January 2023

মহাপ্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের উদ্দেশ্যে কলকাতা আশ্রমে আনন্দমার্গীদের মহাসমাবেশ

২১শে অক্টোবর মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পার্থিব দেহের মহাপ্রয়াণ দিবস৷ ১৯৯০ সালের ২১শে অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার সময় কলকাতাস্থিত মার্গগুরুভবন ‘মধুকোরকে’ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷ এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীরা শোক বিহ্বল হয়ে পড়েন৷ সব দেশ থেকেই আনন্দমার্গীরা তাঁদের পরমারাধ্য গুরুকে দেখার জন্যে ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার জন্যে কলকাতা আসতে থাকেন৷ তখন সারা বিশ্বের আনন্দমার্গের অনুগামীদের কথা ভেবে আশ্রম কর্তৃপক্ষ মার্গগুরুদেবের পাঞ্চভৌতিক দেহকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত সংরক্ষিত করে রাখেন৷ আর এই কয়দিন ধরেই সমবেত আনন্দমার্গীরা অবিরাম ‘বাবানাম কেবলম্’ সিদ্ধ মহামন্ত্র কীর্ত্তন করতে থাক

কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক ভাষানীতির প্রতিবাদে অসম আমরা বাঙালী

‘আমরা বাঙালী’র অসম রাজ্যকমিটির মুখপত্র আবুলকালাম বাহার জানান --- সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় ভাষা কমিটি কেন্দ্রীয় সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা দানের  ভাষা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরীর প্রবেশিকা পরীক্ষায় ইংরেজি তুলে হিন্দীতে নেওয়ার মর্মে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করার খবর প্রকাশ হিন্দী আগ্রাসন চালাচ্ছে বলে মনে করছে ‘আমরা বাঙালী’ দল৷

হিন্দি চাপানোর বিরুদ্ধে হাওড়ায় ‘আমরা বাঙালী’র বিক্ষোভ

গত ১৯শে অক্টোবর আমরা বাঙালী হাওড়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্য মূলক ভাষানীতির বিরুদ্ধে হাওড়া জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় ও জেলাশাসকের মারফৎ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷

স্বদেশী শোষকের হাত থেকে বাঙলাকে রক্ষা করতে হবে

মনোজ দেব

‘‘একই ভৌগোলিক পরিবেশে, একই ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক আবেষ্টনীর মধ্যে যাদের জন্ম ও লালন-পালন, সেই জনগোষ্ঠী অপর জনগোষ্ঠী থেকে ভিন্নতর গোষ্ঠীগত বৈশিষ্ট্য অর্জন করে৷ পরবর্তীকালের এই গোষ্ঠীগত বৈশিষ্টগুলোর সমগ্র জনগোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ ভাবধারার সঙ্গে এমনভাবে মিশে যায় যে এতে করে একটা জাতীয় স্বভাব তৈরী হয়৷ তা দিয়েই একটা গোটা জাতির মানস-প্রবণতা, বাহ্যিক আচরণ, জীবন ও সমাজের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি---এককথায় একটি বিশেষ জাতীয় দৃষ্টিকোণ গড়ে ওঠে---যা সেই জাতিকে অন্য জাতি থেকে এক পৃথক বৈশিষ্ট্য দান করে৷

জীবনবেদের গুপ্ত গায়ত্রী

যদি কোন ৰৃহৎ বা ভারী বস্তুকে কেউ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে চায়, তার পক্ষে সবচেয়ে ৰুদ্ধিমানের কাজ হবে সেই বস্তুটার ৰীজটাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া৷ একটা গোটা বটগাছকে এক স্থান থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া খুব শক্ত৷ কিন্তু সেই বটবৃক্ষের একটা ছোট্ট ৰীজকে নিয়ে যাওয়া সহজ৷ ৰীজটাকে নিয়ে গেলেই গাছটাকে নিয়ে যাওয়া হ’ল৷

