February 2022

দুটি দিন রাতের টেস্ট হতে পারে অ্যাশেজে

কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে পঞ্চম টেস্ট সরানো হয়েছে পার্থ থেকে মেলবোর্ন, ক্যানবেরা ও সিডনি এই টেস্ট আয়োজনের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে৷ এর মধ্যে ক্যানবেরা বাদে বাকি দু’টি জায়গাতেই সিরিজের একটি করে টেস্ট ম্যাচ হবে৷

গত বৃহস্পতিবার হকলি এক রেডিয়ো চ্যানেলে বলেছেন, ‘‘অনেকেই টেস্ট আয়োজনের ব্যাপারে  আগ্রহ দেখিয়েছে৷ বিস্তারিত এখনই কিছু আমরা জানাতে পারছি না৷ তবে খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে সরকারি ঘোষণা করা হবে৷ প্রত্যেক স্টেডিয়ামকেই আমি সমান সুযোগ দিতে চেয়েছি৷ এবার আমার প্রস্তাব জানাব বোর্ডকে৷’’

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ৭ই ডিসেম্বর গোড্ডা জেলার পাথরগামার বিশিষ্টমার্গী শ্রীমতি শকুন্তলা দেবীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গের চর্যাচর্য বিধিমতে অনুষ্ঠিত হয়৷ গোড্ডা ডিট.এস আচার্য সুধাময়ানন্দ অবধূত জানান কয়েকদিন আগেই ৭১ বছর বয়সে শকুন্তলা দেবী পরলোক গমন করেন৷ তিনি জেলার একনিষ্ঠ আনন্দমার্গী শ্যামলাল কেডিয়ার স্ত্রী৷ শকুন্তলা দেবীও অত্যন্ত নিষ্ঠাবান মার্গী ছিলেন৷

ইয়ূনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় বাঙলার দুর্র্গপূজা

গত ১৫ই ডিসেম্বর,২০২১, প্যারিসের আবহমান বিশ্বসংস্কৃতি রক্ষা সংক্রান্ত ইয়ূনেস্কোর আন্তসরকারী কমিটির সম্মেলন থেকে টুইটারে ভেসে এলো একটি বার্র্ত---‘‘কলকাতার দুর্গাপূজা এইমাত্র অধরা ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তঃর্ভুক্ত হয়েছে৷’’ টুইটারে ইয়ূনেস্কো লিখেছে--- ‘‘আবহমান ঐতিহ্যের তালিকায় ঢুকে পড়লো কলকাতার দুর্গাপূজা৷  ভারতকে অভিনন্দন৷’’

বেঙ্গল কেমিক্যাল বেসরকারীকরণ জনস্বার্থ বিরোধী সর্বনেশে সিদ্ধান্ত

এটা খুবই উদ্বেগের বিষয় যে ভারত সরকার তার হাতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উদ্যোগ বা শিল্প সংস্থাগুলিকে একে একে পুঁজিপতিদের হাতে বিক্রয় করে দিচ্ছে৷ মন্তব্য প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা প্রভাত খাঁর৷

গত ১৩ই ডিসেম্বর লোকসভায় এক প্রশ্ণের উত্তরে অর্থমন্ত্রকের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জানানো হয় বেঙ্গল কেমিক্যাল বেসরকারি হাতে বিক্রি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ সেইসঙ্গে বাঙলার আরও দুটি শিল্প দুর্গাপুর অ্যালয় স্টিল ও ব্রীজ এ্যাণ্ড রুফ বিক্রয়ের প্রক্রিয়া চলছে৷

আনন্দমার্গ দর্শন বিষয়ে আলোচনায় রেণেসাঁ ইয়ূনিবার্সাল

গত ১১ই ডিসেম্বর আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের বিদ্বদ্‌গোষ্ঠীর মঞ্চ ‘রেণেসাঁ ইয়ূনিবার্র্সলের  উদ্যোগে জাতীয় ওয়েবমিনারে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল৷ আলোচনার বিষয় ছিল সমাজ ও দর্শন শাস্ত্রের বিভিন্ন বিষয়ে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর (প্রভাতরঞ্জন সরকার) অবদান৷

সর্বাত্মক শোষণমুক্ত মানব সমাজ গড়তে প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির

