ছড়ায়ে৷

হাসি খুশী মুখ সদাই,

কর্ম দ্যোতনায় ভরা আঁখি,

আর তো দেখি না আজি৷

চলে গেলে ৰাৰার কোলে,

সকলকেই পিছনে ফেলে,

দিলে মোদের এইভাবে ফাঁকি৷

অসম থেকে কোলকাতা,

কৃষ্ণনগর থেকে বারাণসী,

সর্বত্রই তোমার দৌড়৷

আনন্দমূর্ত্তিজীর বাণী, ও

তাঁর আদর্শ প্রচারিলে

বিশ্বব্যাপী কৃতিত্বে তুমি মধুর৷

ভালবাসা দিতে তুমি,

আদর্শ গত প্রাণ, আত্মসমর্পণ,

উজাড়িলে সবই তুমি৷

সারগাসো সমুদ্র তৈরী হবার কারণ

সেকালের বড় বড় জানোয়াররা অথর্ব হয়ে যেত তারা তখন একটি নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে ভূমিশয্যা গ্রহণ করত ও কয়েকদিন পরে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করত৷ কোন কোন পণ্ডিতের মতে ওইসকল স্থানে মৃত পশুর অস্থি ও বসা জমে যেত৷ স্থানটি সমুদ্রের নিকটবর্তী ত্রিজলা এলাকা হলে সমুদ্রগর্ভে বা ৰৃহৎ হ্রদগর্ভস্থ স্থানে যে জলপাক বা কুম্ভীপাক বা দহ সৃষ্টি হত শেষ পর্যন্ত তাদের দেহাবশেষ ওই দহে ঘুরপাক খেতে খেতে ভাসা দ্বীপে  বা সারগাসো সী-তে (সরসাগর) পরিণত হত৷ এই সারগাসো সী বা সর-সাগরের উপরিস্থিত মাটি জলের বেশ গভীরেও যেত৷ অতীতে প্রাণীদেহ থেকে যেখানে সারগাসো সী তৈরী হত, বেশ কিছু পণ্ডিতের  মতে আজ আমরা সেখানেই ভূ-গর্ভ থেকে তেল  পাচ্ছি৷

শ্যামাপাখী

ৰাঙলা তথা পূর্ব ভারতের একটি ক্ষুদ্রাকার পাখী হচ্ছে শ্যামা৷ ছোট  এই পাখিটি দেখতে তেমন সুন্দর না হলেও এর কন্ঠস্বর আকর্ষক৷ এই পাখীটিরও নাম কালিকা৷ সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতায় আছে---

‘‘কোথায় ডাকে দোয়েল শ্যামা

ফিঙে গাছে গাছে নাচে রে,

কোথায় জলে মরাল চলে

মরালী তার পিছে পিছে৷৷’’

(শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের রচিত আমাদের প্রতিবেশী পশু ও পক্ষী গ্রন্থ থেকে সংগৃহীত)

 

ন্যাজ সর্বস্ব

দ্যোতমানা শক্তির বৈবহারিক অভিব্যক্তি তোমরা ব্যষ্টিগত জীবনে হয়তো অনেক বারই দেখে থাকবে৷ এ সম্বন্ধে দু’একটা ছোট ছোট গল্প শোনাচ্ছি, মিলিয়ে দেখ৷

আনন্দনগরে ফুটবলের উন্নয়নে আলোচনা

আনন্দনগরে ফুটবলের উন্নয়ণের জন্যে গত ২২শে নভেম্বর প্রাক্তন ফুটবল ক্রীড়াবিদ শ্রী সূর্যাবিকাশ চক্রবর্তীর সহায়তায় ময়দানের ইষ্টবেঙ্গল তাঁবুতে ইষ্টবেঙ্গল ক্লাবের সর্বময়কর্র্ত শ্রী দেবব্রত সরকারের সঙ্গে আনন্দনগরের রেক্টর মাষ্টার আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূতের আলোচনা হয়৷ তাঁদের মধ্যে আনন্দনগরে ফুটবলের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা হয় ও ইষ্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন শ্রী দেবব্রত সরকার৷

 