অর্থনৈতিক মন্দা প্রসঙ্গে

শোষণ যখন চরম বিন্দুতে গিয়ে পৌঁছায়, সমাজের গতিশীলতা ও গতিবেগও তখন প্রায় শূন্যাঙ্কে পৌঁছে যায়৷ এমন পরিস্থিতিতে, শোষণের সেই চরমাবস্থায় সমাজের বুকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিস্ফোরণ সংঘটিত হয়৷ ভৌতিক জগতের ক্ষেত্রে এই বিস্ফোরণটা হয় জড়াত্মক, আর মানসিক অধিক্ষেত্রে বিস্ফোরণটা হয় মানসিক বা ভাবাত্মক৷ এ ভাবেই অবস্থাভেদে বিস্ফোরণগুলি ঘটে চলে৷ এই যে মন্দা এটা আসলে সমাজের বুকে শোষণ বা দমন–প্রদমন–ব ফলশ্রুতি৷ সমাজতান্ত্রিক দেশ বা পুঁজিবাদী দেশ উভয় রাষ্ট্রেরই অর্থনৈতিক পরিভূতে মন্দা আসতে বাধ্য–কারণ উভয় দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যেই অন্তর্নিহিত রয়েছে এক গভীর জড়তা৷

মহা সংকল্প দিবস

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

মানবতা যখন এক অত্যন্ত বেদনাদায়ক পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে, ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা, বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতি অর্থনীতি রাষ্ট্রনীতি-সমাজ জীবনের সর্বস্তরে যখন গ্লানি দেখা দেয়, সর্বস্তরেই অধর্মের প্রার্দুভাব দেখা দেয়, সেই অধর্মের হাত থেকে গ্লানির হাত থেকে  পরিত্রাণ পাওয়া মানুষের সাধ্যের বাইরে, তখনই পরমপুরুষকে অবতীর্ণ হতে হয় ধরাধামে অধর্মের হাত থেকে অশুভ শক্তির হাত থেকে সমাজকে পরিত্রাণ করতে৷

একটি ঐতিহাসিক তথ্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

(এক সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া পরম শ্রদ্ধেয় শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকারের ব্যতিক্রমী একমাত্র সাক্ষাৎকার৷ মাধব বসাক কর্তৃক সংগৃহীত ও ইংরেজী থেকে বাংলায় অনূদিত৷)

আঞ্চলিক শ্রীবৃদ্ধির পথ ধরে গড়ে উঠবে বিশ্বায়ণ

প্রভাত খাঁ

মানুষই পারে স্রষ্টার সৃষ্টিকে সার্থক করতে  কিন্তু সেই কাজটি করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে ও অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে৷ এই মহান কর্মের বাস্তবায়নের বিজ্ঞানসম্মত ও যুক্তিপূর্ণ পথ নির্দ্দেশনা দিয়েছেন প্রাউট  দর্শনের  প্রবক্তা  শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকার৷

আঞ্চলিকতার  পথ ধরে  বিশ্বায়নের পথে এগুতে  হবে ঐক্যবদ্ধভাবে মানবসমাজকে৷

প্রথমেই বলতে বাধ্য হচ্ছি এই যে বিশ্বায়ন এটা হলো এক মহান প্রচেষ্টা যেখানে  সকলে এক হয়ে চলার প্রয়াসে রত থাকবে৷

তাপ প্রবাহ নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের হুঁশিয়ারী - বাংলায় পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্য ভারতের বহু এলাকায় বিপদ

অক্টোবরের মাঝামাঝি হয়ে গেল৷ তবুও চড়া রোদের তেজ কমেনি৷ গায়ে জ্বালা ধরানো ভ্যাপসা গরম৷ স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সবসময় বেশী থাকছে৷ এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া নিয়ে ভয় ধরানো ভবিষ্যদবানী করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ ও রেডক্রস৷ এ বছর গরমে আফ্রিকা ও পাকিস্তানের কোন কোন জায়গায় তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর পার করেছিল৷ একটুর জন্য তাপমাত্রা ৫০ এর ঘর ছুঁতে পারেনি রাজধানী দিল্লী সহ উত্তর পশ্চিম ভারতের কয়েকটি জায়গায়৷ এ রাজ্যের বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার চিত্রও ছিল প্রায় একই রকমের৷