February 2022

রাম-মন্দির নির্মাণে নিধি-সংগ্রহ

হরিগোপাল দেবনাথ

আমাদের শাস্ত্র বলছে ঃ--- ‘‘মনঃ এব মনুষ্যাণ মুক্তির কারণ৷ মন-প্রধান জীব বলেই মানুষ-প্রজাতি জীবের নাম হয়েছে---মানুষ বা মনুষ্য বা মানব৷ আবার বলা হয়েছে ‘‘পাশবদ্ধো ভবেৎ জীৰঃ পাশমুক্তো ভবেৎ শিবঃ৷’’ অর্থাৎ যতক্ষণ প্রকৃতির তথা সত্ত্বঃ রজঃ তমঃ এই গুণত্রয়, অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ কালের এই ত্রিস্তরের ও স্থানাদির  পরিভূর মধ্যে যে প্রাণবন্ত সত্ত্বার আবির্ভাব রয়েছে সে সকলই ‘জীব’ রূপে আখ্যায়িত হবার যোগ্য৷ লতা-গুল্ম- কীট-পতঙ্গাদি --- উদ্ভিদেরাও চেতনাসত্ত্বা তবে লতা গুল্ম-উদ্ভিদের আরেকটি পরিচিত স্থাবর বলে,যেক্ষেত্রে কীটপতঙ্গাদি থেকে সমস্ত জগৎসহ মানুষকেও বলা হচ্ছে জঙ্গম তথা ‘‘জীব’’ বলে৷ মূলতঃ বস্তুজগৎ, সমগ্র জী

কেন বাঙালী জাতির ওপর হিন্দী সাম্রাজ্যবাদের আঘাত

এইচ.এন. মাহাতো

বাঙালী জাতিসত্ত্বাকে কেন বার বার প্রথমে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ পরবর্তীতে হিন্দী সাম্রাজ্যবাদ আঘাতে ক্ষত -বিক্ষত করে চলেছে৷ এর কারণগুলো কখনো  ভেবে দেখেছেন কি? আজকের আলোচনায় কয়েকটি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করছি৷

প্রথমতঃ ভারতের আধ্যাত্মিকতাকে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়৷ (১) অন্তর্মুখী, (২) বহির্মুখী৷

মেদিনীপুরে ভক্তিপূর্ণভাবে উদ্‌যাপিত হল শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শতবর্ষপূর্ত্তি জন্মোৎসব

শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শতবর্ষপূর্ত্তি জন্মোৎসব পরমপূজনীয় পরমারাধ্য পরমগুরু আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের মহান স্থপতি শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শতবর্ষ পূর্ত্তির পূণ্য জন্মজয়ন্তী উৎসব গত ১৩ ও ১৪ নভেম্বর মেদিনীপুর ডায়োসিসের ঝাড়গ্রাম জেলার  রামচন্দ্রপুর আনন্দমার্গ স্কুলে প্রভাত সঙ্গীত, অখণ্ড কীর্ত্তন সমবেত ধ্যান, গুরুপূজা৷ ধর্ম-দর্শন আলোচনা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিভিন্ন ধ্যান, গুরুপূজা অনুষ্ঠিত হয়৷ ধর্মদর্শন আলোচনা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিভিন্নভাবে ---ভক্তিপূর্ণ পরিবেশে উদ্‌যাপিত হল৷

পরলোকে কেশবচন্দ্র সিংহ

জলপাইগুড়ির বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ও একনিষ্ঠ সমাজ আন্দোলনের কর্মী শ্রী কেশবচন্দ্র সিংহ গত ২২শে নভেম্বর রাতে পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর৷ তাঁর তিন কন্যা এক পুত্র ও স্ত্রী বর্তমান আছে৷

শ্রী কেশবচন্দ্র সিংহ ‘আমরা বাঙালী’ দলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন৷ তিনি দীর্ঘদিন দলের জলপাইগুড়ি জেলার সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন৷

 

অর্শ

কারণ ঃ যকৃতের প্তন্লন্দ্বব্জগ্গ দোষজনিত কোষ্ঠকাঠিন্য এই রোগের প্রধান কারণ কিন্তু সাধারণতঃ কেবলমাত্র একটি কারণে কোন গুরুতর ব্যাধি আত্মপ্রকাশ করতে পারে না৷ অন্যান্য গুরুতর ব্যাধির মত অর্শও একটি সর্বদৈহিক ব্যাধি, তাই এরও আরও অনেকগুলি কারণ রয়েছে৷ তার মধ্যে প্রধান হ’ল শারীরিক পরিশ্রমের অভাব ও দ্বিতীয় হ’ল অতিরিক্ত সহবাস৷ মলত্যাগকালে কোঁধ দেবার অভ্যাসও অনেক সময় এ রোগকে চাগিয়ে তোলে৷ মনে রাখা দরকার যকৃতের দোষের সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য না থাকলে অর্শ রোগ কিছুতেই দেখা দিতে পারে না৷

চিকিৎসা ঃ (আসন ও মুদ্রা)

