আজ সবই দেখছেন ও শুণছেন৷ হত দরিদ্র কোটি কোটি ভারতের নাগরিকগণ৷ যাঁরা বর্তমানে দলছুট রাজনৈতিক নেতাদের অপশাসনে একেবারে রক্তশূন্য ও নিঃস্ব হয়ে শুধু বেঁচে থাকার যন্ত্রণা ভোগ করছেন৷ মনে পড়ে সেই দেশ প্রেমিক নেতাজীর আবেদন তৎকালীন দেশের নেতাদের কাছে ---ইংরেজের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা না দিয়ে ধৈর্য্য ধরে আন্দোলন চালিয়ে যান পুর্ন স্বাধীনতার জন্য৷ তখন নেহেরু কর্ণপাত করেননি৷ গদীর মোহে ইংরেজের দেশভাগকেই অবনত মস্তকে স্বীকার করে নিলেন ভারতবর্ষ খণ্ডিত হয়ে গেল! সেই হিন্দুস্থান আর পাকিস্তান! আজ তারই অভিশাপে দেশের মানুষ ভুগছে! কুড়িয়ে পাওয়া সেই ১৪ আনা দেশ স্বাধীন হলো! জনগন কিন্তু জানতোই না স্বাধীনতাটি কি মূল্যবান সম্পদ৷ পরে সেই নেহেরু পরিবার হলো গান্ধী পরিবার আর সেই গান্ধী পরিবারের নেহেরুর কন্যা হলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী৷ খেলা আরম্ভ হলো৷ যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক দলের হুড়োহুড়ী৷ নেহেরুর আমলে কমিউনিষ্ট দলকে নিষিদ্ধ করা হয়৷ পরে নিষিদ্ধ আইন উঠে যায় সেই কমিউনিষ্ট দলই বিরোধী দল হিসাবে চিহ্ণিত হয়৷
দেশ ভাগের সময় হিন্দু মহা সভা ঘটন করেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়৷ সেই দল ও বিরোধী দল হিসাবে চিহ্ণিত হয়৷ সেই দল ধীরে ধীরে জনতা দল হিসাবে গড়ে ওঠে পরে জনতা দল হয় ভারতীয় জনতাদল ভেঙে তাই ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভারতের রাজনীতির জগতে বিখ্যাত হয়ে আছেন৷ স্মরনে থাকে তিনিই লড়াই করে পশ্চিম বাঙলার কিছু ও কশ্মীর উদ্ধার করেন৷ তিনি প্রাণ দেন কশ্মীরের মাটিতে দেশেরই জন্য! তাই তিনি চিরস্মরনীয়৷ নেতাজী পূর্ণ স্বাধীনতা চেয়েছিলেন ভারতবর্ষের৷ কিন্ত হল না নেতাদের লোভের কারণে জওহরলাল এর আমলে সংবিধান হয়৷ সেই সংবিধানে ভারতকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়৷ এটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷
চিরকালই লড়াই চলছে এই বিরাট ভূখণ্ডে দুটো সম্প্রদায়ের মধ্যে৷ এটাই চরম দুঃখ ও কষ্টের৷ কোটি কোটি হিন্দু ও অমুসলমান অত্যাচারের কারণে ভারতে আসেন পাকিস্তান থেকে উদ্বাস্তু হয়৷ জওহরলাল ভারতের দুই প্রান্ত খুলে দেন৷ তাই এদেশে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয় কারণ জনবিষ্ফোরণ ভারত৷ এটা নিজেদের বাঁচাতে সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ নয়া চাল নিজেদের বাঁচাতে! মনে পড়ে জওহরলালকে অনেক কষ্ট করতে হয়৷
প্রথম দিকে আর্য সমাজবাদী পার্টি এইসব নামে দল ছিল দক্ষিণ ভারতে ডি.এমকে ও পরে অন্য দল হয়৷ তবে প্রথম দিকে সারা ভারতে কংগ্রেসই একচ্ছত্র দল হিসাবে শাসন বিভাগকে জাতীয় দেশ শাসন করে গেছে হিসাবে ভোগ করে গেছে৷ ধীরে ধীরে বহু পার্টি তৈরী হয়৷ শেষে ধীরে ধীরে যেগুলি জাতীয় দল ছিল সেগুলি ভেঙ্গে শত শত দল রাজনৈতিক হয়৷ আজ হাজারে পেরিয়ে গেছে৷ তাই আজ মূলতঃ বড় দলগুলি প্রায় ভেঙ্গে গেছে৷ প্রথম দিকে ভারতীয় কমিউনিষ্ট দল জাতীয় দল হয় পরে অনেকগুলি কমিউনিষ্ট দল হয়েছে৷ কংগ্রেস ভেঙ্গে আঞ্চলিক দল হয়৷ ঠিক তেমন অন্যজাতীয় দল ভেঙ্গে আঞ্চলিক দলে এর সৃষ্টি হয়েছে৷ সমাজবাদী পার্টি ও তাই৷