আনন্দনগরে মহিলা ফুটবল প্রশিক্ষণ

৩ থেকে ৫ই ডিসেম্বর ২০২১ আনন্দনগর সংলগ্ণ জয়পুর ও কোটশিলা থানার রোপো,সিধি-জামবা,ঘাগরা ও চিৎমু, টাটোয়াড়া, নোহায়াতু অঞ্চলের মহিলা ফুটবল খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি সিলেকশন ট্রায়াল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আনন্দনগর প্রাইমারী স্কুল মাঠে৷

ট্রায়াল ম্যাচ আই.এফ.এ (ইন্ডিয়ান ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন)-এর তত্ত্বাবধানে হবে৷ এখান থেকে নির্বাচিত খেলোয়াড়রা কলিকাতায় মহিলা ফুটবলের সিনিয়র  ডিভিশনে খেলার সুযোগ পাবে৷

 

অসীমানন্দ স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতা

স্পিরিচ্যুয়াল স্পোর্টস এডভেঞ্চারস ক্লাবের পরিচালনায় এক দিবসীয় অসীমানন্দ স্মৃতি নক্‌-আউট ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় গত ৭ই নভেম্বর আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুল মাঠে৷ পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মোট আটটি টিম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে৷

প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় আড়ষা এন.বি.এম৷ বিজেতা ডামবেরা ট্যাঁড়ের ডি.এফ.সি৷ সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় রোহিত বাউড়ি৷ ম্যান অব্‌ দি ম্যাচ শিমুল টুডু, সর্বচ্চ গোলদাতা সন্তোষ, ডামবেরা ট্যাড়ের খেলোয়াড়৷ শ্রেষ্ঠ গোলরক্ষক বিধান রাজোয়াড়, চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় প্রথম গোলদাতা-শংকর মান্ডি৷

 

আর কে.সি নক-আউট ফুটবল প্রতিযোগিতা

গত ৫ ও ৬ই নভেম্বর আনন্দনগর প্রাইমারী স্কুল মাঠে আর.কে.সিং নক-আউট ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় আনন্দনগর আনন্দমার্গ স্পোর্টস একাডেমির পরিচালনায়৷ আট দলের এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় সিং  ঘাবরা আদিবাসী ক্লাব৷ বিজেতা ছকুডি ফুটবল ক্লাব৷ সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় নির্বাচিত হন কৃষ্ণপদ হাঁসদা, ম্যান অব দা ম্যাচ শিকারী হাঁসদা৷

কোচবিহারে সাধনা শিবির

 গত ২৬-২৮শে নভেম্বর কোচবিহার জেলার খাগড়াবাড়ি আনন্দমার্গ স্কুলে এক সাধনা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল৷ উক্ত সাধনা শিবিরে আনন্দমার্গের যোগ সাধনা পদ্ধতির বিভিন্ন দিক নিয়ে ও বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতিতে যোগ সাধনা অনুশীলনের প্রয়োজন ও গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা করেন আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত,আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত, আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা৷

আন্দোলনে ইতি, গৃহমুখী কর্ষকরা

তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর কর্ষকদের সব দাবী মানার লিখিত প্রতিশ্রুতি পেয়ে দীর্ঘ কর্ষক আন্দোলনে ইতি টানলেন কর্ষকরা৷ ফসলের নূ্যনতম সহায়ক মূলসহ সব দাবী মেনে কিষান মোর্র্চকে চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় কৃষি সচিব সঞ্জয় আগরওয়াল৷ কর্ষকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালিন সমস্ত মামলাও প্রত্যাহার করারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়৷ লিখিত প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরই সংযুক্ত কিষান মোর্র্চর নেতারা ৩৭৮ দিনের ধরনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন৷ তবে সরকারকে চাপে রাখতে আন্দোলন সম্পূর্ণ বন্ধ করার কথা নেতারা বলেননি৷ আপাতত একবছরের অধিক ধর্ণা তুলে দিয়ে ১১ই ডিসেম্বর গৃহে ফিরবে কর্সকরা৷ ওই দিন তারা দেশব্যাপী বিজয় উৎসব পালন করবে৷