November 2017

উদীচী

এক ভদ্রলোক থাকতেন কলকাতায়৷ তাঁর নাম–ধরো, মনোরঞ্জন ঘোষ–দস্তিদার৷ বাড়ী তাঁর বাখরগঞ্জ জেলার গাভা গ্রামে৷ এক বার তিনি গ্রামে যাবেন৷ গ্রামে যে লোকটি তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁর পরিবারকে দেখাশোনা করে, ধরো তার নাম গোপাল দাস৷ মনোরঞ্জনবাবু গোপালকে চিঠি লিখে জানালেন, অমুখ তারিখে গ্রামে যাচ্ছি৷ তুমি ষ্টীমার ঘাটে উপস্থিত থেকো৷

মনোরঞ্জনবাবুর অনুপস্থিতিতে ও অজ্ঞাতে তাঁর পরিবারে এমন অনেক ঘটনাই ঘটে গেছে যা এখনো পর্যন্ত তাঁর জানবার ও শোণবার সুযোগ হয়নি৷ ষ্টীমার থেকে নেবে মনোরঞ্জনবাবু গোপালকে জিজ্ঞেস করলেন–হ্যাঁ গোপাল, বাড়ীর সব খবর ভাল তো?

গোপাল বললে–হ্যাঁ কত্তা, সবাই ভাল, সব কিছুই ঠিকঠিক চলছে৷

প্রভাত সঙ্গীতের ৩৫ বর্ষপূর্ত্তি উৎসব ঃ সায়েন্স সিটিতে আনন্দমার্গের অনুষ্ঠান

 কলকাতা ঃ গত ২৭ শে অক্টোবর, শুক্রবার, কলকাতার  সায়েন্সসিটি  অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আনন্দমার্গের সাংসৃকতিক প্রকোষ্ঠ রেঁণেশা আর্টিষ্টস্ এ্যান্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশনের (রাওয়া)-র উদ্যোগে মানব সমাজে মার্গগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর  সুমহান অবদানের  ওপর  বক্তব্য রাখতে গিয়ে  ত্রিপুরার সেন্ট্রাল ইয়ূনিবাসিটির  দর্শন বিভাগের  প্রধান ডঃ আদিত্য মহান্তী বলেন, বর্তমান  মানব সমাজ দিশাহীনভাবে  ছুটে চলেছে৷ মানুষ তার জীবনের লক্ষ্য ও কর্ত্তব্য সম্পর্কে সচেতন  নয়৷  তাই জীবনের  তথা সমাজের  সর্বক্ষেত্রে চরম বিশৃঙ্খলা, অন্ধবিশ্বাস,  কুসংস্কার, দুর্নীতি ও শোষণ বিরাজ করছে৷  মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী তাই

মানবতার চরম অবমাননা

আজও এ দেশে তথাকথিত উচ্চবর্ণের মানুষদের হাতে তথাকথিত নীচু বর্ণের মানুষেরা অত্যাচারিত হচ্ছেন৷ যদিও প্রকৃতপক্ষে সমস্ত মানুষই এক জাতিভুক্ত৷ কারণ সবাই একই পরমপিতার সন্তান৷

অতীতের মতো বাঙালী কবে  আত্মসচেতন হবে

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

আমরা দেখে শিখি,  পড়ে শিখি, নয়তো ঠেকে শিখি৷  মানুষ হিসেবে জীবনের ছোট্ট পরিসরে  বিপুলা এই পৃথিবীর কতটুকুই বা  আমরা দেখতে পারি!

দলতন্ত্রের আগ্রাসনে গণতন্ত্রের নাভিঃশ্বাস  

প্রভাত খাঁ

দলতন্ত্র আর গণতন্ত্র যে এক নয় সেটা যতদিন না দেশের নাগরিকগণ মন থেকে উপলব্ধি করছেন ততদিন গণতন্ত্রের মুক্তি নেই৷ বর্তমানে দলতন্ত্র এমন এক নির্লজ্জ স্থানে এসে হাজির হয়েছে যা বলার নয়৷ অত্যন্ত বেদনা ও দুঃখের কথা, এই দলতন্ত্র প্রয়োজনে নিছক দলীয় স্বার্থে সংবিধানকে পর্যন্ত অস্বীকার করে দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে পদদলিত করতেও ছাড়ে না৷ এর উদাহরণ তো স্বয়ং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশে অভ্যন্তরীণ জরুরী অবস্থা জারী করে দেখিয়ে গেছেন৷ লোকসভাকে না জানিয়ে তিনি এ কাজ করেছিলেন৷

পাকিস্তানী আই এস আইয়ের জঘন্য ষড়যন্ত্রের কুফল হ’ল মায়ানমারের রোহিঙ্গা বিতাড়ন

মুশাফির

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইণ্টার সার্ভিস ইণ্টেলিজেণ্স-এর (আই এস আই) কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আসফাকের সাঙ্গপাঙ্গরা পাকিস্তানের (টেররিস্থান)-এর  মাটিতে আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরশা) গঠন করেন৷ এদের উদ্দেশ্য হ’ল বর্তমান বাঙলাদেশের মাটিতে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে এনে বাঙলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে তোলা৷ তাছাড়া এই রোহিঙ্গাদের মধ্যে দিয়ে উগ্রপন্থী, জঙ্গী রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়বে বাঙলাদেশ ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে৷ এরা অস্থিরতা সৃষ্টি করবে এই সমস্ত দেশে পাকিস্তানী জঙ্গী যারা আছে তাদের মদতে৷

তরুণ পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিকের মৃত্যুতে আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ

 গত ১৩ই অক্টোবর দার্জিলিংয়ে বিদেশী গোর্খা ও রাষ্ট্রদ্রোহীদের কবলমুক্ত করে  বাংলার  অখন্ডত্ব রক্ষা করতে গিয়ে  তরুণ পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিকের মৃত্যুতে আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় সচিব বকুল চন্দ্র রায়  গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও

অমিতাভ মালিকের  হত্যার  প্রতিবাদে  শিলিগুড়িতে ‘আমরা বাঙালী’র  মিছিল

দার্জিলিংয়ে দেশদ্রোহী বিমল গুরুংয়ের বাহিনীর গুলিতে  রাজ্য পুলিশের তরুণ অফিসার অমিতাভ  মালিকের মৃত্যুর  গভীর  শোক প্রকাশ করে দার্জিলিং জেলার আমরা বাঙালী কমিটি৷ এই উপলক্ষ্যে আমরা বাঙালীর এক শোকমিছিল শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক থেকে শুরু হয়ে  শহর পরিক্রমা করে  এয়ার ভিউ মোড়ে  এসে পৌঁছায়৷ এখানে এক পথসভায় সন্ত্রাসবাদী