আগামী ১৮ই ডিসেম্বর পূর্ববর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরে বোরহাটে প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালে পাঁচদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হচ্ছে৷ দিল্লী সেক্টরের প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের সর্বস্তরের কর্মীরা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন৷

জাতের নামে বজ্জাতি

একর্ষি

এই ধর্মের অন্তরে লগ্ণ হয়ে আছে চারটি ভাব--- দায়বদ্ধতা, সেবা, কল্যাণ বা প্রগতি ও অন্যের সামাজিক ধর্মপালনে শ্রদ্ধা আর মান্যতা৷ দায়বদ্ধতা থেকেই সেবার প্রেরণা আসে, সেবার লক্ষ্য কল্যাণ, কল্যাণ মাত্রা পায় অন্যের  সত্তাগত ও সামাজিক ধর্মপালনে মান্যতা  শ্রদ্ধার্ঘ্যে৷ আর এর সংবেদন বা আকর্ষন হচ্ছে জ্ঞান ও কর্ম সমন্বিত ভক্তি (ভক্তির সমিকরণটা---জ্ঞান+ কর্ম৷ কর্ম বেশি হল, জ্ঞান কম সমন্বিত ভক্তি (বাড়তিটা হবে অহংকার আবার জ্ঞান বেশী হল, কর্ম কম হল, তাহলেও জ্ঞানের বাড়তিটা হবে অহংকার৷ সুতরাং জ্ঞান ও কর্মের সমন্বয়েই ভক্তিমার্গের উদ্ভব৷ আর  আধ্যাত্মিকতা ছাড়া ধর্মরাজ্য সংস্থাপনা যেমন সম্ভব নয় তেমনি মানুষের প্রকৃত

মানুষের কর্তব্য

এই যে শরীর, এই যে মন, এ সবের জন্যে তো অর্থের, অন্ন–বস্ত্রের আবশ্যকতা আছে ঠিক কথা৷ মানুষ অর্থোপার্জনের চেষ্টা করবে, ঘরবাড়ী, জমি–জায়গার জন্যে চেষ্টা করবে৷ এ সবই ঠিক৷ কিন্তু যখন এই চেষ্টা করবে, চেষ্টা করার সময় মনে এই ভাবনা রাখতে হবে যে, ‘‘আমি এই সব পাওয়ার জন্যে চেষ্টা করছি এইজন্যে যে এ সব আমার আধ্যাত্মিক সাধনার সহায়ক হবে৷ এই সব জাগতিক বস্তুর লাভের উদ্দেশ্যে এ সবের সাধনা করছি না৷’’ মানুষ যখন নিজের স্থূল ভাবকে সূক্ষ্মভাবে রূপান্তরিত করতে থাকবে, তখন ক্রমশঃ সে বৈয়ষ্টিক ভাবনার দ্বারা পরিচালিত না হয়ে সামূহিক ভাবনার দ্বারা পরিচালিত হতে থাকবে৷

বস্ত্র উৎপাদন

আঁশ তৈরীর যেখানে  যে ধরণের কাঁচামাল পাওয়া যায়, ও যেখানে যে ধরণের জলবায়ু সেখানে সেই ধরণের পোষাক মানুষ পরে থাকে৷ বাঙালীস্তানের পটভূমিতে এই ব্যাপারটা দেখা যেতে পারে৷

বাঙালীস্তানে মূলতঃ চার ধরণের কাঁচামাল পাওয়া যায়–তুলো, তুঁতজাত রেশম,  তুঁতজাত নয় এমন রেশম ও অন্যান্য৷

তুলো

প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রই বিকল্প পথ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় পুঁজিপতি পরিচালিত শিল্পের একটা বড় রোগ হ’ল, বিভিন্ন অজুহাতে শ্রমিক ছাঁটাই ও হঠাৎ কারখানায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া৷ যার ফলে বহু শ্রমিক হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়ায় তাদের পরিবারকে অশেষ দুর্ভেগের মুখে পড়তে হয়৷ বহু ক্ষেত্রে তারা অনাহারে, অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন রোগে মারা যায় বা আত্মহত্যা করে, সাংসারিক অশান্তি থেকে রেহাই পাাবার রাস্তা খুঁজে নেয়৷