আজ দলছুট দলের হুড়োহুড়ি৷ তাই আজ গণতন্ত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হুড়োহুড়িতে দেশে গণতন্ত্রেরই নাভিশ্বাস উঠছে৷ তাছাড়া দলগুলির মধ্যে টাকার খেলায় দলভাঙ্গাভাঙ্গী হচ্ছে৷ দলে ফাটল ধরিয়ে অনেক রাজ্য সরকার ধবংস করে কেন্দ্রের শাসনে যাঁরা আছেন তাঁরা এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় হাত বাড়াচ্ছেন৷ তাতে প্রকৃত গণতন্ত্রটাই পথে মারা পড়ছে৷ টাকার খেলা চলছে ধনীদের তাই গণতন্ত্র আজ ধনীদের পকেটে৷ হতদরিদ্ররা হয়েছেন তাঁদের শোষণেরহাতিয়ার! তাদের সঙ্গে প্রায় কোন দলই নেই৷ দেশের বৃহত্তম নাগরিকদের জন্য কোন দলই ভাবেন বলে মনে হয় না৷ তাই মহান দার্শনিক প্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রাউট তত্ত্বের ভিত্তিতে তৎকালীন একজন কংগ্রেস এম.পি মাননীয় শশীরঞ্জন সাহু সভাপতি হিসাবে একটি মহান দল গড়েন ভারতের ৪৪টি সমাজ নিয়ে তার নাম হয় প্রাউটিষ্ট ব্লক ইন্ডিয়া (পিবিআই) মূল লক্ষ্য ছিল ভারতের মূল সমাজগুলিকে সার্বিক শোষণমুক্ত করে প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র ভারতে বুকে প্রতিষ্ঠা করা৷
সেই দলে ৪৪ সমাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাঙালী সমাজ, বোড়ো সমাজ ছত্রিশগড়ি সমাজ, মগহী সমাজ, বুন্দেল খণ্ড , মৈথিলী সমাজ, উৎকল সমাজ, নাগপুরিয়া সমাজ, অসমিয়া সমাজ, হরিয়া নাভী সমাজ, কানাড়া, সমাজ, বিদর্ভ সমাজ, সহাদ্রী সমাজ গুজ্জর সমাজ, টুলু সমাজ, রয়ালসীমা সমাজ ইত্যাদি এদের শ্লোগান হলো ধনতন্ত্র প্রভাতে মারে, আঁতে মারে কমিউনিষ্ট তাইতো মোরা প্রাউটিষ্ট৷) এটি মহান সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে এক সমাজ আন্দোলন৷ যা বহু ভাষাভাষী ভারতবর্ষকে বাঁচিয়ে রেখেছে৷ আজকের ধান্দাবাজ রাজনৈতিক দলগুলো সমাজকে ধবংস করে জাত পাতের ভিত্তিতে বোটাবুটি করে অতীতের ভারতবর্ষকেই ধবংস করে ছাড়ছে৷ তাই সমাজকে রক্ষায় এটিই হলো প্রাউটের ৪৪টি সমাজের মহান আদর্শভিত্তিক আন্দোলন৷
আজ দলছুট দলগুলো দলীয় জঘন্যস্বার্থে দল ভাঙ্গাভাঙ্গী করে নিছক দলীয় স্বার্থসিদ্ধিতে উন্মত্ত ও মুক্ত কন্ঠ হয়ে ছুটছে৷ এক সময় ইন্দিরা গান্ধী দল কংগ্রেস ভেঙ্গে ইন্দিরা নবকংগ্রেস করেন৷ সেই দলই দাবী করে তারা আসল কংগ্রেস৷ এটাই হলো রাজনৈতিক দলের ধান্দাবাজি৷ পুরাতন কংগ্রেস আজ মৃত প্রায়৷ এককালে জনতা দল ভেঙ্গে ভারতীয় জনতা দল আজ কেন্দ্রের আসনে বসে সব বিরোধী দলকে ছলেবলে কৌশল করে ও টাকার খেলায় ধবংস করে ছোট দলকে কব্জায় এনে ভারত একস্বচ্ছ এক দলীয় শাসনে পরিণত করে তুলতে চায়৷
