প্রবন্ধ

সমাজ ও আধ্যাত্মিকতা

পথিক বর

আজকের সমাজের বুদ্ধি -জীবীদের  মধ্যে যাঁরা  নিজেদের প্রগতিশীল  বলে জাহির করেন, তাঁরা আদর্শ সমাজ সংরচনায় আধ্যাত্মিকতার যে একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, তা সাধারণতঃ স্বীকার করতে চান না৷ তাঁরা আধ্যাত্মিকতাকে মনে করেন একটা অন্ধবিশ্বাস  বা কুসংস্কার৷ আসলে ‘আধ্যাত্মিকতা’  সম্পর্কে তাঁদের ধারণাটাই পুরোপুরি ত্রুটিপূর্ণ৷

মানুষ মানুষ হারায়ে হুঁশ

মনোজ দেব

মহান দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর রচিত ৫০১৮টি প্রভাত সঙ্গীতের একটিতে লিখেছেন---

‘‘মানুষ মানুষ হারায়ে হুঁস কোথায় চলেছ তুমি

আকাশ বাতাস বিষিয়ে দিয়ে নরক করে’মর্ত্ত্যভূমি৷৷’’

সম্প্রতি মুম্বাইয়ের সাকিনাকায় দানবীয় বর্বরতার শিকার  ৩৪ বছরের এক মহিলা গত ১১ই সেপ্ঢেম্বর মারা যান৷  তাঁর প্রতি যে নারকীয় অত্যাচার মনুষ্য পরিচয় নিয়ে  দ্বিপদ জীব করেছে৷ --- তা সমগ্র মানব সমাজের লজ্জা৷ মানুষ যেন দিন দিন ভুলে যাচ্ছে সে মানুষ!

বাঙালী জনগোষ্ঠী  বিশ্বৈকতাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিশ্বকল্যাণে কাজে নামুক

প্রভাত খাঁ

ভারতবর্ষের অন্তর্গত বাঙলা--- অতীতের সেই বৃহত্তম বাঙলা যেটি ছিল পূর্বভারতের অন্তর্গত বাঙালী জনগোষ্ঠীর নিজস্ব কৃষ্টি সংস্কৃতি, ভাষা, সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের পরিপূর্ণতায় পুষ্ট একটি বৃহৎ অংশ৷ যে জনগোষ্ঠীর সঙ্গে উত্তর ভারতবর্ষের মিলমিশ ছিল না৷ এটিকে বলাই হতো পাণ্ডব বর্জিত দেশ৷ বরং দক্ষিণ ভারতবর্ষের দ্রাবিড়দের সঙ্গে কিছুটা মিল ছিল৷ কেরালিয়ানদের সঙ্গে কিছুটা মিল আছে৷

গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড ও এন.আর.সি প্রয়োগ রুখতে হবে

গৌরাঙ্গরুদ্র পাল

বাঙালী জাতিসত্ত্বা আজ এক চরম বিপদের সম্মুখীন৷ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রপথিক বাঙালীরাই স্বাধীনোত্তর ভারতে দেশভাগের বলি৷ দেশের অগ্রগতির অন্যতম কাণ্ডারী হল বাঙালী৷ অথচ দুর্ভাগ্য হল শোষণ, বঞ্চনা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামী বাঙালীকে ইংরেজরা যেমন কোনদিন সহ্য করতে পারেনি তেমনি পশ্চিমী বেনিয়া প্রভাবিত দেশীয় নেতৃবৃন্দ ও কেন্দ্রের শাসকবর্গও বাঙালীকে সহ্য করতে পারছেনা৷ তাই স্বাধীনদেশে বাঙালীর প্রতি বঞ্চনার ইতিহাস দীর্ঘ৷ স্বাধীনতার ৭৫ বছরেও দেশভাগের বলি উদ্বাস্তু বাঙালীদের পুনর্বাসন সমস্যার আজও সমাধান হয়নি৷ বাঙালীর প্রতি বঞ্চনার এখানেই শেষ নয়৷ অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে নিজেদের চেষ্টায় বাঙাল

সোশ্যাল মিডিয়া নোতুন পৃথিবীর স্বপ্ণ দেখাক

কণিকা দেবনাথ

 প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া নামক একটি নোতুন জগতের সাথে আমাদের পরিচিতি ঘটেছে৷ একবিংশ শতাব্দীর সূচনা লগ্ণ থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার পথ চলা শুরু৷ বর্তমান সময়ে এর প্রভাব ও বিস্তার উপেক্ষা করার মতো নয়৷ আট থেকে আশি সকলের কাছেই সমাদর লাভ করেছে সোস্যার মিডিয়া পরিবারের সদস্যবৃন্দ যেমন--- ফেসবুক , হোয়াটস আপ, টুইট্যার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি ইত্যাদি৷

