March 2023

জাগৃতি উদ্বোধন

গত ১৯শেফেব্রুয়ারী ২০২৩ মেদিনীপুর পশ্চিম জেলার চন্দ্রকোণা রোডস্থিত আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের উদ্যোগে ভক্তিমণ্ডিত পরিবেশে বেদমন্ত্র পাঠ, শঙ্খধবনিসহ সকাল বেলায় অপর্ণাপল্লীতে নবনির্মিত জাগৃতি ভবনের উদ্বোধন হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত, অখণ্ড কীর্ত্তন সমবেত ধ্যান, গুরুপূজা, ধর্মশাস্ত্র পাঠের পর পরমগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর গুরু মহিমা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ছিলেন ধর্মগুরু, যোগগুরু, দর্শন গুরু, শিক্ষাগুরু, সমাজগুরু ও সঙ্গীত গুরু৷ জীব জগতের প্রতি ছিল তাঁর অনন্ত প্রেম ও অনন্ত মমত্ববোধ৷ এই অনন্ত প্রেম ও মমত্ব-বোধের প্রেষণায় তিনি সমাজকে দান করেছেন অনন্ত রত্

বাঙালীরা আর কতদিন ‘আ মরি’ বাংলা ভাষা বলতে পারবে?

অসিতদগ্ধ দত্ত

ভাষা মানুষের অন্তরের ভাব প্রকাশের এক শক্তিশালী মাধ্যম৷ এই ভাষা মানুষের প্রাণীন সম্পদ---যা তার প্রাণধর্ম অর্থাৎ সত্তাগত বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সম্পর্কিত৷ নিজস্ব মাতৃভাষায় একজন যেমন স্বচ্ছন্দে ও সাবলীলভাবে নিজের ভাবকে প্রকাশ করতে পারে তেমনটি অন্য কোন ভাষায় পারে না৷ মাতৃভাষা ছাড়া অন্যভাষার কথা বলতে সে অসুবিধা বোধ করে৷ প্রতিনিয়তই যদি তাকে অন্যভাষায় কথা বলতে বাধ্য করান হয়, তবে প্রাণশক্তি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে ও ক্রমশ তার প্রাণশক্তি দুর্বল হয়ে পড়বে৷ ফলে ব্যষ্টি  বা ব্যষ্টিসমূহের মধ্যে এক মনস্তাত্ত্বিক সংকট দেখা দেবে যা তার মধ্যে এক হীনমন্যতার জন্ম দেবে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের মধ্যে এক?

বাঙালীর মুক্তি ও বন্ধনে বাংলাভাষার ভূমিকা

খগেন্দ্রনাথ দাস

একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে,  যে ভাষার যত প্রতিপত্তিই থাক না কেন অন্য অনেক কিছুর মত ভাষারও জন্ম ও মৃত্যু আছে৷’ (বর্ণ বিজ্ঞান, প্রভাতরঞ্জন সরকার, পৃঃ৩) কিন্তু একটি ভাষার মৃত্যুর পরেও তার ছাপ রেখে যায় একদা সেই ভাষা এই নির্ভরতা কতটা ফলপ্রসু তার জ্বলন্ত উদাহরণ বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত থেকে শুরু করে বাংলাভাষার বহু প্রথিতযশা সাহিত্যিকগণের সৃষ্টিরাজি৷ এহো বাহ্য, উপনিষদ ছাড়া তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কল্পনা করাই অসম্ভব৷ উপর্যুক্ত সাহিত্যিকগণের সৃষ্ট সাহিত্য বাংলাভাষার উৎসভূমির সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত বলেই তাঁদের সৃষ্টিরাজি এতটা সমৃদ্ধ হতে পেরেছে, একথা অত্যুক্তি নয়৷

বাদুড়িয়ায় অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ২৫শে ফেব্রুয়ারী,২০২৩ লক্ষ্মীনাথপুর, বাদুড়িয়া-য় শ্রী প্রশান্ত হালদার মহাশয়ের বাড়ীতে সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হ’ল৷ কীর্ত্তন শেষে কীর্ত্তনের গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন ব্যারাকপুর ডায়োসিস সেক্রেটারী দাদা আনন্দ সৌম্যসুন্দরানন্দ অবধূত৷ কীর্ত্তনের আনন্দ উপভোগ করেছেন পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন সকলেই৷ কীর্ত্তনানুষ্ঠানের শেষে সকলকেই প্রীতি-ভোজে আপ্যায়িত করা হয়৷

নিউব্যারাকপুরে  অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ২৬শে ফেব্রুয়ারী নিউ ব্যারাকপুর ইয়ূনিটের মাসিক কীর্ত্তনের একবিংশ বৎসরের দ্বিতীয় মাসের কীর্ত্তন সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হ’ল৷ কীর্ত্তনে শতাধিক মার্গী দাদা-দিদি উপস্থিত ছিলেন৷ বিকেল সাড়ে চারটা থেকে রাত পৌনে আটটা পর্যন্ত জিপি আয়োজিত সিম্পোজিয়াম (বিষয়ঃ নারীর মর্যাদা) অনুষ্ঠিত হ’ল নিউব্যারাকপুরের রামকৃষ্ণ পাঠাগারের সভাগৃহে৷ সেখানে হল ভরা মহিলারা উপস্থিত ছিলেন৷

