March 2023

ভারত সম্পদশালী দেশ অথচ ভারতের মানুষ গরিব

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

গত ১৫থেকে ১৯শে ডিসেম্বর,২০২২ সাঁইথিয়া আনন্দমার্গ স্কুলে পাঁচদিনের প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ এই প্রশিক্ষণ শিবিরে বিশিষ্ট প্রাউট তাত্ত্বিক---‘‘আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বর্তমান ঘূণধরা সমাজের সর্বস্তরে যে ব্যাপক দুর্নীতি,অনাচার ও ব্যাভিচার চলছে তার কারণ বিশ্লেষণ করে বলেন---ভারতবর্ষে সম্পদের অভাব নেই৷ কিন্তু যোগ্য নেতৃত্বের অভাবেই আজ দেশের এই করুণ অবস্থা৷’’ ভারতবর্ষে সম্পদের অভাব নেই অথচ দেশের মানুষ দুবেলা পেট পুরে খেতে পায়না৷ ‘‘ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা গরিবের পেটে ক্ষুধার খরা৷’’ ভারত সম্পদশালী দেশ অথচ ভারতের মানুষ গরিব৷ কথাটা স্ববিরোধী হলেও তা বাস্তব সত্য৷ কারণ প্রসূনানন্দজীর ভাষায় আদর্শ

ওঁ–কার ও ইষ্টমন্ত্র

এখন সংক্ষেপে ‘‘ওঁকার ও ইষ্টমন্ত্র’’ সম্বন্ধে তোমাদের কিছু বলব৷ জেনে বা না জেনে প্রতিটি জৈবিক সত্তা পরমপুরুষকে ভালবাসে, তাঁর ভালবাসা পেতে চায়৷ আর সৃষ্টির ঊষালগ্ণ থেকেই (আমি মানুষের সভ্যতার শুরু থেকে না বলে বলছি মানুষ সৃষ্টির প্রথম অবস্থা থেকে) তাদের সমস্ত আশা–আকাঙক্ষা জ্ঞাতে–জ্ঞাতে সেই পরমপুরুষের দিকেই প্রধাবিত হয়ে চলেছে৷

ওঁম্–কার কী? বেদে ওঁম্–কার সম্বন্ধে বলা হয়েছে–

‘‘সবে বেদা যৎপদমামনন্তি তপাংসি সর্বাণি চ যদ্ বদন্তি৷

যদিচ্ছন্তো ৰ্রহ্মচর্যং চরন্তি তত্তে পদং সংগ্রহেণ ব্রুবীম্যোমিত্যেতদ্৷৷’’

অর্থনৈতিক গণতন্ত্র

গণতন্ত্রের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, ‘জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্যে, জনগণের সরকার’৷ কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে গণতন্ত্র হ’ল ‘মবোক্রেসী’, কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার নিয়ন্ত্রিত হয় ‘মব–সাইকোলজি’(জনতা–মনস্তত্ত্ব)–র দ্বারা৷

যদি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতে প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়, তবেই গণতন্ত্র সার্থক হবে, নচেৎ জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্যে, জনগণের শাসনের মানে দাঁড়াবে ‘বোকার দ্বারা, বোকার জন্যে, বোকার শাসন’৷

ত্রিস্তরীয় উন্নতিই প্রকৃত উন্নতি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

মানুষের অস্তিত্ব ত্রিস্তরীয়---শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক৷ মানুষের উন্নতি মানে এই ত্রিস্তরীয় সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি৷ এই সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি যদি না থাকে তাহলে উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হবে৷ বর্তমানে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির হাত ধরে বা আধুনিকতার ছাপ মেরে যে বিপুল উন্নতির বড়াই আমরা করি এই তথাকথিত উন্নতি যে অনেক জটিল প্রশ্ণের সম্মুখে আমাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, তা আজ কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না৷

অর্থনৈতিক শোষণ থেকে বাঁচাতে পারে  প্রাউট দর্শন

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭৫ বছর পরেও স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে দেশের সিংহভাগ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি জিনিষের অত্যধিক প্রয়োজন, তারা পাচ্ছে না৷ আজও অনেকে ক্ষুধা নিয়ে জন্ম হচ্ছে পথে ঘাটে, আর মরতে হচ্ছে সেই পথে ঘাটে অবহেলিত পশু- পক্ষীদের মত৷  পাশাপাশি ভারতের মত বিরাট দেশে যৎসামান্য মুষ্টিমেয় কিছু ধনী ভাগ্যবানরা দেশের সম্পদের সিৎহভাগের মালিক৷

৪০ বছরে  নেলি গণহত্যা---বাঙালীর রক্তে ভেজা বিস্মৃত একটি দিন

সাধন পুরকায়স্থ

পূর্বপ্রকাশিতের পর,

জায়গাটা অসম তাই সেখানকার মানুষ অধিবাসীদের সহ্য করছেন ও যদি এই ঘটনা পঞ্জাবে ঘটতো, তাহলে সেখানকার  মানুষ নাকি ‘‘অধিবাসীদের কেটে টুকরো  টুকরো করে দিতেন৷’’

