August 2022

শ্রাবণী পূর্ণিমা

পাঞ্চভৌতিক উপাদানে তৈরী এই জড় জগতটাকে যেমন উপেক্ষা করা যায় না, মানুষের মন যা চৈত্তিক ধাতু (Ectoplasmic stuff) দিয়ে তৈরী, তাকেও তেমনি উপেক্ষা করা যায় না৷ ঘর্ষণে প্রতিঘর্ষণে জড়জগৎ থেকেই মনের উদ্ভব হয়৷ আবার ঘর্ষণে প্রতিঘর্ষণে মানসিক অনুশীলনে মন থেকেই আত্মার বিস্তৃতি ঘটে৷ এই কারণে মানসিক অনুশীলনকেও উপেক্ষা করা যায় না৷ আর মানসিক অনুশীলনের পরে যখন মানুষের সত্তা অধিকতর আত্মিক স্তরে উন্নীত হতে থাকে তখন স্বাভাবিক নিয়মেই সে পরমপুরুষের সঙ্গে মিলে যেতে চায়, মিশে যেতে চায়৷ ক্ষুদ্রত্বকে ৰৃহত্ত্বে পর্যবসিত করতে চায়, কারণ বিস্তারিত হওয়া একটা মানবধর্ম–এটা একটা ভাগবৎ ধর্ম৷

শোষণের বহুবিধ রূপ

লোকে প্রায়ই বলে থাকে যে বিশেষ কোনো ব্যষ্টি অথবা বিশেষ কোনো সম্প্রদায়ের লোকেরা ভীষণভাবে শোষিত হচ্ছে৷ শোষণ বলতে তারা এটাই ৰোঝে যে এইসব লোকেরা অর্থনৈতিক  স্তরে শোষিত হচ্ছে৷ কিন্তু যদি আমরা এই বিষয়টির গভীরে প্রবেশ করি তাহলে আমরা উপলব্ধি করব যে শোষণ শুধুমাত্র অর্থনৈতিক স্তরেই সংঘটিত হচ্ছে না, মানবাস্তিত্বের অন্যান্য স্তরেও বিভিন্ন রূপে বিচিত্র ভাবে তার অস্তিত্ব রয়েছে৷ যখন আধিভৌতিক স্তরে (physical stratum) শোষণ হয় তখন সেটা যে সব ক্ষেত্রেই অর্থনৈতিক হবে এমন নয় এটা প্রায়ই সামাজিক ও অনেক ক্ষেত্রে অপ্রত্যক্ষভাবে সামাজিক হয়ে থাকে৷ দৃষ্টান্ত–স্বরূপ বলা যায় কায়েমী স্বার্থবাহকেরা কোনো একটা পর্যায়ে জনমানস

শ্রাবণী পূর্ণিমা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

মানব ইতিহাসে শ্রাবণী পূর্ণিমার একটা বিশেষ তাৎপর্য আছে, এই তাৎপর্যকে অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করতে পারলে সমস্ত মানব সমাজের কল্যাণ৷

ভারতের ভয়ঙ্কর দশা থেকে বাঁচতে  শোষিত নাগরিকদের  ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

প্রভাত খাঁ

আজ সবই দেখছেন ও শুণছেন৷ হত দরিদ্র কোটি কোটি ভারতের নাগরিকগণ৷ যাঁরা বর্তমানে দলছুট রাজনৈতিক নেতাদের  অপশাসনে একেবারে রক্তশূন্য ও নিঃস্ব হয়ে শুধু বেঁচে থাকার  যন্ত্রণা ভোগ করছেন৷ মনে পড়ে সেই দেশ প্রেমিক নেতাজীর আবেদন তৎকালীন দেশের নেতাদের কাছে ---ইংরেজের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা না দিয়ে ধৈর্য্য ধরে আন্দোলন চালিয়ে যান পুর্ন স্বাধীনতার জন্য৷ তখন নেহেরু  কর্ণপাত করেননি৷ গদীর মোহে ইংরেজের  দেশভাগকেই অবনত মস্তকে স্বীকার করে নিলেন ভারতবর্ষ খণ্ডিত হয়ে গেল! সেই হিন্দুস্থান আর পাকিস্তান! আজ তারই অভিশাপে দেশের মানুষ ভুগছে! কুড়িয়ে পাওয়া সেই ১৪ আনা দেশ স্বাধীন হলো!

