বাঙলা সাহিত্যে রঙ্গ-রসিকতার কিংবদন্তি শরৎচন্দ্র পণ্ডিত ওরফে দাদাঠাকুর৷ সমস্ত রচনাতেই তিনি রসিকতার ছলে তীব্র হুল ফুটিয়েছেন৷ আবার দেশনেতৃবৃন্দকে নিয়ে গেঁথেছে ছড়া ও কবিতা৷ যেমন, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর নাম নিয়ে লিখেছিলেন ৩২ লাইনের একটি কবিতা৷ সে কবিতায় যেমন ফুটে উঠেছিল শোষক ইংরেজের বিরুদ্ধে ঘৃণা, তেমনি স্বদেশীদের কাছে তা ছিল অনুপ্রেরণা৷ এখানে কবিতাটির প্রথম দশটি চরণ উদ্ধৃত করা হল৷
মনের মানুষ
মাতামাতি করি
আজীবন কাল
অসুস্থ করিল
এ ভারত ভূমি
বিষঢালি এতে
সুচতুর যত
ইন্দ্রজাল বলে
অবরুদ্ধ নর
অসুবিধা ভোগে
অনেক পেয়েছি
যাতা করিয়াছি
বাজী দেখাইল
বসুমতী মায়ে
শোভার আধার
শেষ করিবারে
কুচক্রী কপট
চন্দ্রদেব সাজি
সব নিজ গৃহে
বসুধা মাঝারে
শুনেছি অনেক
গতানুগতিক
বাজীকর দল
অসুর স্বভাব
অভাব এদেশে
পাষণ্ড দল
সূচ হয়ে ঢুকে
কেন্দ্র মাঝে পশে
ধীবরের জালে
অসুখী মানব
দেখেছি কত,
লোকের মত৷
সাফাই হাতে,
চোর ডাকাতে৷
ছিলনা কিছু,
লাগিল পিছু৷
হইল ফাল,
রাহুর পাল৷
যেমন মীন,
অধীন দীন৷
কবিতাটিতে মোটা অক্ষরগুলো ওপর থেকে নীচে পড়লেই ‘নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু’ নামটি পাওয়া যাবে
পুরো কবিতায় এইভাবেই লেখা ছিল, ‘নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জনম লভিল ধরায় আজি ঘটন করিতে আজাদ হিন্দ’৷
সংকলন---প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত
- Log in to post comments