এই উত্তেজক ভাষণের ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়,  যদিও শ্রীমতী গান্ধীর দ্বারা পাঠানো ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী (সি.আর.পি.এফ) ও ১১ কোম্পানি ভারতীয় সেনার উপস্থিতিতে জানুয়ারি আর ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ তে অসম বিধানসভা নির্বাচন পার হয়৷ নেলির বাসিন্দাদের ভোট পান তৎকালীন কংগ্রেস (আই) প্রার্থী প্রসাদ দলৈ৷ এর ফলে অসম আন্দোলনের নেতৃত্বের চোখের বিষ হয়ে ওঠেন এই অঞ্চলের বাঙালি গ্রামবাসীরা৷

আকাশ তরঙ্গ - রাগী ছেলের শিক্ষা

ছোট্ট এক ছেলে ছিলো প্রচন্ড রাগী। তাই দেখে বাবা তাকে একটা পেরেক ভর্তি ব্যাগ দিল এবং বললো যে, যতবার তুমি রেগে যাবে ততবার একটা করে পেরেক আমাদের বাগানের কাঠের বেড়াতে লাগিয়ে আসবে। প্রথমদিনেই ছেলেটিকে বাগানে গিয়ে ৩৭ টি পেরেক মারতে হলো। ....

পরের কয়েক সপ্তাহে ছেলেটি তার রাগকে কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনতে পারে তাই প্রতিদিন কাঠে নতুন পেরেকের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে এলো। সে বুঝতে পারলো হাতুড়ী দিয়ে কাঠ বেড়ায় পেরেক বসানোর চেয়ে তার রাগকে নিয়ন্ত্রন করা অনেক বেশি সহজ।

দিনে কলেজের লেকচারার আর রাতে কুলি

ওড়িশায় গঞ্জামের বেরহামপুরে দিনে কলেজে পড়িয়ে রাতের বেলায় তিনি কুলির কাজ করেন এই তরুণ৷ কারণ জানলে সত্যি তাজ্জব হবেন সকলেই!  প্রত্যন্ত গ্রামের সন্তান নাগেশুর পড়াশোনা দারিদ্রের চাপে বন্ধ হয়ে যায় ২০০৬ সালে৷ তখনই ঠিক করে ফেলেন সুযোগ পেলে গরিব ছেলেমেয়েদের পড়াবেন৷ ২০১২ সালে করেশপনডেন্সে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন৷ তারপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর৷ এই সুযোগ এমন মানুষের  কথা শুনলে অবাক হয়ে যেতে হয়৷ ওড়িশার গঞ্জামের বেরহামপুর স্টেশনে বিশাল বোঝা বয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায় নাগেশু পাত্রকে৷ এটা অবশ্য রাতে বেলা৷ দিনে তিনি করেন একেবারে অন্য কাজ৷ একটি কলেজে পড়ান নাগেশু (৩১)৷ কেন এমন কাজ করেন?

গঙ্গার ভাঙ্গনে বিপন্ন বোট্যানিক গার্ডেন

গঙ্গার ভাঙ্গনে বিপন্ন হয়ে পড়েছে এশিয়ার বৃহত্তম ও প্রাচীনতম হাওড়া শিবপুরের ব্যোটানিক গার্ডেন৷ ভাঙ্গন রোধে কেন্দ্রকে চিঠি দিলেন কর্ত্তৃপক্ষ৷ কর্ত্তৃপক্ষের কেন্দ্রকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে আচার্য  জগদীশচন্দ্র বোস ইন্ডিয়ান বোটানিক গার্ডেনের ভাঙ্গন ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে৷ ভাঙ্গন দ্রুতরোধ করতে না পারলে গঙ্গার গর্ভে চলে যাবে গার্ডেনের একটি বড় অংশ৷ গার্ডেনের যে অংশে ভাঙ্গন হচ্ছে সেই এলাকার  গাছের তালিকা কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রকে জমা দিয়েছে গার্ডেন কর্ত্তৃপক্ষ৷ এছাড়াও ভাঙ্গন রোধের পরিকল্পনাও জমা দিয়েছে৷

চেতলায় মার্গীয়বিধিতে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান

গত ১২ই মার্চ রবিবার কলিকাতার চেতলায় শ্রী গোপাল রায় চৌধুরীর বাড়ীতে ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রদত্ত সমাজ শাস্ত্র চর্যাচর্য অনুসারে মার্গীয়বিধিতে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান হয়৷ পৌরহিত্য করেন আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত৷ এই উপলক্ষ্যে তিনঘন্টা ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ অখণ্ড কীর্ত্তন হয়৷ কীর্ত্তন ে শষে মিলিত সাধনা, গুরুপূজা ও ধর্মশাস্ত্র পাঠ হয়৷ সবশেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের প্রীতিভোজে আপ্যায়িত করা হয়৷