প্রবন্ধ

নিন্দাবাদের বৃন্দাবনে বাঙাল

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

ঘ) মহামতি গোখলে বাঙালীর মেধাবৃত্তিতে বিস্মিত হয়ে বলে ছিলেন--- ‘হোয়াট্‌ বেঙ্গল থিংক্‌স টুডে, ইণ্ডিয়া উইল্‌ থিংক টুমরো৷ তাঁর সহজ কথাটা হল--- বাঙালী বুদ্ধিমান জাতি৷ এই বুদ্ধিমত্তাও প্রকৃতির দান৷ বাঙলার মাটিতে উৎপন্ন শাক সবজি ও ভাত বাঙালীর প্রধান খাদ্য৷ অনেকের পাতে মাছও প্রিয়৷ পুষ্টি বিজ্ঞানীদের একটি সমীক্ষায় প্রকাশ যে ভোজন রসিক বাঙালীর প্রধান-খাদ্যের তালিকাটি বুদ্ধির পুষ্টির সহায়ক৷ অর্থাৎ বাঙালীর খাদ্যাভ্যাস বাঙালীর বুদ্ধিবৃত্তি বিকাশের সাহায্য করে৷ এই সঙ্গে অতিরিক্ত অবসরের সুযোগে অতিরিক্ত মনন ক্রিয়ায় অন্তর্মুখী ঘাত প্রতিঘাতে বাঙালীর বুদ্ধিবৃত্তি শানিত হয়েছে৷

বর্ত্তমান কেন্দ্র সরকারের শাসননীতি সবই মহান ভারতবর্ষের আদর্শের পরিপন্থী

প্রভাত খাঁ

মহাকাল থেমে নেই, তাই পা পা করে আমরা ১৫ই আগষ্টকে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালন করলুম এ বছর৷ যাঁরা ইংরেজের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অখণ্ড ভারতবর্ষকে খণ্ড বিখণ্ড করে মেকী রাজনৈতিক স্বাধীনতায় দেশজননীকে হিন্দুস্তান ও পাকিস্তান হিসাবে রূপ নেয়৷ তাঁরা কতো বড়ো ভুল করে গেছেন সেটা কী একবার এদেশের বর্ত্তমান রাষ্ট্র নেতারা স্মরণ করেন৷ ভারতবর্ষ কোনদিনই মেকী জাতপাতকে স্বীকার করেনি ও আজও করে না৷ কিন্তু আজ যাঁরা দেশ শাসনের দায়িত্বে তাঁরা কিন্তু সেই সম্প্রদায় জাতপাতকেই মান্যতা দিয়ে মহান সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে মানেন বলে বলে মনেই হয় না৷ কিন্তু জহরলাল নেহেরু এটাকে মেনে চলতেন৷ আমরা আশ্চর্য হয়ে গেলুম বর্ত্তমান প্রধ

শাসনের দোসর শোষণ---পরিণতি স্বৈরাচারিতা

হরিগোপাল দেবনাথ

পৃথিবী গ্রহে মানব-সভ্যতার অগ্রগতির ক্ষেত্রে পরিবার-ঘটন, সমাজ-সংরচনা, রাষ্ট্র-নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ, রাষ্ট্র পরিচালনের জন্যে সংবিধান-রচনা ও সরকার তথা রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রণ-ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা ইত্যাদি বিষয়সমূহ নিঃসন্দেহে অতি গুরুত্বপূর্ণ৷ আবার রাষ্ট্র তথা দেশ পরিচালনার জন্যে এ যাবৎ মানুষের উদ্ভাবিত বা আবিষৃকত যে-সব ব্যবস্থাপনা রয়েছে, সে সবের মধ্যে--- মোরবিব তথা সর্দার-প্রথা, সামন্তপ্রথা বা ফিউডালিজ্‌ম তথা জমিদারি প্রথা,রাজতন্ত্র (রাজা-বাদশাহ্‌-নবাব-সুলতানী শাসন ব্যবস্থা), আমলাতন্ত্র, সামরিকতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, অটোক্র্যাসী বা স্বৈরতন্ত্র ইত্যাদি ব্যবস্থাপনা সমূহের অভিজ্ঞতা মানুষ লাভ করে নিয়ে

ভগবান শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী, কীর্ত্তন কথা ও কিছু অজ্ঞাত কাহিনি

সমর পাল

১৯২১ সালের বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে বিহারের জামালপুরে পিতা লক্ষ্মীনারায়ণ সরকার ও মাতা আভারাণী সরকারের কোল আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রভাতরঞ্জন সরকার৷ সেই হিসেবে ২০২১ সাল তাঁর জন্ম শত বার্ষিকী পালন করা হচ্ছে বিবিধ অনুষ্ঠানসূচীর মাধ্যমে৷

এখন কথা হলো প্রভাতরঞ্জন সরকার কেন ‘‘আনন্দমূর্ত্তি’? সমকালের মহা সত্যস্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ তাঁর ঈশ্বর ভাবনা তথা জীবন-দেবতার কথা জানাতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ‘আনন্দমূরতি’ কথাটি উল্লেখ করে গেছেন৷

নিন্দাবাদের বৃন্দাবনে বাঙালী

একর্ষি

বাঙালী চরিত্রে বদনাম-লেপা-কালি নিয়ে কবি সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী দার্শনিক ঐতিহাসিক এমনকি পণ্ডিতদেরও মুখরোচক সমালোচনার অন্ত নেই৷ বাঙালী নিজের দোষের কাঁদুনি নিজেই গায়৷ আর মজা পায় অবাঙালীরা, বিদেশীরাও---মওকা বুঝে তারা তো দিন রাত বাঙালীর নিন্দে-অপবাদ-বাপান্ত করে চলেছে৷ আত্মসমালোচকরা বিশ্বাস করেন---আত্মসমালোচনায় মহত্ত্ব আছে, ক’জন পারে নিজের দোষ ধরতে? প্রবাদ বাক্য তো বলে--- মানুষ নিজের দোষ নিজে দেখতে পায়না৷ যেমন চোখের মাঝে কী আছে তা চোখ দেখতে পায়না৷ বাঙালী উদার, নিরপেক্ষ, নির্ভীক ও স্পষ্টবক্তা বলেই তাঁর সাদা কথায় কাদা নেই!

