February 2022

অর্থনৈতিক শোষণ থেকে বাঁচাতে পারে প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রের প্রাউট দর্শন

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭০ বছর পরেও আমাদের ভাবতে হচ্ছে যে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও দেশের সিংহভাগ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি জিনিষের অত্যধিক প্রয়োজন, তারা পাচ্ছে না৷ আজও অনেকের ক্ষুধা নিয়ে জন্ম হচ্ছে পথে ঘাটে, আর মরতে হচ্ছে সেই পথে ঘাটে অবহেলিত পশু- পক্ষীদের মত৷  পাশাপাশি ভারতের মত বিরাট দেশে যৎসামান্য মুষ্টিমেয় কিছু ধনী ভাগ্যবানরা দেশের সম্পদের সিৎহভাগের মালিক৷

মানব দেহের বিভিন্ন চক্রগুলির সহিত মাইক্রোবাইটামের সম্পর্ক

শ্রীসমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

সাধক-দেহে বিভিন্ন গ্রন্থি-উপগ্রন্থিতে পজেটিব্‌ মাইক্রোবাইটামের মাধ্যমে পরমপুরুষ (সদ্‌গুরু) সাধকের ওপর শক্তিসম্পাত করেন৷ মূলাধার চক্র থেকে সহস্রার চক্র পর্যন্ত যোগ-মনস্তত্ত্বের চারটি পর্যায় বা স্তর রয়েছে৷ এরা হ’ল ---

(১) ভৌতিক স্তর (physical stratum)

মূলাধার থেকে মণিপুর পর্যন্ত অর্থাৎ মূলাধার, সাধিষ্ঠান ও মণিপুর ---এই তিনটিকে একসঙ্গে বলা হয় ভৌতিক স্তর৷

(২) ভৌতিক মানসিক স্তর (physio-psysicological stratum)

মণিপুর হতে বিশুদ্ধ চক্র পর্যন্ত হ’ল ভৌতিক মানসিক স্তর৷

(৩) মানস-আধ্যাত্মিক  স্তর (physio spiritual stratum)

রোগ ও চিকিৎসা

মানুষের ও জীবের ঔষধের সন্ধান শুধু উপবাস, সূর্য্যালোক, জল, বায়ু বা মৃত্তিকাতে সীমিত থাকেনি৷ প্রাথমিক স্তরে মানুষ যে ঔষধের আবিষ্কার করেছিল তা ছিল বিভিন্ন গাছ–গাছড়া ও তাদের ছাল–মূলের বহিঃপ্রয়োগ৷ সেকালের মানুষ ওই সৰ জিনিসকে দাঁতে চিৰিয়ে রোগাক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিত বা ঘষত৷ এই প্রলেপ ছিল মানুষের আবিষ্কৃত প্রথম ঔষধ৷

ভেষজ দ্রব্যের অভ্যন্তরীণ প্রয়োগ ঃ এই প্রলেপ যেখানে বাইরে কাজ করত না, তখন তাকে শরীরের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হ’ত৷ মানুষ তা চর্বন করে বা গলাধঃকরণ করে ঔষধরূপে ব্যবহার করত৷ এটাই ছিল মানুষের ইতিহাসে ঔষধ ব্যবহারের দ্বিতীয় চরণ৷

বিবেকানন্দ স্মরণে- রাখি তাঁরে মননে

শিবরাম চক্রবর্ত্তী

বীর সন্ন্যাসী বিবেকানন্দের

                সারসত্তায় পাই,

ভারতআত্মার জাগরণেই

                মনে দিতেন ঠাঁই৷

আবার তিনি প্রগতিশীল

                মনেও ছিলেন ভারী,

তাই তো তিনি সত্যের ভাষণ

                করতেন সদাই জারি৷

খালি পেটে ধর্ম হয় না

                এই ছিল তার বাণী,

অন্ন-বস্ত্র-শিক্ষা-স্বাস্থ্য

                গৃহ চাই একখানি৷

পদব্রজে ভারত ভ্রমণ

                করে তিনি দেখেন,

কত কষ্টে দেশবাসীরা

                দিনযাপনে থাকেন৷

তারই মাঝে জাত-পাত আর

পিঠাপরব

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

বাঙলার ঘরে ঘরে পৌষ সংক্রান্তিতে পৌষালীপার্বণ বা পিঠা-পরব অনুষ্ঠিত হয়৷ পিঠা যে বাঙালীর কত প্রাচীন ও প্রিয় খাদ্য তা আর বলে বোঝাবার প্রয়োজন হয় না৷