ইন্দিরা গান্ধী ও তাই করতে চেয়েছিলেন ১৯৭৫ সালে অভ্যন্তরীণ জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে কিন্তু পারেননি৷ তাঁর দলটাই নষ্ট হতে বসেছে! আজ সেই খেলাই খেলে চলেছেন বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার৷ এটা ভারতের বিরোধীদলগুলো বুঝেও বুঝছে না৷ তাঁদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে ভারতে গণতন্ত্রকে রক্ষায়৷
মনে রাখা দরকার যে সততা ছাড়া বড়ো কাজ হয় না৷ বিরোধী দলের ঐক্যছাড়া গণতন্ত্র বাঁচতে পারে না৷ এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতাজী শোষিত জনগণ সবই দেখছেন৷ তাঁরাই এর জবাব দেবেন৷ আবার বলি যদি লড়াই করে এই ভারতবর্ষ পূর্ণ স্বাধীনতা পেত তা হলে এদেশের এই দুর্দশা হতো না৷ ধনীরা রাজনৈতিক দল গড়ে ছিল৷ তাই দরিদ্রদের এই সামাজিক ও আর্থিক শোষণের কারণ ইংরেজ আমলের জমিদার ও ধনী ব্যষ্টিরাই তাঁদের (ইংরেজদের) দোসর ছিল৷ তারাই সব ভোগ করছে৷
সমাজ বাঁচাতে হবে৷ সকল মানুষকে সাথ দিয়ে তাঁদের আত্মবিশ্বাস ফেরাতে হবে৷ তার জন্যই বিক্ষুদ্ধ শুদ্রদের উত্থান প্রয়োজন৷ তাঁরাই শোষিত শ্রেণী আজও৷ প্রাউটই হলো এদের বাঁচার একমাত্র পথ৷ আজ চাই সৎনীতিবাদী বিশ্বৈকতাবোধে উদ্বুদ্ধ একদল নিঃস্বার্থ দেশসেবক৷ তাদেরই বলে প্রাউটিষ্ট৷ তাই প্রাউটের সমাজ আন্দোলনকে জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে ও শোষিতদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলা উচিৎ তাঁরা যাতে স্বনির্ভর হয়৷ একসঙ্গে এগিয়ে চলে সমাজকে স্বাবলম্বী করে যদি তোলা যায় তা হলেই শোষণ বন্ধ হবে৷ মানুষ শান্তিতে জীবন কাটাতে সক্ষম হবে৷ আজকে তাই এই পশ্চিমবঙ্গে বাঙালী সমাজকে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিঃস্বার্থভাবেই সেবা দিলে ও সমবায় আন্দোলনকে গ্রামগঞ্জেও জোরদার করে বেকারত্ব দূর করতে হবে৷ শুধু নেতা গিরি করলে আর বত্তৃণতা দিয়ে কাজের কাজ তিল মাত্র হবে না৷ বলতে দ্বিধা নেই একদিন ভারতে একটি দল করে ছিলেন মহান দেশ সেবকগণ তা হলো সমাজবাদী দল৷ ভারতের আধ্যাত্মিক আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে৷
আজ সেই দায়িত্ব দিয়েছে প্রাউট প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার অধ্যাত্মবাদে বিশ্বাসী কেই প্রাউটিষ্টদের ৪৪টি সমাজকে একসাথে সারা ভারতে কাজ করে যেতে হবে ভারতমাতার সার্বিক মুক্তি কল্পে সেটি ভবিষ্যতে সার্থক হবে সারা পৃথিবীতে৷ তাই বাস্তবের মাটিতে নেমে সমাজের কাজ করে যেতে হবে৷ অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো আজ ধনী ব্যবসাদার গণ আর্থিক ক্ষুধা চরিতার্থ করতে বিষাক্ত ভোগবাদকে উষ্কে দিয়ে এমন এক নরক সৃষ্টি করেছে তাতে আদর্শবান দেশ সেবক হওয়ার প্রবণতাটাই তরুণ তরুণীরা হারিয়ে ফেলেছেন!
শতশেষে বলি ভালো কাজেই কষ্ট বেশী তাই আন্তরিকতা ত্যাগ ছাড়া বড়ো কাজ হয় না তাই এই কাজে ব্রতী যাঁরা এটা যেন তাঁদের স্মরণে থাকে৷ অনেকেই এ কাজে নেমে সরে যায় আর নানা অসংগত কথা বলে থাকে৷ সেটাই তাদেরই ব্যর্থতা!
- Log in to post comments