February 2020

‘আমরা বাঙালী’র  নেতাজী জয়ন্তী পালন

কলকাতা সহ রাজ্যের  প্রতিটি জেলায় ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে সাড়ম্বরে নেতাজীর ১২৪-তম জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়৷ কলকাতায় চেতলা পার্ক থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নেতাজী ভবনে এসে পৌঁছায়৷ সেখানে নেতাজীর মর্মরমূর্ত্তিতে সংঘটনের পক্ষ থেকে নেতা ও নেত্রীরা মাল্যদান করেন৷ রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই নেতাজীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নানা  অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের নেতৃবৃন্দ৷ স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজীর ত্যাগ ও দেশপ্রেমের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন নেতৃবৃন্দ৷ কলকাতার নেতাজী ভবনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংঘটনের কেন্দ্রীয় সচিব বকুল রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাশ প্রমু

সাধারণতন্ত্র দিবসের বিচার্য---সংবিধানের অঙ্গীকার কতটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে

আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত

২৬ জানুয়ারী--- প্রতি বছর এই দিনটি সংবিধান প্রবর্ত্তনের স্মৃতিতে সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করা হয়৷ সারা বিশ্ব জুড়ে এই রকম দিবস পালনের হুজুগ দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ কিন্তু এই সব দিবস পালনের সার্থকতা কী সে বিচার কখনও করা হয়নি৷ সাধারণতন্ত্র দিবস নিছক একটা দিবস পালনের অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে৷ সংবিধান ঘোষিত অঙ্গীকার কতটা পালন হচ্ছে সে বিচার কেউ করে না৷

আনন্দমার্গের সূত্রপাত

অনেকদিন পর্যন্ত সমাজ–সেবার কাজে লিপ্ত থাকার পর যখন প্রকৃত মানুষ তৈরী করার কথা ভাবা হ’ল তখন ১৯৫৫ সালের ৯ জানুয়ারী আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠা হয়ে গেল৷ প্রকৃতপক্ষে এর কিছু পূর্বেই আনন্দমার্গের কাজের সূত্রপাত হয়ে গিয়েছিল কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে যেটা হ’ল ১৯৫৫ সালে৷ কিন্তু প্রথমে ‘আনন্দমার্গ’ নামকরণ হয় নি৷ এর কয়েক মাস পরে ১৯৫৫ সালের শ্রাবণী পূর্ণিমার দিন ‘আনন্দমার্গ’ নামকরণ করা হ’ল৷ ১৯৪০ সালে শ্রাবণী পূর্ণিমার দিনেই এই কলকাতায় আমি প্রথম দীক্ষা দিয়েছিলুম৷ এরপরে অন্য কোন শ্রাবণী পূর্ণিমার দিন আমি কলকাতা বা বাঙলায় যাই নি৷

প্রদমন, অবদমন ও দমন

কম্যুনিষ্ট রাষ্ট্রগুলিতে তোমরা প্রদমন, অবদমন ও দমনের একটা ত্রিভুজ পুরোপুরি কার্যকরী দেখতে পাবে৷ এই তিনটি ত্রুটির ওপর কম্যুনিজম আধারিত৷ কিন্তু এই তিনটি ত্রুটির মধ্যে সব চাইতে বেশি ঘটেছে দমন, তারপর ঘটেছে অবদমন ও সব চাইতে কম ঘটেছে প্রদমন৷ এই প্রদমন, অবদমন ও দমনের ফলে সৃষ্ট শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা থেকে জনসাধারণকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে৷ এই তিনটি মানসিক পীড়ন মানুষের মনকে ভেঙ্গে চুরে তছনছ করে দিয়েছে৷

অশনি সংকেত

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

সংবাদে প্রকাশ, একমাত্র অসমে এন আর সি করতে সরকারের এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা৷ কার টাকা? সরকারকে জনসধারণের দেওয়া ট্যাক্সের টাকা৷ কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সব রাজ্যেই এন.আর.সি. করা হবে৷ তারপর আবার নাগরিক সংশোধন (সি.এ.এ.) কার্যকর করা হবে৷ অর্থাৎ লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা এভাবে খরচ হবে৷ তাতে যাদের টাকা, সেই জনসাধারণের কি উপকার হবে? এতে কি গরীব মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান, শিক্ষা বা কর্মসংস্থান সমস্যার সুুরাহা হবে?

