January 2023

জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের লড়াই এ বার মধ্যবর্তী নির্বাচনে

ব্যালটে কোথাও তাঁদের নাম নেই, কিন্তু আমেরিকার মধ্যবর্তী ভোটে অগ্ণিপরীক্ষা তাঁদের দু’জনের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ বাইডেনের নেতৃত্বে ডেমোক্র্যাট দল আমেরিকার কংগ্রেসের দুই কক্ষে তাদের আসন ধরে রাখতে পারে কি না, মঙ্গলবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে তা নির্ধারিত হয়ে যাবে৷ অন্যদিকে, দু’বছর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের হারের পর হতোদ্যম রিপাবলিকানদের কাছে এই নির্বাচন ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই৷

মহাকাশে বাঁদর পাঠিয়ে প্রজনন ক্ষমতা পরীক্ষার পরিকল্পনা চীনের

চীন তাদের তিয়াংগং সেপ্স স্টেশনে বাঁদর পাঠানোর কথা ভাবছে! মাধ্যাকর্ষনহীন মহাকাশের পরিবেশে বাঁদরের শারীরিক বৃদ্ধি ও প্রজনন ক্ষমতা নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে চীে??? সিদ্ধান্ত৷ এই ধরণের বিশেষ পরীক্ষায় স্পেস স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক সাং হু জানিয়েছেন জীবন বিজ্ঞান সংক্রান্ত গবেষণার সবচেয়ে বড় মডিউল এই বিশেষ পরীক্ষা৷ মাছ ও শামুকের ওপর আগে এই ধরণের পরীক্ষার পর এবার মহাকাশে বাঁদর ও ইঁদুরের প্রজনন ক্ষমতার পরীক্ষা হবে৷ মাইক্রোগ্র্যাভিটি সহ মহাকাশের নানা পরিবেশের সঙ্গে কোন জীব কিভাবে  মানিয়ে নিতে পারে সে ব্যাপারে ও এই গবেষণায় একটা স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে৷

সাত বছরের মেয়ের শরীরে বিরল টিউমার অপারেশনে সফল মেডিকেল

হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ায় সাতবছরের ফুটফুটে প্রিতুষ্মার শরীরের ভিতরে ছিল বিরল ও মারাত্মক টিউমার৷ নাম ‘ফিডক্রোমেসাইটোমা’৷ কিডনীর ওপর এ্যাড্রিনাল গ্রন্থির এক বিরল টিউমার এটি৷ প্রতি দশলক্ষ জনসংখ্যায় ২-৮ জনের হয়৷ এই রোগ সাধারণত ৩০-৫০ বয়সে দেখা যায়৷ ছোটদের ক্ষেত্রে খুবই কম৷ এই টিউমারের কারণে রক্তচাপ অস্বাভাবিক বেশী ছিল প্রিতুষ্মার৷ এই টিউমার এতটাই বিপজ্জনক যে চিকিৎসাশাস্ত্রে  একে বলা হয় রামোজিক্যাল ‘টাইমবম্ব’!

আফ্রিকার জাম্বিয়ায় বাঙালী ভূতত্ত্ববিদের দেড়কেজি ওজনের পান্নার খোঁজ

বাঙালীর নাম ফের বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল হল৷ বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রিমিয়াম কোয়ালিটির পান্না আবিষ্কার করলেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা ভূতত্ত্ববিদ মানস বন্দোপাধ্যায়৷ আফ্রিকার জাম্বিয়ার খনি থেকে আবিষ্কার করা তার সেই পান্নার নাম উঠেছে গিনেস বুকে৷ নাম উঠেছে মানসবাবুরও৷ ১৫কোটি টাকায় সেই দুর্লভ পান্নাটি কিনে নিয়েছে এক বহুজাতিক সংস্থা৷

হদরোগ (হার্ট ডিজিজ)

লক্ষণ ঃ বুকের মধ্যে জোর শব্দ হওয়া, বুকে ব্যথা, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট বোধ হওয়া, হাত পা থর থর করে কাঁপা প্রভৃতি৷

কারণ ঃ হূদরোগের পেছনে অজস্র কারণ থাকতে পারে৷

১) পাকস্থলীকে যাঁরা সব সময় খুব বেশী ভারাক্রান্ত করে রাখেন, তাঁদের পাকস্থলীতে অধিক পরিমাণে রক্ত সঞ্চালনের আবশ্যকতা দেখা দেয় ও ওই রক্ত যুগিয়ে চলবার জন্যে হূদ্যন্ত্রকে অত্যধিক পরিশ্রম করতে হয়, যার ফলে তা’ দুর্বল হয়ে’ পড়ে৷

বেদব্যাস

প্রভাত রঞ্জন সরকার

‘কৃষ্ণ’ শব্দের একটি অর্থ হ’ল মহর্ষি বেদব্যাস৷ মহর্ষি বেদব্যাস প্রয়াগে গঙ্গা–যমুনার সঙ্গমস্থলের নিকটে যমুনা থেকে উত্থিত একটি কৃষ্ণ দ্বীপে জালিক–কৈবর্ত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন৷ যমুনা নদীর নিকটস্থ মৃত্তিকা হ’ল কৃষ্ণ কর্পাস মৃত্তিকা (ব্ল্যাক কটন সয়েল)৷ এই জন্যে যমুনার জলকেও কালো রঙের বলে মনে হয়৷ যমুনার যে চরটিতে মহর্ষি ব্যাস জন্ম গ্রহণ করেন সেটিরও ছিল কৃষ্ণমৃত্তিকা৷ ভারতের ইতিহাসে ব্যাস নামে কয়েক জনই খ্যাতনামা পুরুষ জন্মগ্রহণ করেছিলেন (উত্তর মীমাংসার বাদরায়ণ ব্যাস)৷ তাঁদের থেকে পৃথক করার জন্যে এঁকে বলা হত কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ ব্যাস অর্থাৎ কালো রঙের দ্বীপের অধিবাসী ব্যাস৷ এই কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ ব্যাস মহাভার