দেশের নেতাদের সু-বুদ্ধি কবে হবে?

নিরপেক্ষ

মাটিতে  জন্ম নিয়েছি বলেই তো মাটি আমাদের  রক্তে মিশে গেছে৷ কারণ এই মাটিই আমাদের  অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা , চিকিৎসা ও বাসস্থানের  সকল ব্যবস্থা করছে৷ তাইতো সংস্কৃতে বলা হয়, ‘‘জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্র্গদপি  গরীয়সী৷’’ তাই যে মানুষ  যেখানে  জন্মগ্রহণ করে তার কর্ত্তব্য  হলো সেই মাটি  ও সেই এলাকার  মানুষদের প্রতি  তার কৃতজ্ঞ থাকা  ও তাদের কল্যাণে আত্মনিয়োগ  করা৷

অর্থনৈতিক শোষণমুক্তির পথ হ’ল সমবায় আন্দোলন

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে অতি পুরাতন শব্দ সমবায়ের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতাটা উঠে আসছে পত্রপত্রিকাতে৷ উপনিষদের সেই ‘সংগচ্ছধ্বং’–এর মধ্যেই নিহীত আছে সমবায়৷ কথা প্রসঙ্গে বলতেই হয়–এক সময়ে এদেশে ‘সোণার বাংলা’ কথাটা খুবই প্রচলিত ছিল৷ যখন সাত সমুদ্র তের নদীর পার হতে এদেশে ইংরেজ বণিকরা আসেনি, যখন সারা বাঙলায় প্রায় প্রতিটি গ্রামই স্বয়ং সম্পূর্ণ ছিল সব দিক থেকে৷ তখন গ্রামের জনসাধারণকে কোন কিছুর জন্যে বাইরের দিকে তাকাতে হত না বা নির্ভরশীল হতে হত না৷ বড় বড় পরিবারগুলি ছিল একান্নবর্ত্তী পরিবার৷ সেই পরিবারের যা যা প্রয়োজন তারা তা কুটির শিল্পের মাধ্যমেই পূরণ করে নিত৷ ক্ষেত খামারে যা ফসল উঠতো তার দ্বারা ও কুটির শিল্পের মধ্য দ

সুস্থ শরীর সুস্থমন নেশামুক্ত আদর্শ জীবন

আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত

বর্তমান যুগটা হ’ল হাইটেক যুগ৷ এই হাইটেক যুগেও আমাদের সমাজ সংসার আজ হাজারো সমস্যার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে৷ ব্যষ্টি তথা সমষ্টি জীবন সর্বত্রই চলছে চরম অরাজকতা–চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা৷ এক ভয়ঙ্কর জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই আমরা এগিয়ে চলছি ধীরে ধীরে হয়তো ধংসেরই দিকে....৷

বাঙলার প্রাণধর্ম রক্ষা করতে হবে

মনোজ দেব

‘‘একই ভৌগোলিক পরিবেশে, একই ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক আবেষ্টনীর মধ্যে যাদের জন্ম ও লালন-পালন, সেই জনগোষ্ঠী অপর জনগোষ্ঠী থেকে ভিন্নতর গোষ্ঠীগত বৈশিষ্ট্য অর্জন করে৷ পরবর্তীকালের এই গোষ্ঠীগত বৈশিষ্টগুলোর সমগ্র জনগোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ ভাবধারার সঙ্গে এমনভাবে মিশে যায় যে এতে করে একটা জাতীয় স্বভাব তৈরী হয়৷ তা দিয়েই একটা গোটা জাতির মানস-প্রবণতা, বাহ্যিক আচরণ, জীবন ও সমাজের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি---এককথায় একটি বিশেষ জাতীয় দৃষ্টিকোণ গড়ে ওঠে---যা সেই জাতিকে অন্য জাতি থেকে এক পৃথক বৈশিষ্ট্য দান করে৷

প্রত্যেক নাগরিককে স্বনির্ভর করাই হল গণতন্ত্রের লক্ষ্য

প্রভাত খাঁ

বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম যে ভাবে বাড়ছে তাকে সামাল দিতে দারিদ্র্য সীমার নীচে যারা বাস করছে আর নিম্নমধ্যবিত্ত সমাজের যে দারুণ অর্থনৈতিক দুরবস্থা তাকে মানিয়ে নিয়ে দিন যাপন করাটা দিন দিন অসহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে সেদিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে মূলতঃ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে ও সমাজের সহানুভূতিশীল মানুষকে৷ তা না হলে সমাজ ব্যবস্থাটাই ভগ্ণ প্রাসাদের মত ভেঙ্গে পড়বে৷ এই করুণ আর্থিক ও সামাজিক অবস্থাকে মোকাবিলা করাটা সরকারের কর্তব্য৷ প্রধানতঃ শতকরা ৭০ জন লোক যে ভয়ঙ্কর সঙ্কটের মধ্যে নাকানি চোবানি খাচ্ছে সেটা কিন্তু অজানা নয় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির৷ পাঁচটি জিনিস সকলের অত্যাবশ্যক, তা হল অন্ন, বস্ত্র