নেতাজীর সমন্বয়বাদ ও প্রাউটের সংশ্লেষণাত্মক মানবতাবাদ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

(পূর্ব প্রকাশিতের পর )

নেতাজী বলেছেন, ‘‘ভারতের জন্যে যে সমাজতন্ত্র উপযুক্ত, সে সমাজতন্ত্র কার্লমার্কসের পুঁথির পাতা থেকে জন্ম নেয়নি, এর উৎপত্তি ভারতবর্ষের আপন চিন্তাধারা ও সংসৃক্তির মধ্যে’’–(রঙ্পুর বত্তৃণতা, ৩০শে মার্চ, ১৯২৬)৷ এখানেও সেই সমন্বয়বাদের আদর্শ–ভারতের আধ্যাত্মিক সম্পদের সঙ্গে সমাজবাদের সমন্বয়ই নেতাজীর কাম্য৷ তা যে কেবল ভারতের সমাজের উন্নতির জন্যেই প্রয়োজন তা নয়–তা সমস্ত বিশ্বের জন্যেও প্রয়োজন৷ তিনি ‘It may be that the form of socialism which India will evolve will have something new and original about it, which will be benefit to the whole world.’’ (T. U. C. speech)

স্বদেশ প্রেমের অপর নাম ঃ তেইশে জানুয়ারী

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

যে সুযোগ আসছে সেটা সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে হবে৷ সেজন্য নিজেরা জাতি ও ধর্মনির্বিশেষে  অবিলম্বে সংঘবদ্ধ হন৷  চাই ঐক্য ও একাগ্রতা৷’’

সুভাষচন্দ্রের এই বেতার ভাষণ শুণে সমগ্র দেশবাসীর মনে  স্বাধীনতা প্রাপ্তির একটা আশা ও আবেগের সঞ্চার হল৷

আমরা বাঙালীর গণ অবস্থান

আগরতলা ঃ গত ১৯শে জানুয়ারী ‘আমরা বাঙালী’ ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি ছয় দফা দাবী আদায়ে কাঞ্চনপুর সুপার মার্কেট সংলগ্ণ স্থানে অবস্থানে বসে৷ সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই অবস্থান চলে৷

কাঁকিনাড়া, হালিশহরে আনন্দমার্গের বুক স্টলে উৎসাহী মানুষের ভীড়

উত্তর ২৪ পরগণার দুই শহরে হালিশহর উৎসব ও কাঁকিনাড়া উৎসব উপলক্ষ্যে মেলার আয়োজন করা  হয়েছিল ২৩শে জানুয়ারী থেকে ২৮শে জানুয়ারী পর্যন্ত৷ হালিশহরে রামপ্রসাদের খেলার মাঠে ও কাঁকিনাড়ায় রথতলা ফিঙেপাড়া হাইসুকলের মাঠে মেলা দুটি অনুষ্ঠিত হয়৷ দু’টি মেলাতেই আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের স্থানীয় ইয়ূনিটের পক্ষ থেকে বুকষ্টল দিয়েছিল৷ বুক স্টলগুলিতে আনন্দমার্গের দর্শন, ইতিহাস, বিজ্ঞান, যোগ, তন্ত্র, ভাষা, সাহিত্য, শিশু সাহিত্য বিষয়ক পুস্তকের সম্ভার ছিল৷ দুটি মেলাতেই আনন্দমার্গের বুক স্টলগুলিতে প্রচুর উৎসাহী মানুষ জমায়েত হয়েছিল ও তাঁরা বিভিন্ন রকম বইও ক্রয় করেন৷ মেলার উদ্যোক্তারাও আনন্দমার্গের স্টল পরিদর্শন করে ও পুস

রাজ্য বিধানসভায় সি.এ.এ. বিরোধী প্রস্তাব পাশ

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এন.পি. আর. ও এন.আর.সি.-র বিরুদ্ধে প্রস্তাব গৃহীত হয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় গত ২৭শে জানুয়ারী৷ বিজেপি ছাড়া শাসক ও সব বিরোধী সদস্যরা এই প্রস্তাবকে সমর্থন করে৷ পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই প্রস্তাবটি এনেছিলেন৷