February 2022

নেতাজীর লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন

প্রভাত খাঁ

কালচক্রের বিরাম নেই৷ সে চলে চলেছে অসীমের পানে৷ আমরাও চলে চলেছি তার সাথে৷ এই চলার পথে আমাদের মতো অতি সাধারণ মানুষের মধ্যে কখনো কখনো এমন ক্ষণজন্মা মহামানব জন্মগ্রহণ করেন যাঁরা তাঁদের ত্যাগ, নিষ্ঠা, চারিত্রিক দৃঢ়তা, নৈতিকতা ও অন্যায়–শোষণের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের জন্যে মানুষের সমাজে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকেন৷ ঘুরে ঘুরে সেই ২৩ শে জানুয়ারী আবার আসছে আমাদের জানাতে–কৈ, তোমরা তৈরী হয়েছো তো দেশবরেণ্য নেতাজী সুভাষচন্দ্রকে শ্রদ্ধা জানাতে, তাঁর অসমাপ্ত কর্মকে সমাপ্ত করতে?

নিউ ব্যারাকপুরে পদার্পণ দিবস

১৯৭৯ সালের ১৪ই জানুয়ারী পরম শ্রদ্ধেয় মার্গগুরুদেব নিউব্যারাকপুর আনন্দমার্গ স্কুলে পদার্পণ করেছিলেন৷ সেই দিনটিকে স্মরনীয় করে রাখতে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের নিউব্যারাকপুর শাখা ও উত্তর ২৪পরগণা ভুক্তি কমিটি প্রতিবছর এই দিনটি অখণ্ড কীর্ত্তন ও সেই স্মরণীয় দিনের স্মৃতিচারণার আয়োজন করে৷

এ বছরও ১৪ই জানুয়ারী সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে বারটা পর্যন্ত অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে ওইদিনের স্মৃতিচারনায় দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন ভুক্তি প্রধান শ্রী সন্তোষ কুমার বিশ্বাস ও আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷

 

বনগাঁয় পদার্পণ দিবস

১৯৭৯ সালের ১৭ই জানুয়ারী বনগাঁয় পদার্পণ করেছিলেন মার্গগুরুদেব৷ ওইদিনের স্মরণে বনগাঁ জাগৃতিগৃহে ১৭ই জানুয়ারী সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷  এই উপলক্ষ্যে বনগাঁ ডিটের বিভিন্ন ইয়ূনিটের মার্গী ভাই বোনরা সমবেত হয়েছিলেন বনগাঁ জাগৃতিতে৷

 কীর্ত্তন শেষে ওইদিনের  স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য রাখেন ভুক্তিপ্রধান শ্রী সন্তোষ কুমার বিশ্বাস ও আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷

 

এ্যামার্টের ত্রাণ ও চক্ষু চিকিৎসা শিবির

আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টিমের  উদ্যোগে গত ১লা জানুয়ারী থেকে ২০শে জানুয়ারী পর্যন্ত দক্ষিণ কলিকাতার কালিকাপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে ২০০০ কম্বল বিতরণ করে বয়স্ক মানুষদের মধ্যে৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের সাধারণ সচিব আচার্য ভবেশানন্দ অবধূত, আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ বিশখা আচার্যা কম্বল বিতরণ করেন৷

কয়েকটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ ও পাতার ব্যবহার

গাঁদাল পাতা–Paederia foetida Linn. Ðঃ

পরিচয় ঃ গাঁদাল পাতার সংস্কৃত নাম খরগন্ধা/খরগন্ধিকা/খরগন্ধনিভা৷ তিনটে শব্দেরই অর্থ গাঁদাল পাতা৷ খর মানে ....... পায়খানার দুর্গন্ধ৷ যে পাতায় কতকটা ওই ধরণের গন্ধ রয়েছে তা খরগন্ধা৷ গাঁদাল পাতার অন্য সংস্কৃত নাম হচ্ছে–কৃষ্ণপল্লবি/কৃষ্ণপল্লবী/কৃষ্ণপল্লবিনী৷ [লৌকিক সংস্কৃতে ৰলা হয় গন্ধভাদালী ]৷ গাঁদাল একটি লতানে উদ্ভিদ৷