আমরা বাঙালীর শহীদ ক্ষুদিরামের আত্মবলিদান দিবস পালন

মহান বিপ্লবী, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম আত্মবলিদানকারী ক্ষুদিরাম বসুর ১১৪তম আত্মবলিদান দিবস ‘‘আমরা বাঙালী’’ সংঘটনের পক্ষ থেকে সমগ্র বাঙালীস্তান জুড়ে মহাসমারোহে উদ্‌যাপিত হয়৷ বারাসত, নিউব্যারাকপুর, বিরাটি, দুর্গানগর,কাঁকিনাড়া, ব্যারাকপুর, নৈহাটি, চাঁদপাড়া ও উত্তর ২৪ পরগণার বিভিন্ন জায়গায়, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি ,হুগলী ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা, ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলা, অসম, ঝাড়খণ্ডে ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবস পালিত হয়৷

বিল্ব বা বেল

সংস্কৃত শব্দ ‘বিল্ব’ থেকে ৰাংলায় ‘ৰেল’ শব্দটি এসেছে৷ ‘ৰিল’ শব্দের অর্থ ছিদ্র, ‘বিল্ব’ মানে যে বস্তুতে ছিদ্র আছে অথবা যে বস্তু ছিদ্র তৈরী করে৷ ৰেলের পর্যায়বাচক শব্দ ‘শ্রীফল’ পশ্চিম বিহারে ও উত্তর ভারতে কোন কোন স্থানে প্রচলিত৷ ভারতে ও বহির্ভারতে ৰেলের নানা শ্রেণীবিভাগ দেখা যায়৷ পাতলা খোলা, কম ৰীজ, কম আঠা, স্বাদ ও গন্ধের বিচারে রংপুরী ৰেলই সর্বশ্রেষ্ঠ৷

পুর/নগর

ভারত ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বহুজনপদের নামকরণ করা হয়েছে ‘পুর’, ‘নগর’ ইত্যাদি শব্দ যোগ করে৷  ছোট শহরকে সংস্কৃতে বলা হ’ত ‘পুর’ (প্রসঙ্গতঃ বলে রাখি, ‘শহর’ শব্দটা কিন্তু ফার্সী), আর বড় বড় শহরকে বলা হত ‘নগর’৷ উভয়ের মধ্যে তফাৎ ছিল এই যে নগরের চারিদিক প্রাচীর দিয়ে ঘেরা থাকত, সংস্কৃতে যাকে বলা হ’ত ‘নগরবেষ্টনীঁ’৷ এই নগরবেষ্টনীর মধ্যে যাঁরা বাস করতেন তাঁদের বলা হ’ত ‘নাগরিক’৷ আজকাল ‘নাগরিক’ শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে যে অর্থে ইংরেজী ‘সিটিজেন’ কথাটি ব্যবহার করা হচ্ছে তার সঙ্গে প্রাচীন ‘নাগরিক’ শব্দের  কোন সম্পর্ক নেই কেননা ‘নাগরিক’ মানে নগরের বাসিন্দা, অন্যদিকে ‘সিটিজেন’ বলতে বোঝায় দেশের যে কোন অধিবাসী–তিনি

আমার প্রিয় ছোট ফুল

কৌশিক খাটুয়া

বকুল ফুলের ক্ষুদ্র রূপ

পায় না তোড়ায় স্থান,

নিজ গুণে নজর কাড়ে

সবাইতো দেয় মান৷

গাঁথা মালা বিধির গলে

কেমন লাগে পরিয়ে দিলে,

যাকে যেথায় যেমন মানায়

সৃষ্টির কারণ তাইতো জানায়!

শিউলি ফোটে রাতের বেলায়

যখন সবাই ঘুমায়,

শিশির সিক্ত ফুলের সুবাস

ভোরে গাছের তলায়৷

কামিনী ফুলে তরুতল

সাদা চাদরে ঢাকা,

নজর কাড়ে সুবাস ঢেলে

প্রীতির পরশ মাখা৷

ছোট সাদা জুঁই ভরা

লতানো যুথিকা, আঙ্গিনা থেকে

প্রবেশ দ্বার সুসজ্জিত বিথীকা৷

মল্লিকা ফুলে নিত্য প্রাতে