January 2020

গৃহপ্রবেশ

গত ১২ই ডিসেম্বর নিউ ব্যারাকপুরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী মানব সাহার নবনির্মিত গৃহের উদ্বোধন হয়৷

গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত৷ এই উপলক্ষ্যে তিন ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড বাবানাম কেবলম’ মহা সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত, হরলাল হাজারী প্রমুখ৷

কীর্ত্তন শেষে কীর্ত্তন মাহাত্ম্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন শ্রী সন্তোষ বিশ্বাস, শ্রী মোহন অধিকারী প্রমুখ৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানে সকলকে মিলিত নিরামিষ ভোজে আপ্যায়িত করা হয়৷

আনন্দমার্গ বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

এলাঙ্গী, নদীয়া ঃ নদীয়া জেলার প্রবীণ আনন্দমার্গী তথা ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের অন্যতম প্রবীণ কর্মী শ্রী অরুণ মণ্ডল গত ৫ই ডিসেম্বর ২০১৯ তাঁর বাসগৃহে প্রয়াত হন৷  মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর৷ ব্যষ্টিগত জীবনে তিনি শিক্ষকতা করতেন৷ তিনি ছাত্রদের অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন৷ সদালাপী এই মানুষটি সবার কাছে খুব প্রিয় ছিলেন৷ মৃত্যুকালে তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যা রেখে যান৷ তাঁর স্ত্রী পূর্বেই প্রয়াত হয়েছেন৷ ১৫ই ডিসেম্বর রবিবার এলাঙ্গী গ্রামে তাঁর বাসগৃহে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র বিধি অনুযায়ী তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়৷

পরলোকে প্রবীণ আনন্দমার্গী

গত ১৮ই ডিসেম্বর বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া গ্রামের প্রবীণ আনন্দমার্গী ধরণীধর গরাই পরলোকগমন করেন৷ বার্ধক্য জনিত রোগভোগের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর৷ তাঁর চার পুত্র ও দুই কন্যা বর্তমান৷

প্রয়াত শিবু আচার্য

কলিকাতার বেহালার নিবাসী একনিষ্ঠ আনন্দমার্গী শিবু আচার্য গত ২৪শে ডিসেম্বর প্রয়াত হন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর৷ তিনি কিডনির অসুখে ভুগছিলেন৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কলিকাতার ভুক্তিপ্রধান হয়ে তিনি যোগ্যতার সঙ্গে দীর্ঘদিন মিশনের কাজ করে গেছেন৷  তিনি নিঃসন্তান ছিলেন৷ তাঁর স্ত্রী বর্তমান৷

আলোর গান

শুভ্র ড্যানিয়েল

প্রভাতসূর্য উঠিল জাগিয়া

তোমারই মধুর নামে৷

ধৌত ধন্য হইল ধরণী

নবীন আলোক–স্নানে৷৷

হাসিল পুষ্পিত শাখী

কুঞ্জে গাইল পাখি

মাতিল মধুপ তোমারই নামেতে

ভুলিল মধু পানে৷৷

তোমারই নামেতে আজই

দ্যুলোকে ভূলোকে গভীর পুলকে

বাঁশরি উঠিল বাজি’৷৷

ঘুচিল অন্ধকার

খুলিল বন্ধ দ্বার –

নিখিল–হৃদয় হরষে দুলিল

তোমারই নামগানে৷৷

দ্বিখণ্ডিত লাশ

কবি রামদাশ বিশ্বাস

তুমি বলছ বাঙালী

বাঙলাদেশের বাসিন্দা

আমি বলছি বাঙালী

পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা৷

একটা মানুষ আজ দ্বিখণ্ডিত৷

আশ্চর্যের ব্যাপার!

তবু নাকি আমরা বেঁচে আছি৷

এ কেমন বাঁচা!!

মাথার ওপর আজ

এন.আর.সি.-র খড়গ ঝুলছে

তবু নাকি আমরা বেঁচে আছি৷

যাদুকরের টেবিলে শুয়ে আছি আমি

অর্ধেক দেহ আমার বাঙলাদেশে

অর্ধেক দেহ আমার পশ্চিমবঙ্গে৷

যাদুকর, কবে আমি জোড়া লাগব, কবে?

সেদিন আর কত দূরে?

হিন্দী সাম্রাজ্যবাদ আমার গলা টিপে ধরেছে,

যাদুকর, আমাকে জোড়া লাগাতে দেবে না ওরা

বায়না

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

মায়ের কাছে আমার যত বায়না

আমায় ছেড়ে মা কভু খায়না৷

সকল কাজেই মা বলে আয়না

আমায় ছাড়া কিছুটি সে চায়না৷

মায়ের ব্যথা এ বুকে কভূ সয়না

ধ্যান ধারণায় মা’কী কথা কয়না?

শিবঠাকুর কেন বা কোলে লয়না

ভাবি মনে কেনইবা তা হয়না?

শামিয়ানা নেতা

‘কেণিকা’ শব্দের একটি অর্থ হল শামিয়ানা৷ শব্দটি ফার্সী৷ এ ক্ষেত্রে বাঙলার নিজস্ব শব্দ ‘কেণিকা’৷ রোদ ও অল্প বারিপাতের হাত থেকে কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠানকে বাঁচাবার জন্যে শামিয়ানার ব্যবহার হয়ে থাকে৷ এই ‘শামিয়ানা’ শব্দটি বাংলা ভাষায় এসেছে বড় জোর ৪০০ বছর৷ ছোটবেলায় আমি একজন শামিয়ানা–নেতার নাম শুনেছিলুম৷ তোমরা নিশ্চয় জানো, নেতা হবার জন্যে অনেকের সখের প্রাণ গড়ের মাঠ হয়ে থাকে৷ যোগ্যতা নেই, তবু নেতা হতে হবে৷ তাই তারা অনেক সময় অন্যকে দিয়ে ভাষণ লিখিয়ে নিয়ে নিজেরা তা কতকটা মুখস্থ করে জনসভায় ছেড়ে দেয়৷ হাততালির ব্যবস্থা আগে থেকেই করা থাকে৷ এদের জন্যে ‘শামিয়ানা–নেতা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়৷

শামিয়ানা নেতা

‘কেণিকা’ শব্দের একটি অর্থ হল শামিয়ানা৷ শব্দটি ফার্সী৷ এ ক্ষেত্রে বাঙলার নিজস্ব শব্দ ‘কেণিকা’৷ রোদ ও অল্প বারিপাতের হাত থেকে কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠানকে বাঁচাবার জন্যে শামিয়ানার ব্যবহার হয়ে থাকে৷ এই ‘শামিয়ানা’ শব্দটি বাংলা ভাষায় এসেছে বড় জোর ৪০০ বছর৷ ছোটবেলায় আমি একজন শামিয়ানা–নেতার নাম শুনেছিলুম৷ তোমরা নিশ্চয় জানো, নেতা হবার জন্যে অনেকের সখের প্রাণ গড়ের মাঠ হয়ে থাকে৷ যোগ্যতা নেই, তবু নেতা হতে হবে৷ তাই তারা অনেক সময় অন্যকে দিয়ে ভাষণ লিখিয়ে নিয়ে নিজেরা তা কতকটা মুখস্থ করে জনসভায় ছেড়ে দেয়৷ হাততালির ব্যবস্থা আগে থেকেই করা থাকে৷ এদের জন্যে ‘শামিয়ানা–নেতা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়৷