পত্নী/জায়া/ভার্যা/কলত্র

সেকালে মানুষ বাস করত মুখ্যতঃ বনভূমিতে উচ্চবৃক্ষের শীর্ষে – পাখীর বাসার মত বাসা তৈরী করে অথবা পর্বত দেহের গুহায়৷ পর্বত ও অরণ্যানী – দুয়েরই বৈদিক ভাষায় অন্যতম নাম গোত্র৷ গোড়ার দিকে এক–একটি গোত্রের প্রধান হতেন এক–একজন নারী – গোত্রমাতা৷ পরবর্ত্তীকালে এল পুরুষ–প্রাধান্যের যুগ৷ গোত্রপ্রধান হতে লাগলেন এক–একজন ঋষি (পুরুষ)৷ যে ঋষির কাছে অগ্ণি* থাকত সেই ঋষির গোত্রীয় মানুষেরা সেজন্যে বিশেষ গৌরববোধ করতেন৷ অগ্ণি–রক্ষাকারী ঋষিকে সাগ্ণিক বা অগ্ণিহোত্রী বলা হ’ত৷ অগ্ণিকে তারা দেবতা জ্ঞানে পূজা করত৷ তাই অগ্ণির সন্তুষ্টি  বিধানের জন্যে উত্তম মানের আহার্য অগ্ণিকে আহুতি দিতেন৷ এই কাজকে তাঁরা ‘হবন’ বলতেন৷ এই হবন

আদর্শ ও জীবন–সাধনা প্রসঙ্গে

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু

প্রত্যেক  ব্যষ্টির বা জাতির একটা ধর্ম বা আদর্শ আছে৷ সে Ideal  বা আদর্শকে অবলম্বন বা আশ্রয় করিয়া সে গড়িয়া ওঠে৷ সেই Ideal –কে সার্থক করাই তার জীবনের উদ্দেশ্য এবং সেই Ideal  বা আদর্শকে বাদ দিলে তার জীবন নিষ্প্রয়োজন ও অর্থহীন হয়ে পড়ে৷ দেশ ও কালের গণ্ডীর মধ্যে আদর্শের ক্রমবিকাশ বা অভিব্যক্তি একদিনে বা এক বৎসরে হয় না৷....আদর্শ একটা প্রাণহীন বস্তু নয়৷ তার বেগ আছে, গতি আছে৷ প্রাণ–সঞ্চারিণী শক্তি আছে৷....

কাণ্ড

গোপনে কাউকে উপদেশ–নির্দেশ দেওয়াকেও ‘কাণ্ড’ বলা হয়ে থাকে৷ সবাইকে সদুপদেশ সকলের সামনে দেওয়া যায় না৷ এই যে ব্যষ্টিগতভাবে কাউকে উপদেশ দেওয়া, একেও বলা হয় ‘কাণ্ড’৷

গোপনে পরামর্শ দেওয়া বলতে একটা ছোট্ট গপ্প মনে পড়ে গেল৷ তোমরা পা ছড়িয়ে বসে মুড়ি–আলুর চপ খেতে খেতে গপ্পটা শোনো৷

এক ছিল বামুণ ........ এক ছিল বামণী৷ বামণী ছিল বড় দজ্জাল৷ বামুণকে সব সময় জ্বালা দিত৷ বামুণ যখন যেটি বলত বামণী তাতে তাকে খেঁকিয়ে  তো উঠতই আর করত তার উল্টোটা৷ একবার বামুণ বামণীকে বললে, ‘‘দেখ বামণী, এই আসছে হপ্তায় আমার পিতাঠাকুরের বাৎসরিক শ্রাদ্ধ৷ শ্রাদ্ধটা তো করতেই হবে৷ তাই সব ব্যবস্থা–ট্যাবস্থা করে রাখ’’৷

স্মৃতি

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

বাঙলা সাহিত্যে রঙ্গ-রসিকতার কিংবদন্তি শরৎচন্দ্র পণ্ডিত ওরফে দাদাঠাকুর৷ সমস্ত রচনাতেই তিনি রসিকতার ছলে তীব্র হুল ফুটিয়েছেন৷ আবার দেশনেতৃবৃন্দকে নিয়ে গেঁথেছে ছড়া ও কবিতা৷ যেমন, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর নাম নিয়ে লিখেছিলেন ৩২ লাইনের একটি কবিতা৷ সে কবিতায় যেমন ফুটে উঠেছিল শোষক ইংরেজের বিরুদ্ধে ঘৃণা, তেমনি স্বদেশীদের কাছে তা ছিল অনুপ্রেরণা৷ এখানে কবিতাটির প্রথম দশটি চরণ উদ্ধৃত করা হল৷

মনের মানুষ

মাতামাতি করি

আজীবন কাল 

অসুস্থ করিল

এ ভারত ভূমি

বিষঢালি এতে

সুচতুর যত

ইন্দ্রজাল বলে

অবরুদ্ধ নর

অসুবিধা ভোগে