মিষ্টি কুমড়ো

মিষ্টি কুমড়ো বা লাল কুমড়ো বাইরে থেকে এসেছে (ভারতের সাবেকী জিনিস নয়গ্গ৷ তাই এর পুরাণোক্ত বা সংস্কৃত কোন নাম নেই৷ এদেশে এসেছে আনুমানিক ৪০০ বছর আগে৷ এর ইংরেজী নাম ‘পাম্কিন’৷ ভারতের বিশেষ করে রাঢ়ের* মাটি লাল কুমড়োর পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী হওয়ায় এর চাষ হু হু করে ৰেড়ে যাচ্ছে৷ যে ইয়ূরোপ থেকে একদিন লাল কুমড়ো এসেছিল, সেই ইয়ূরোপের চাষীরাই এখন শেওড়াফুলীর হাট থেকে লাল কুমড়োর ৰীজ কেনে৷ বিদেশ থেকে জলযানে অর্থাৎ ডিঙ্গি করে এসেছিল বলে রাঢ়ের কোন কোন অংশে একে ডিঙ্গি–লাউ বা ডিংলা বা ডিংলে বলে৷ এই লাউ কুমড়োকে কোথাও কোথাও মিষ্টি কুমড়ো, কোথাও বা সূয্যি কুমড়ো, আবার ময়মনসিং অঞ্চলে কোথাও কোথাও বিলাতী লাউও বলে৷

শিবজায়া পার্বতী

এবার বলতে হয় পার্বতীর কথা৷ ‘পার্বতী’ শব্দটার মানে কী? কেউ হয়তো বলবেন ‘পর্বতস্য দুহিতা’, ‘পর্বতস্য কন্যা’ ইত্যর্থে পার্বতী (ষষ্ঠী তৎপুরুষ) অর্থাৎ পাহাড়ের মেয়ে৷ এখন প্রশ্ণ হচ্ছে, পঞ্চভূতাত্মক শরীরে কোন নারী কি পাহাড়ের মেয়ে হতে পারে? কোন নদীকে বরং পাহাড়ের মেয়ে বললেও বলতে পারি৷ কোন নারীকে পাহাড়ের মেয়ে বলতে পারি কি?

জীবন

কৌশিক খাটুয়া

রংবেরঙের ফুলের সাজে

তৈরি ফুলের তোড়া,

মন ভুলানো রূপের মাঝে

স্নিগ্দ সুবাস ভরা৷

কুসুমকলি, মধুপ-অলি

চিরন্তন মধুরতা,

পুষ্পে পুষ্পে ব্যস্ত ভ্রমর

দেয় কি প্রীতির বারতা?

কেউ করেনা এমন দাবী আমি সবার সেরা

পরমপিতার চরণতলে নিত্য শোভিত তারা৷

রকমারী পাখীর নীড় একই তরু শাখায়

একতার বাণী প্রচার করে ভর করিয়া পাখায়৷

সঙ্ঘবদ্ধ জীবন যাপন চেতনা স্বাধীনতায়,

দিনের বেলায় কর্মমুখর নিশিথে নিদ্রা যায়৷

কলতানে প্রভুকে স্মরণ ঠিক ভোর পাঁচটায়

জেগে ওঠা জগৎ জাগানো এদের বিষম দায়!

কোলকাতার প্রথম বে আইনী বাড়ি

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

আজকাল কোলকাতায় বে-আইনী বাড়ি নিয়ে প্রায়ই হৈচৈ শোণা যায়৷ বেআইনী বাড়ি নির্মাণ ঠেকাতে কোলকাতা কর্র্পেরেশন হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু শুণতে অদ্ভূত লাগলেও এ কথা সত্যি যে, কোলকাতা নগরের পত্তনই হয়েছিল বে-আইনী বাড়ি দিয়ে৷

হিঙের কচুরির খাতিরে

গঙ্গা  জল ঞ্চ গঙ্গাজল৷ ‘জল’ শব্দের অর্থ যা টলটল করে৷ নীরং, তোয়ং, জলং, উদকং, পানীয়ম্ ইত্যাদি শব্দের মধ্যে ‘জল’ও একটি ‘জনপ্রিয়’ শব্দ৷ ‘জল’ মানে যা প্রবহমান...টলটলায়মান৷ পানীয়, অ–পানীয়, সুস্বাদু, কর্দমাক্ত যেমনই হোক না কেন তা জল৷ যে জল পান করার মত তা পানীয়...পীনেকা পানী, আর ‘পানী’ শব্দটি আসছে ‘পানীয়ম্’ থেকে যার মানে যা পান করার যোগ্য৷ ড্রেনের জল, বর্ষার ঘোলা নদীর জল, মাঠের কাদা–মেশানো জল–এরা পানীয় নয় কিন্তু জল৷ জলের স্বভাব ধর্ম হল টলমল করা–সে পদ্মপাতায় থাকুক আর নাই থাকুক ঃ

‘‘নলিনীদলগতজলম তদ্বজ্জীবনমতিশয়৷

ক্ষণমিহ সজ্জনসঙ্গতিরেকো ভবতি ভবাব্ধিতরণে নৌকা৷’’