প্রাউটের দৃষ্টিতে আধুনিকতা ও নারী স্বাধীনতা

আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত

বর্তমানে সমাজে কিছু ব্যতিক্রমী নারী সংঘটন ছাড়া অধিকাংশরই ভূমিকা কেবল প্রতিবাদী আন্দোলন ও তথা কথিত নারী স্বাধীনতা, আধুনিকতা ইত্যাদি বিষয়ের মধ্যেই  সীমাবদ্ধ থাকে৷ আধুনিকতা মানে যৎসামান্য পোশাক পরে  শরীর দেখানোর ধৃষ্টতা নয়৷ আধুনিকতা মানে ড্রাগের নেশায় বা মদ খেয়ে বেহেড মাতাল হয়ে বার, ডিস্কোথেক ও নাইট ক্লাব ইত্যাদিতে অশ্লীলভাবে উদ্দাম নাচা নয়, বেলেল্লাপনা নয়৷ আধুনিকতা মানে নয় অবাধ যৌনাচারও৷ আধুনিকতা মানে অন্ধবিশ্বাস–কুসংস্কা মুক্ত, যুক্তিসিদ্ধ,  বিবেক পরিচালিত,  পরিশীলিত ও সংযমী অভিপ্রকাশ যার ভিত্তিভূমি নৈতিকতা, আধ্যাত্মিকতা ও বিশ্বৈকতাবাদ৷ যার প্রভাব সমাজে কখনও ক্ষতিকর ও ধ্বংসাত্মক না হয়ে সর্বদ

আনন্দনগরে ‘রক্তমৃত্তিকা ভবনের’ উদ্বোধন

গত ২২শে ফেব্রুয়ারী,২৩ উত্তর আনন্দনগরে নবনির্মিত ‘‘রক্ত মৃত্তিকা ভবন’’ আনন্দনগরের বয়োজ্যেষ্ঠ সন্ন্যাসী আচার্য করুনাত্মানন্দ অবধূত দাদা উদ্ভোধন করেন৷ এই উপলক্ষ্যে তিন ঘন্টা অখণ্ড ‘‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’’ নাম কীর্ত্তন করা হয়৷ উক্ত ভবনে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের অর্থাৎ আনন্দমার্গ মিশনের সর্বক্ষণ কর্মী যাঁদের প্রাকৃতিকভাবে বা অসুস্থতার কারণে কর্মক্ষমতা লুপ্ত হয়ে গেছে৷ সংস্থাগত নিয়মের মাধ্যমে ওইসব কর্মীগণ সুস্থভাবে শেষ জীবন অতিবাহিত করতে পারেন সেই ব্যবস্থা থাকবে৷

আনন্দনগরে আধ্যাত্মিক পর্যটন

২৭শে ফেব্রুয়ারী,২৩ উড়িষ্যা, ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যের কিছুসংখ্যক আনন্দমার্গী ও ছাত্র-ছাত্রাগণ আনন্দনগর নৃতাত্ত্বিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, আধ্যাত্মিক তন্ত্রপীঠ, পরিবেশবিজ্ঞান সম্বন্ধীয় শিক্ষামূলক ভ্রমণে আসেন৷ তাঁরা মধ্য রাঢ়বিন্দু মাল্টা মোসাম্বি লেবু বাগান, অস্থি পাহাড়ের ডায়নোসরের ফসিল, ‘‘মধুমূর্চ্ছনা’’ মার্গ গুরু বাসভবন, মধ্য আনন্দনগর পরিবেশ সংবর্দ্ধন কানন (পসকা), তন্ত্রপীঠ ও লীলাবতী সায়র প্রভৃতি ঘুরে বেড়িয়ে দেখেন৷

আধ্যাত্মিক সাধনা চক্র

গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী,২৩ আনন্দনগরের পুন্দাগে গৃহী আচার্য কিষণসুদ দাদা তাঁর নবনির্মিত বাসভবনে ‘‘আধ্যাত্মিক সাধনা চক্র’’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন৷ উদ্দেশ্য আনন্দমার্গের অনুগামীদের তথা সকলের আধ্যাত্মিক অনুশীলনে বিশেষভাবে মনোনিবেশ ঘটুক৷ আত্মিক উন্নতি ঘটলে সাধকের যেমন শারীরিক ও মানসাধ্যাত্মিক কল্যাণ হবে সাথে সাথে সমাজের কল্যাণ হবে৷ বেলা ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কুড়ি মিনিট ভজন (প্রভাত সঙ্গীত), কুড়ি মিনিট ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন, কুড়ি মিনিট সাধনা ক্রমান্বয়ে চলতে থাকে ও এক আধ্যাত্মিক তরঙ্গ  উৎপন্ন হয় অর্থাৎ এক ঐশ্বরিক পরিবেশ পরিমণ্ডল শেষে বর্ণাঘ্যদান, স্বাধ্যায় ও মিলিত আহার ও নারায়ণ সেবার মাধ্যমে অ