লক্ষ কোটি মানুষের মেল বন্ধন ঘটেছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে৷ আঙুলের স্পর্শে ভৌগোলিক দূরত্ব মুছে যাচ্ছে, দেশ-মহাদেশ -মহাসাগর অতিক্রম করে মানুষ মিশে যাচ্ছে, একাকার হয়ে যাচ্ছে স্থান-কাল-পাত্র উপেক্ষা করে৷

শোষণ-যন্ত্রের কি নামান্তর গণতন্ত্র

হরিগোপাল দেবনাথ

রাষ্ট্রযন্ত্রকে সুচারুরূপে পরিচালনার নিমিত্ত এ যাবৎ মানুষ যা কিছু প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছে, সেগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রকেই অধিকাংশ রাষ্ট্র-বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদগণ সর্বসেরা বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন৷ গণতন্ত্রকে বলা হয়েছে ‘জনগণের নিমিত্ত ‘জন-প্রতিনিধিত্বের দ্বারা’ জনস্বার্থে জনগণের শাসন’৷ অর্থাৎ, মানুষ বাঁচার ও বিকাশের পথ ধরে এগিয়ে চলার উদ্দেশ্যে যে সমাজ-রচনার প্রয়োজন বোধ করেছিল পরবর্তী সময়ে সেই সমাজকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্যেই অনুভব করতে পেরেছিল উপযুক্ত শাসন প্রক্রিয়ার৷ তারপরে ধাপে ধাপে শাসন-কার্যের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরীক্ষালব্ধ অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই একদিন উপলদ্ধি করতেও সক্ষম হয়েছিল--- গণতন্ত

হে কাণ্ডারী! হও হুঁশিয়ার৷

প্রফুল্ল কুমার মাহাত

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের অগ্ণিযুগের অগ্ণিবীণার অমোঘ উদাত্তবাণী ‘‘কাণ্ডারী হুঁশিয়ার ’’ আজও সমভাবে প্রাসঙ্গিক ও প্রযোজ্য৷ আজও দুর্গম গিরি কাণ্ডার মরু দুস্তর পরাবারকে লঙ্ঘিতে হবে রাত্রী নিশিতে৷ তাই প্রতিটি মুক্তি মোক্ষকামী পদযাত্রী অমৃতের সেন্তানকেই, প্রতিটি আলোর পথের দিশারীকে, জীবনের স্বর্ণ বালুবেলার অভিসারী সকলকেই আজ হুঁশিয়ারী কাণ্ডারীর মত কঠোর কঠিনহস্তে জীবন তরণীর দাঁড় বাইতে হবে অতি সন্তর্পণে৷ এটা ব্যষ্টিজীবনের ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য, গোষ্ঠী, সমষ্টিসহ সব মানবজাতির ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য৷ আজ একবিংশ শতাব্দীর উষালগ্ণে সর্বত্রই--- যথা সমাজ, সংস্কৃতিতে, শিক্ষায়, অর্থনীতি রাজনীতি ও তথাক

সরকারের আর্থিক সংস্থাগুলি বিক্রি করার পরিকল্পনা দেশের পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়াবে

নিরপেক্ষ

ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে অত্যন্ত সংকটের মধ্য দিয়েই  চলতে হচ্ছে নানা কারণে৷ প্রধান কারণ হলো দেশের নাগরিকদের অশিক্ষা, অসচেতনতা, দরিদ্রতা৷  দেশটি বিরাট কিন্তু  একটা বয়সে তাঁরা নাগরিক অধিকার পান অর্থাৎ একটা বোট দানের অধিকার৷ আগে দলগুলো জোর করে তাঁদের ডেকে এনে বোট দান করাতো৷ বর্ত্তমানে তাঁদের মধ্যে কিছুটা সচেতনতাবোধ জেগেছে মাত্র৷ কিন্তু দলগুলির  কারচুপী ও নির্বাচন পরিচালন কর্তৃপক্ষের নৈতিক দৃঢ়তার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে নির্বাচনে প্রকৃত জনমত প্রতিফলিত হয় না৷ কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলির কারচুপী ও যাঁরা বোটদানের ব্যবস্থা করেন তাঁদের মধ্যেও অনেক ত্রুটি থাকায় বোট দান পর্বটা বানচাল হয় আর বোট এমনভাবে পড়ে তাতে প্রক