হোগ্লা / বেরা / দিন্দা

দক্ষিণ বাংলায় প্রাচীনকালে হোগ্লা দিয়েই ম্যাড়াপ তৈরী করা হত৷ দক্ষিণ বাংলার নোনা জলে এককালে আপনা থেকেই প্রচুর হোগ্লা গাছ জন্মাত৷ ইংরেজরা যখন এদেশের দখল নিয়েছিলেন তখন দক্ষিণ বাংলায় বিশেষ করে খুলনা (তখন যশোরের অন্তর্গত ছিল), ২৪ পরগণা (তখন নদীয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল) ও মেদিনীপুর (তখন নাম ছিল হিজলী) হোগলা ও গোল গাছে ভর্ত্তি ছিল৷ ওই হোগ্লা ও গোলপাতা দিয়ে কেবল যে ম্যাড়াপ বা মণ্ডপ তৈরী হত তাই–ই নয়, দরিদ্র মানুষের ঘরও তৈরী হত৷ দক্ষিণ বাংলার নাবিকেরা যখন সমুদ্র যাত্রা করতেন তখন যেমন তাঁরা সঙ্গে করে জালা–ভর্ত্তি মিষ্টি জল নিয়ে যেতেন তেমনি নিয়ে যেতেন হোগলার স্তুপ যা শুধু নৌকোতেই নয় ভিন্ন দেশের, ভিন্ন মাটিতে

‘‘কেমনে ভুলি তাঁরে’

আচার্য প্রবুদ্ধানন্দ অবধূত

(ৰাৰার মহাপ্রয়াণ স্মরণে)

সেই মুখ মনে ভাসে,

সেই কন্ঠস্বর কানে আসে,

সেই যিনি বড়ই আপন৷

কেমনে ভুলি তাঁরে,

যিনি আছেন মোদের ঘিরে

স্নেহ ভরে মোর মন প্রাণ৷

 

ভাবিব না যাঁরে ভাবি,

হেরি অপরূপ প্রতিচ্ছবি,

প্রতিক্ষণে শুনি যার গান,

অজানা পথিক তিনি,

অপার ভালবাসার চাহনি,

ভূলি কেমনে তাঁরে

আমি যে তাঁহারই দান৷

 

ৰাৰা আনন্দমূরতি তিনি,

ত্রিভুবনের ভূস্বামী

প্রিয়তম সখা মোর প্রাণ৷

সমর্পিণু ক্ষুদ্র ‘আমি’

সবই মোর তিনিই জানি,

তের পার্বণ: কৃষি উৎসব ইতু পূজো

প্রণবকান্তি  দাশগুপ্ত

বাংলায় তথা সমগ্র ভারতে বহু প্রাচীনকাল থেকে সূর্য নানা নামে নানা রীতিতে পূজিত হয়ে আসছে৷ ঋগ্বেদের অন্যতম প্রধান দেবতা সূর্য৷ বিভিন্ন সময় পৃথিবীর ওপর সূর্যের প্রভাবানুসারে  তাঁর নানা নাম৷ যেমন পৃষা, বরুণ, বিষ্ণু, মাতরিশ্বা, মিত্র ইত্যাদি৷ মিত্র কেন?

‘পানের ৰরজ–বরোজ নয়

ৰাংলা ভাষায় ৰহুল–প্রচলিত ‘গরজ’ শব্দটি আসলে ফারসী মূলজাত৷ শব্দটি ‘গরজ’ নয়–‘গর্জ্’৷ তোমরা ৰাংলা উচ্চারণে ঢ়েলে একে ‘গরজ’ করে নিয়েছ, যেমন তৰলা ৰাজাতে গিয়ে দ্রুত লয়কে ‘জলদ’ করে দিয়েছে৷ শব্দটি ‘জলদ’ নয়–‘জল্দ্’৷ উর্দু ফারসীতে প্রচলিত ‘খুদগর্জী’ শব্দের সঙ্গে তোমরা কেউ কেউ হয়তো পরিচিতও৷ শব্দটি ‘খুদগরজী’ নয়–‘খুদগর্জী’৷

‘গরজ’ অশুদ্ধ....‘গর্জ্’ শুদ্ধ, কিন্তু তাই ৰলে ‘ৰরজ’ অশুদ্ধ–‘ৰরোজ’ শুদ্ধ এমনটা ভেবে বসো না৷ তবে ৰানানে ‘ৰরোজ’ না লিখে ‘ৰরজ’ লেখাই সঙ্গত, কারণ শব্দটির উদ্ভব হয়েছে ৰরূজনূড এই সূত্র থেকে৷ এ ব্যাপারে সেই মজার পৌরাণিক গল্পটা জান তো৷