ঐ দিন শুধু পিঠা তৈরী আর খাওয়াটাই সব নয়৷ কিছু রীতি-নীতিও আছে৷ গ্রাম বাঙলার ঘরে ঘরে নতুন ধান ওঠার সঙ্গে উৎসবের আয়োজন শুরু হয়ে যায়৷ বাঙালীর কাছে ধান লক্ষ্মী৷ তাই ধান গোলায় ওঠা মানে লক্ষ্মীর আগমন৷ তাঁকে পুজো করতে হবে, বেঁধে রাখতে হবে৷ ঘরের মেয়েরা খড় দিয়ে গোলা বাঁধে৷ আর পুরুষরা ছড়া কাটে---

‘‘আওনি, বাওনি, চাওনি৷

তিন দিন পিঠা খাওনি৷৷

নাছোড়বান্দা চাটুকার

থিবীর সব দেশেই, এমনকি সব শহরেই কিছু

সংখ্যক খুশামুদে ও উন্নত মানের অনারারী

মুসাহিৰ আছে৷ মাইনে পাওয়া মুসাহিৰদের চেয়েও অনারারী মুসাহিৰেরা আরও ৰেশী মুসাহিৰী করে থাকে৷ একটা গল্প বলি শোনো–

সেয়ানে সেয়ানে

‘চাবি’ শব্দটি আমরা পর্তুগীজদের কাছ থেকে পেয়েছি৷ এদের ভাষায়cha  -এর উচ্চারণ কতটা ‘শ’ এর মত৷ তাই ‘চাবি’-কে আমি স্পেন ও পতুর্গাল দুই-দেশেতেই ‘শাবি’ উচ্চারণ করতে শুণেছি৷ আজ এই ‘চাবি’ শব্দটি বাঙলা তথা সমগ্র উত্তর ভারতে ব্যাপকভাবে প্রচলিত৷ অথচ আজ থেকে ৪৫০ বছর আগেও শব্দটির সঙ্গে এদেশের কারও পরিচয় ছিল না৷ উত্তর ভারতে ‘চাবি’কে বলা হ’ত ‘কুঞ্জী’ আর বাঙলায় বলা হত ‘কাঠি’৷ তালাচাবি রাঢ়ে এখনও কেউ কেউ ‘কুলুপ কাঠি’ বলে থাকেন৷ এমনকি যারা চাবি বলেন তারাও কেউ কেউ চাবিকাঠি বলে থাকেন৷ বলেন---‘‘সিন্দুকটি তোমার চাবি-কাঠিটি আমার’’৷ ‘কুঞ্জী’ শব্দটি এককালে উর্দু ভাষায় ব্যাপকভাবে চলত৷ আজ তার

স্বাগত ২০২২ - নববর্ষের ব্রত

দেখতে দেখতে আরও একটা বছর জীবন থেকে চলে গেল৷ প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে আর একটা নতুন বছরের সামনে এসে আমরা দাঁড়িয়েছি৷ এই যে কালের যাওয়া-আসা, মহাবিশ্ব প্রকৃতির এতে কোন হেলদোল নেই৷ সূর্যটাও আর পাঁচটা দিনের মতই পূব আকাশে উদয় হয়েছে৷ সেখানেও নতুনত্ব কিছু নেই৷ সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত প্রতিদিনেরই ঘটনা৷ কাল যেখানে শেষ হয়েছে আজ তো সেখান থেকেই শুরু হয়েছে৷ যদিও আমাদের কাছে ধরিত্রী আজ নববর্ষের নব প্রভাতের আলোকে স্নাত৷ বিধাতার অমোঘ নিয়মেই পুরাতনকে সরিয়ে নতুনের আগমন৷ এর জন্যে কোন আইনের সংশোধন করতে হয়না৷ রক্তস্নাত হওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না৷ শুধু আমাদের জীবন থেকে চলে গেল কিছুটা মূল্যবান সময়৷ যে সময়ের অনেকটাই আমরা বাজে কাজ

বে কোভিড পরিস্থিতির কারণে বহির্ভারতের মার্গীরা অনেকেই আসতে পারেন নি৷

আজ একদিকে যখন কোভিড–১৯এর কারণে সারা বিশ্বে  লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ অকালে ঝরে যাচ্ছে, অপরদিকে  দলাদলি, হানাহানি চলছে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে৷  বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গী–তে এক স্থান থেকে আর এক স্থানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্যে এক শ্রেণীর মানুষ চক্রান্ত করে চলেছে, আনন্দনগরে তখন আনন্দমার্গ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ, যাদের ভাষা আলাদা, সংস্কৃতি আলাদা, একসূত্রে তাদের বেঁধেছে৷ প্রশ্ণ জাগা স্বাভাবিক, কী সেই সূত্র যা বিভিন্ন ভাষাভাষী, বিভিন্ন সংস্কৃতি–সম্পন্ন মানুষকে একসূত্রে বাঁধতে পেরেছে৷ উত্তর একটাই–সেই সূত্র হ’ল আধ্যাত্মিকতা৷